ইতিহাস, ইতিহাস এবং ইতিহাস। টেস্ট সিরিজে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়লো নাজমুল হোসেন শান্তর বাংলাদেশ দল। বাবর আজমদের ঘরের মাঠেই দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে হোয়াইওয়াশের লজ্জা দিল টাইগাররা।
সিরিজের প্রথমটি টেস্টে ১০ উইকেটে এবং দ্বিতীয়টিতে ৬ উইকেটে জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বড় অর্জন।
দ্বিতীয় টেস্ট জয়ে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়িয়েছিল ১৮৫ রান। এর আগে হাসান মাহমুদ এবং নাহিদ রানার বোলিং তোপে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭২ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তান।
১৮৫ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে চতুর্থ দিন (সোমবার) শেষে বিনা উইকেটে ৪২ রান করে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার জাকির হাসান ৩১ ও সাদমান ইসলাম ৯ রানে অপরাজিত ছিলেন।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) পঞ্চম দিনের ষষ্ঠ ওভারে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। পাকিস্তানের পেসার মির হামজার বলে বোল্ড হন জাকির। ৩৯ বল খেলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন তিনি। দলীয় ৫৮ রানে জাকির ফেরার পর হামজার বলে ব্যক্তিগত ১৭ রানে স্লিপে সালমান আঘাকে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান সাদমান।
জীবন পেয়ে বেশি দূর যেতে পারেননি তিনি। আরেক পেসার খুররম শাহজাদের বলে মিড অনে পাকিস্তানের অধিনায়ক শান মাসুদকে ক্যাচ দেন ২টি চারে ২৪ রান করা সাদমান।
৭০ রানের মধ্যে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর জুটি গড়ার পরিকল্পনায় সফল হন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও মমিনুল হক। ৫২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে ভালোভাবে প্রথম সেশনের খেলা শেষ করেন তারা। দিনের প্রথম সেশনে ২৭ ওভারে ২ উইকেটে ৮০ রান যোগ করেছে টাইগাররা।
চার বাউন্ডারিতে শান্ত ৩৩ এবং দুই বাউন্ডারিতে মমিনুল ২০ রানে অপরাজিত থেকে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যান। বিরতি শেষে দুজনকেই হারায় বাংলাদেশ। শান্ত ব্যক্তিগত ৩৮ এবং মমিনুল হক ৩৪ রানে সাজঘরে ফিরেন।
৪ উইকেট হারানোর পর মুশফিকুর রহীম এবং সাকিব আল হাসানের ব্যাটে ভর করে জয়ের দিকে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত এ দুজনের ব্যাটেই জয়ের দেখা পায় বাংলাদেশ। পাকিস্তানের মাটিতে ইতিহাস রচনা করে টাইগাররা।
সাকিব আল হাসান ২১ এবং মুশফিকুর রহীম ২২ রানে অপরাজিত ছিলেন। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ম্যাচ সেরা ক্রিকেটার হয়েছেন প্রথম ইনিংসে ১৩৮ রান করা লিটন দাস। এছাড়া পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করা সিরিজে সিরিজ সেরা ক্রিকেটার হয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।