জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলে ‘উভয় সঙ্কটে’ বাংলাদেশ

স্পোর্টসমেইল২৪ স্পোর্টসমেইল২৪ প্রকাশিত: ০৬:৪৪ পিএম, ০৯ মে ২০২৪
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলে ‘উভয় সঙ্কটে’ বাংলাদেশ

বাংলাদেশ ক্রিকেট জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয় পেলেও উল্লাসে মেতে উঠতো ভক্তরা। তবে সে সময় এখন অতীত, সময় পাল্টে গেছে। বাংলাদেশের ক্রিকেট যেমন এখন একটা জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে বিপরীতে নিজেদের জৌলস হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে। তেমনি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে গিয়ে উভয় সঙ্কটে পড়েছে বাংলাদেশ।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্র অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। এমন একটি দলের বিপক্ষে খেলে বিশ্বকাপের জন্য নিজেদের কতটা প্রস্তুত করতে পারবে সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদ জানালেন উভয় সঙ্কটের কথা।

পাঁচ ম্যাচ সিরিজের চট্টগ্রাম পর্বে প্রথম তিন টি-টোয়েন্টি বাংলাদেশ ইতিমধ্যে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে। তবে তিন ম্যাচেই টপ অর্ডার ব্যাটাররা ভালো করতে পারেননি। যেখানে প্রথম ম্যাচে তিনবার জীবন পেয়ে ৬৭ রান করেন তানজিদ হাসান তামিম।

ঢাকা পর্বে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে মাঠে নামার আগে বৃহস্পতিবার (৯ মে) সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজেদের এমন পারফম্যান্স নিয়ে জানতে হওয়া তার কাছে।

তাসকিন বলেন, “আসলে যতই কথা হচ্ছে জিম্বাবুয়ে নিয়ে, আবার যদি একটা ম্যাচ হেরে যাই তখন কিন্তু আবার অন্যরকম কথা হবে। জিতলে কৃতিত্বটা কম পাই আমরা, ছোট দলের বিপক্ষে খেললে। হারলে কিন্তু সবাই বলবে, জিম্বাবুয়ের সঙ্গে হেরে গেছে!”

তিনি বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত আমাদের অনেক কথাই শুনতে হয়। কিন্তু যখন খেলতে নামি, যে প্রতিপক্ষই হোক, সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করি। হ্যাঁ, কখনও ভালো বা কখনও খারাপ হয়। কিন্তু এ উন্নতির ধারাটা রেখে সবাই খেলার চেষ্টা করি। সবার মধ্যে এটাই লক্ষ্য বিশ্বকাপে কীভাবে ভালো করা যায়। এ লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছি, অনুশীলন করছি।”

বিশ্বকাপের আগে জিম্বাবুয়ের মতো দলের বিপক্ষে সিরিজ নিয়ে তাসকিন বলেন, “যে কোনো জায়গায়ই ভালো করতে পারলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। হয়তো কন্ডিশনের দিক থেকে... আমরা এখনও জানি না যুক্তরাষ্ট্রে কোন কন্ডিশনে খেলা হবে। বেশিরভাগ ড্রপ-ইন উইকেটে খেলা হতে পারে। আমাদের বেশিরভাগ ক্রিকেটারের যুক্তরাষ্ট্রে খেলার অভিজ্ঞতা কম। ওখানে গিয়ে নতুনভাবে মানিয়ে নিতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা বাংলাদেশে খেলি, খেলতেও হবে। কন্ডিশন তো আমরা বদলে ফেলতে পারব না। আরেকটু স্পোর্টিং কন্ডিশন হলে হয়তো আরেকটু ভালো হতো। তবে আমাদের এখনও কিন্তু ভালো ক্রিকেট খেলতে হচ্ছে। আরেকটা বিষয় হলো, যুক্তরাষ্ট্রে নতুনভাবে মানিয়ে নিতে হবে। একটা ভালো দিক... আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তিনটা ম্যাচ খেলবো। সেখান থেকে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য পাওয়া যাবে।”



শেয়ার করুন :