চিটাগংয়ের জয়ে রংপুরের হার

স্পোর্টসমেইল২৪ স্পোর্টসমেইল২৪ প্রকাশিত: ০৬:১০ এএম, ০৯ নভেম্বর ২০১৭
চিটাগংয়ের জয়ে রংপুরের হার

বিপিএলের পঞ্চম আসরে প্রথম জয়ের মুখ দেখলো চিটাগং ভাইকিংস। চলতি টুর্নামেন্টের সপ্তম ও নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে চিটাগং ১১ রানে হারায় মাশরাফির রংপুর রাইডার্সকে। ফলে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথম হারের স্বাদ পেল রংপুর।

বুধবার দিনের প্রথম খেলায় সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে চিটাগংকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে রংপুর বোলারদের উপর মারমুখি মেজাজ ধারণ করেন উইকেটরক্ষক নিউজিল্যান্ডের লুক রঞ্চি। মাশরাফির করা প্রথম ওভার থেকে দু’টি ছক্কায় ১২ রান তুলে নেন রঞ্চি।

দ্বিতীয় ওভারে সোহাগ গাজীর ওভার থেকে তিনটি বাউন্ডারি তুলে নেন রঞ্চি। এরপর তৃতীয় ওভারে নাজমুল ইসলামের ওভার থেকে ৩টি ছক্কা ও এক বাউন্ডারি হাঁকান রঞ্চি। তাতে ৩ ওভার শেষে বিনা উইকেটে চিটাগংয়ের রান অর্ধশতক স্পর্শ করে। বিপিএলের ইতিহাসে দ্রুত ৫০ রান করা দল হিসেবে নাম লেখায় চিটাগং। এ সময় রঞ্চির রান ছিল ১৬ বলে ৪৮ ও আরেক ওপেনার সৌম্যর রান ছিল ২।

ইনিংসের চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলে ১ রান নিয়ে নিজের হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন রঞ্চি। মাত্র ১৯ বলে হাফ-সেঞ্চুরি পান এই ডান-হাতি ব্যাটসম্যান। বিপিএলের ইতিহাসে এটি তৃতীয় দ্রুত হাফ-সেঞ্চুরি।

রঞ্চির হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ হবার পরের ওভারেই আউট হয়ে যান সৌম্য। রংপুর অধিনায়ক মাশরাফির শিকার হন তিনি। করেন ৭ বলে ৭ রান।

সৌম্যর বিদায়ের ক্রিজে রঞ্চির সঙ্গী হন শ্রীলঙ্কার দিলশান মুনাবীরা। দ্বিতীয় উইকেটেও রানের চাকা সচল রেখেছিলেন তারা। ফলে ৬ ওভারেই ৬৯ রান পেয়ে যায় রংপুর। এমন অবস্থায় বড় স্কোরের স্বপ্নে বিভোর ছিল চিটাগং।

কিন্তু ১০ দশমিক ২ ওভারে দলীয় ৯৯ রানে রঞ্চি ও ১১৩ রানে মুনাবীরাকে তুলে নিয়ে চিটাগং-এর রানের লাগাম টেনে ধরার পথ তৈরি করেন রংপুরের ইংলিশ খেলোয়াড় রবি বোপারা। ৭টি করে চার ও ছক্কায় মাত্র ৩৫ বলে ৭৮ রান করেন রঞ্চি। ১৭ বলে ২০ রান করে আউট হন মুনাবীরা। রঞ্চি ও মুনাবীরার আউটের পর শেষের ৫৮ বল থেকে মাত্র ৫৩ রান যোগ করতে পারে চিটাগং।

১৬৭ রানের জয়ের লক্ষ্যে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি রংপুরের। প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের জনসন চালর্সকে হারায় তারা। ১ রান করে ফিরেন তিনি। এরপর প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন মেইকশিপ্ট ওপেনার জিয়াউর রহমান ও উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ মিথুন। জুটিতে ১৮ রান যোগ করেন তারা। ৪ বলে ১১ রান করে থামেন জিয়াউর।

২০ রানে ২ উইকেট হারানোর পর মিডল-অর্ডারে দলের হাল ধরেন মিথুন, ইংল্যান্ডের রবি বোপারা ও শাহরিয়ার নাফীস। তিন জনের ছোট ছোট ইনিংসের কল্যাণে ১২ ওভারেই শতরান পেয়ে যায় রংপুর।

তবে ১৩তম ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে পরপর দু’টি উইকেট তুলে নিয়ে চিটাগংকে চালকের আসনে বসিয়ে দেন পেসার তাসকিন আহমেদ। নাফীসকে ২৬ ও আফগানিস্তানের সামিউল্লাহ সেনেওয়ারিকে ০ শুন্য রানে শিকার করেন তিনি। নিজে দুই উইকেট নেয়ার পর ওই ওভারের শেষ বলে দুর্দান্ত দক্ষতায় উইকেটে সেট হয়ে যাওয়া বোপারাকে রান আউটের ফাঁদে ফেলেন তাসকিন। ৩২ বলে ৩৮ রান করেন বোপারা।

১০৫ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়া রংপুর। পরবর্তীতে আর ঘুড়ে দাঁড়াতে পারেনি তারা। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১৫৫ রান করতে পারে রংপুর। চিটাগং-এর তাসকিন ৩১ রানে ৩ উইকেট নেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :
চিটাগং ভাইকিংস : ১৬৬/৪, ২০ ওভার (রঞ্চি ৭৮, মিসবাহ ৩১*, বোপারা ২/১৪)।
রংপুর রাইডার্স : ১৫৫/৮, ২০ ওভার (বোপারা ৩৮, নাফীস ২৬, তাসকিন ৩/৩১)।
ফল : চিটাগং ভাইকিংস ১১ রানে জয়ী।


শেয়ার করুন :