প্রথম দিনের অনুশীলনে ছিলো পাওয়ার প্লের দক্ষতা বাড়ানো

স্পোর্টসমেইল২৪ স্পোর্টসমেইল২৪ প্রকাশিত: ০৯:০৪ পিএম, ২৭ এপ্রিল ২০২৩
প্রথম দিনের অনুশীলনে ছিলো পাওয়ার প্লের দক্ষতা বাড়ানো

ইংল্যান্ডের কন্ডিশনের সাথে অনেকটা মিল থাকায় ঢাকা ছেড়ে সিলেটে আনুশীলক শুরু করেছে বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে যাওয়ার আগে সেখানে তিনদিনের ক্যাম্প করবে তামিম-মিরাজরা। তিন দিনের অনুশীলন সেশনের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার ম্যাচের আবহে ঘাম ঝড়িয়েছে বাংলাদেশ দল।

প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের অধীনে প্রথম ১০ এবং শেষ ১০ ওভারে ম্যাচের আবহে ব্যাটিং অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল। কিভাবে প্রথম এবং শেষ পাওয়ার প্লে ভালোভাবে কাজে লাগানো যায় সেটি নিয়েই দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা করেছে।

দীর্ঘদিন ধরেই পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের দুর্বলতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আধুনিক ক্রিকেটে পাওয়ার প্লের ২০ ওভার ম্যাচের চিত্র পাল্টে দেয়। তবে সিলেটে সেটা নিয়েই প্রথম দিনের অনুশীল করেছে বাংলাদেশ দল। প্রথমবার জাতীয় দলে ডাক পাওয়া বাঁ-হাতি পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী এমনটা জানিয়েছেন।

অনুশীলনে শেষে মৃত্যুঞ্জয় বলেন, “আজকের অনুশীলন সেশনে, কোচ আমাদের প্রথম ১০ ওভার এবং শেষ ১০ ওভারে কীভাবে ব্যাট করতে হবে সেই দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।”

সিলেটে চলা টাইগার ক্রিকেটারদের অনুশীলনে সাংবাদিকদের অবাদ প্রবেশে নিষেধ করা হয়েছে। দিনের নির্ধারিত কোন সময়ে মাত্র ৩০ মিনিটের জন্য স্টেডিয়ামে প্রবেশের অনুমতি রয়েছে।

মৃত্যুঞ্জয় আরও বলেন, “আমাদের জন্য কোচ ম্যাচের আবহ তৈরি করায় ব্যাটাররা ব্যাট করতে এসে পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করেছে।”

সংক্ষিপ্ত অনুশীলন ক্যাম্পটি আইসিসি সুপার লিগের অর্ন্তভুক্ত আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রস্তুতির অংশ। মে মাসে আয়ারল্যান্ডে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজটি।

তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ হবে যথাক্রমে- ৯, ১২ এবং ১৪ মে। কোচ হাথুরুসিংহের ধারণা, সিলেটে বেশ কয়েকটি উইকেটে ইংল্যান্ডের উইকেটের মতোই। যার ফলে মিরপুরের পরিবর্তে সিলেটে এ ক্যাম্প করা হয়েছে।

মৃত্যুঞ্জয় বলেন, “সিলেট ও ইংল্যান্ডের উইকেট প্রায় একই রকম। আজ আমরা যে উইকেটে অনুশীলন করেছি সেখানে বাউন্স ছিল। এখানে পুরোপুরি একই উইকেট পাবেন না তবে কিছুটা মিল আছে যা আমরা ব্যবহার করার চেষ্টা করছি।”



শেয়ার করুন :