এখনও সেমির আশায় পাকিস্তান

বাংলাদেশের বিপক্ষে ৭ উইকেটের জয়ে হঠাৎ করে পাকিস্তান শিবিরের মানসিকতায় পরিবর্তন এনেছে। ম্যাচে ফখর জামান ওপেনিংয়ে খেলতে নেমে দারুণ এক ইনিংস উপহার দিয়েছেন। ম্যাচ শেষে তিনি জানিয়েছেন, পাকিস্তানের লক্ষ্য এখনো সেমিফাইনাল, অন্য কিছু নয়।

পাকিস্তানি পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদীর দুর্দান্ত বোলিংয়ে বাংলাদেশের ইনিংস ২০৪ রানে গুটিয়ে যায়। মামুলি রান তাড়া করে ৩২.৩ ওভারে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। এতে তাদের নেট রান রেটও অনেক বেড়েছে।

ফখর বলেন, বিশ্বকাপে প্রতিটি জয়ই আত্মবিশ্বাস যোগায়। আমরা সবাই এ জয়ের জন্যই অপেক্ষায় ছিলাম। এখন আমরা ছন্দ ফিরে পেয়েছি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ব্যাটিং ও বোলিংয়ে আমরা নিজেদের প্রমাণ করেছি, কার্যত আত্মবিম্বাসটা সেখান থেকেই এসেছে। এখন দলের ভারসাম্য দুর্দান্ত। এ দলের ড্রেসিং রুমের সাথে আমি গত আট বছর ধরে আছি। প্রতিদিনই যেন এর উন্নতি হচ্ছে।

পাঁচ ম্যাচ পর দলে ফিরেই ফখর ৭৪ বলে ৮১ রানের ইনিংস খেলেছেন। ওপেনিংয়ে আব্দুল্লাহ শফিককে (৬৮) সাথে নিয়ে ১২৮ রানের জুটি গড়ে তুলেন। এর ফলে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়ের গতি তরান্বিত হয়।

ফখর বলেন, এ মুহূর্তে আমরা যে পরিস্থিতিতে আছি তাতে ২৯-৩০ ওভারে ম্যাচ শেষ করার পরিকল্পনা আছে। যদিও এখানে অনেক কিন্তু, যদিও পরিসংখ্যান রয়েছে। কিন্তু সবকিছুর পরও আমাদের মূল লক্ষ্য সেমিফাইনালে খেলা, নিজেদের কাজটুকু সেড়ে রাখতে চাই।

বাংলাদেশকে হারিয়ে আফগানিস্তানকে টপকে পাকিস্তান পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে। শেষ দুই ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড। এই দুই ম্যাচে জয়ের পাশাপাশি তাদের নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার পরাজয়ের ক্ষণও গুণতে হবে।

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে পর হাঁটুর ইনজুরির কারণে টানা পাঁচ ম্যাচ দলের বাইরে ছিলেন ফখর। এমন ইনিংস শেষে তার ক্ষুধা আরও বেড়ে গেছে বলে স্বীকার করেছেন ফখর।

তবে ভারতের বিপক্ষে পরাজয় এখনও পাকিস্তান দলকে দুঃখ দেয়। তিনি বলেন, ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ সব সময়ই বিশেষ কিছু। আমি যদি বলি সেখানে কোন ভিন্নতা নেই, তবে সেটা ভুল বলা হবে। তবে সবাই এখানে পেশাদার খেলোয়াড় এবং একেকজন অনেক ক্রিকেট খেলেছে। এমনকি ভারতের বিপক্ষেও তারা অনেক ম্যাচ খেলেছে। সে কারণে এখানে আসলে কিছুই বলার নেই।

বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ৭ ম্যাচ খেলে ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ৫ নম্বরে রয়েছে পাকিস্তান। সেমিফাইনালের খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে লিগ পর্বের বাকি দুই ম্যাচেও জয় পেতে হবে। একই সাথে এগিয়ে নিতে হবে রান রেট।