স্পোর্টসমেইল২৪
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের ১ম ইনিংসে রোববার নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট থেকে এসেছে ৭১ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। তার এমন ইনিংসের নেপথ্যে টিম ম্যানেজমেন্টের প্রতিশ্রুতি কাজ করেছে বলে জানিয়েছেন শান্ত।
তিনি বলেন, ‘আমি আগের যে ম্যাচগুলোতে খেলেছি, তখন দল থেকে বাদ পড়ার একটি ভয় নিজের মধ্যে কাজ করতো। ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যখন ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট খেলি তখনো মনের মধ্যে সেটি গেঁথে ছিল। তবে এখন আমি নিয়মিতভাবেই দলে সুযোগ পাচ্ছি। কোচিং স্টাফরা আমাকে বুঝিয়েছেন যে, দলে থাকা বা বের হওয়ার বিষয়টি মনের মধ্যে জায়গা না দিতে। তারা এও বলেছে যে, আমার মধ্যে ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এখন আমি শুধু আমার খেলার দিকেই মনোযোগ দিচ্ছি।’
শান্তকে বাংলাদেশ দলের প্রতিশ্রুতিশীল ক্রিকেটার হিসেবে মনে করা হলেও ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে অভিষিক্ত হয়ে দুই ইনিংসে তিনি রান করেছিলেন যথাক্রমে ১৮ ও ১২ রান। এক বছর পর তিনি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে দুই ইনিংসে সংগ্রহ করেন যথাক্রমে ৫ ও ১৩ রান। এরপর থেকেই জাতীয় দল থেকে ছিটকে পড়েন তিনি।
তবে ২০২০ সালে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে টেস্টে ফের তাকে দলে সুযোগ দেন নির্বাচকরা। এ সময় শান্তকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় জাতীয় দলে নিয়মিত রাখার বিষয়ে। সেই প্রতিশ্রুতি টনিকের মত কাজ করেছে শান্তর।
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের দুই ইনিংসে তিনি সংগ্রহ করেন যথাক্রমে ৪৪ ও ৩৮ রান। এরই ধারাবাহিকতায় ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের ১ম ইনিংসে রোববার শান্তর ব্যাট থেকে আসে ৭১ রানের অসাধারণ একটি ইনিংস।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে মানসিক পরিবর্তনের বাইরে নিজের ব্যাটিংয়ে অন্য কিছু দেখছেন না বলে জানান শান্ত। বলেন, ‘বিগত কয়েকমাস ধরে আমার ব্যক্তিগত কোচ উপদেশ দিয়ে আসছেন বেশি চিন্তা না করতে। শুধুমাত্র নিজের খেলা ও সামর্থ্যরে দিকেই মনোযোগী হতে বলেছেন। যা আমার আত্মবিশ্বাস ও খেলার সামর্থ্য বাড়িয়ে দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন আগের তুলনায় আমার মানসিক অবস্থানে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। এখন নিজেকে শান্ত রেখে আমি ধৈর্য্য ধরে খেলার চেষ্টা করি। শুরু থেকেই এ ইনিংসটি আমি পরিকল্পনা করে রেখেছি।’
টেস্টের এ ধারাবাহিকতার সুফল টিম ম্যানেজমেন্ট তাকে দিতে শুরু করেছে। তাই তো জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের স্কোয়াডে তাকে রাখা হয়েছে।
