ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে বোলারদের দাপট, তবুও হলো না ইতিহাস রচনা

স্পোর্টসমেইল২৪ স্পোর্টসমেইল২৪ প্রকাশিত: ০৯:২৪ এএম, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩
ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে বোলারদের দাপট, তবুও হলো না ইতিহাস রচনা

পঞ্চাশ রানের নিচে ৫ উইকেট শিকার করে বাংলাদেশকে দারুণভাবে খেলায় ফিরিয়েছিল টাইগার বোলাররা। তবে স্বল্প পূঁজি থাকায় শেষ পর্যন্ত আর পেরে উঠতে পারেনি মাহেদী-শরিফুলরা। হারের শঙ্কায় পড়েও শেষ মুহূর্তে বৃষ্টির আইনে ১৭ রানের জয় পেয়ে যায় নিউজিল্যান্ড।

জিতলেই সিরিজ জয়ে ইতিহাস গড়ার মিশনে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং পেয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করে ইনিংসের ৪ বল বাকি থাকতেই ১১০ রানে গুটিয়ে যায় টাইগারদের ব্যাটিং শিবির। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৭ রান করেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে টাইগার বোলারদের তোপের মুখে মুখে পড়ে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটাররা। দলীয় ৪৯ রানে ৫ ব্যাটারকে সাজঘরে ফিরিয়ে দারুণভাবে খেলায় ফেরার বার্তা দেন বাংলাদেশের বোলাররা। তবে স্বল্প পূঁজিতে পের উঠতে পারেনি তারা।

নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং ইনিংসের ১৫তম ওভার বৃষ্টি কারণে খেলা বন্ধ হলেও ডিএলএস মেথটে ১৭ রানের জয় পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। খেলার বন্ধ হওয়ার আগে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ১৪.৪ ওভারে ৫ উইকেটে ৯৫ রান।

নিউজিল্যান্ডের এ জয়ে ১-১ সমতায় শেষ হলো তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ জয় পেলেও দ্বিতীয় ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছিল। এ হারে  স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথবারের মতো যেকোন ফরম্যাটে সিরিজ জয়ের দারুণ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হলো নাজমুল হোসেন শান্ত দল। 

 

 প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নাজমুল হোসেন শান্ত ১৭, তাওহিদ হৃদয় ১৬, আফিফ হোসেন ১৪, রিশাদ হোসেন ১০, শামীম পাটোয়ারী ৯, শেখ মাহেদী ৪, শরীফুল ইসলাম ৪, তানভীর ইসলাম ৮ এবং মোস্তাফিজুর রহমানের ব্যাট থেকে অপরাজিত ৩ রান পায় বাংলাদেশ। ফলে গুটিয়ে যাওয়ার আগে ১১০ রানের পূঁজি পায় টাইগাররা।

বাংলাদেশকে স্বল্প রানে অলআউট করার পথে বল হাতে নিউজিল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার মাত্র ১৬ রান দিয়ে তুলে নেন ৪টি উইকেট। এছাড়া টিম সাউদি, অ্যাডাম মিলনে এবং বেন সিয়ার্স শিকার করেন ২টি করে উইকেট।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ডও তোপের মুখে পড়ে। দলীয় ১৬ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন শেখ মাহেদী হাসান। মাহেদীর ঘূর্ণিতে মাত্র ১ রানে সাজরের পথ ধরেন টিম সেইফার্ট। তবে অপর ওপেনার ফিন অ্যালেন ছিলেন মারমুখী। ৩১ বল খেলে ৪ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় খেলেন ৩৮ রানের ইনিংস।

ফিন অ্যালেন যখন ফিরেন তখন নিউজিল্যান্ডের দলীয় সংগ্রহ ৪৯ রান। তার আগে আরও চার ব্যাটারকে ফিরিয়ে দেন মহেদী-শরিফুলরা। ফিন অ্যালেন ছাড়া বাকি চারজনেরই ব্যক্তিগত সংগ্রহ ছিল ১ রান করে। ৪৯ রানে ৫ উইকেটের শিকার করে স্বল্প পূঁজি নিয়েও জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেন টাইগার বোলাররা।

তবে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে টাইগার বোলারদের হতাশ করেন জেমস নিশাম এবং অধিনায়ক মিচেল স্যান্টার। তাদের ব্যাটে জয়ের দিকে এগিয়ে যায় কিউইরা। তবে ১৪.৪ ওভারে বৃষ্টির কারণে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। এরপর আর খেলা না হওয়ায় বৃষ্টি আইনে ১৭ রানের জয় পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। খেলা বন্ধ হওয়ার আগে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেটে ৯৫ রান। ব্যাট হাতে জেমস নিশাম ২৮ এবং মিচেল স্যান্টার ১৮ রানে অপরাজিত ছিলেন।

জয় পাওয়া ম্যাচে সেরা খেলোয়াড় হয়েছে নিউজিল্যান্ডের মিচেল স্যান্টার। বল হাতে ৪ উইকেট শিকারের পর ব্যাট হাতেও দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেছেন নিউজিল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক। এছাড়া সিরিজ সেরা হয়েছেন বাংলাদেশের শরিফুল ইসলাম।



শেয়ার করুন :