এবার টি-টোয়েন্টি

ঢাকার মাঠে একমাত্র টেস্ট ও সিলেটে তিন ম্যাচের ওয়ানডে শেষে এবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নামছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। আজ সোমবার থেকে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে সিরিজের প্রথম ম্যাচ।

টেস্ট দিয়ে শুরু হয় বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজ। সিরিজের একমাত্র টেস্ট ইনিংস ও ১০৬ রানের ব্যবধানে জিতে নেয় বাংলাদেশ। এরপর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করে মাশরাফি বিন মর্তুজার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল। এবার টাইগারদের সামনে টি-টোয়েন্টি সিরিজ।

টি-টোয়েন্টি সিরিজে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করতে পারলে পুরো সফরেই প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করতে পারবে টাইগাররা। এ লক্ষ্য পূরণে জয় দিয়ে সিরিজ শুরু করাটাও বাধ্যতামূলক। তবে কাজটি সহজ হবে না বলে মনে করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কারণ, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ভালো খেলে জিম্বাবুয়ে।

সিরিজ শুরুর আগে রোববার (৮ মার্চ) সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ টি-টোয়েনিট অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘প্রত্যকটি ম্যাচই চ্যালেঞ্জিং। কোন কিছুই সহজভাবে নেওয়ার অবকাশ নেই। টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেটে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি। কিন্তু আমরা মনে করি, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে খুবই ভালো দল জিম্বাবুয়ে। তাদের খুবই ভালো ব্যাটিং লাইন-আপ রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘জিম্বাবুয়েকে হারাতে হলে আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে আমরা মাঠে নামব। যদি আমরা তাদের সহজভাবে নিই, তবে এটি আমাদের জন্য নেতিবাচক ফল বয়ে আনবে।’

টেস্ট ও ওয়ানডের মতোও টি-টেয়েন্টি ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ফেভারিট বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ১১বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। এর মধ্যে বাংলাদেশ সাতবার ও জিম্বাবুয়ে চারবার জয় পেয়েছে।

২০১৮ সালে সর্বশেষ দেখা হয়েছিল দু’দলের। ঢাকায় ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে লিগ পর্বে দু’বারই জিম্বাবুয়েকে হারায় বাংলাদেশ। তবে সর্বশেষ দ্বিপাক্ষীক সিরিজে দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের সাথে দুই ম্যাচের সিরিজ ড্র করে বাংলাদেশ।

এদিকে জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক শন উইলিয়ামস বলেছেন, ‘আমি মনে করি, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ম্যাচের পরিস্থিতি যেকোন সময় পরিবর্তন হতে পারে। দু’টি ডেলিভারি ম্যাচের মোড় ঘুড়িয়ে দিতে পারে। আমাদের এ দলটি তরুণ। যারা মিরপুরে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে খেলতে মুখিয়ে আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পুরোপুরিভাবে মনোনিবেশ করেছি। ওয়ানডে নিয়ে খেলোয়াড়দের সাথে আলোচনা করি না। নেট সেশনে তাদের দেখে মনে হয়েছে, টি-টোয়েন্টি নিয়ে সুস্পষ্ট মানসিকতা রয়েছে খেলোয়াড়দের। এটি খুবই ভালো দিক। আমি মনে করি, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে খেলার স্বাধীনতা থাকায় অনেক কিছুরই পরিবর্তন হবে। কিন্তু আমাদের খেলার মৌলিক বিষয়গুলো খুবই দুর্বল, যা আমাদের সংশোধন করতে হবে।’

টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ হারলেও বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ে ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী বলেও জানান জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক।