টেস্ট আমার খুব পছন্দ, সারাদিন মাঠে থাকতে ভালো লাগে: বিজয়

পার্থ প্রতীম রায় পার্থ প্রতীম রায় প্রকাশিত: ০২:০৩ পিএম, ০৪ এপ্রিল ২০২২
টেস্ট আমার খুব পছন্দ, সারাদিন মাঠে থাকতে ভালো লাগে: বিজয়

২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপ চলাকালে ইনজুরির কারণে এনামুল হক বিজয়কে ফিরতে হয়েছিল দেশে। এরপরে ইনজুরি কাটিয়ে জাতীয় দলে ডাক পেলেও নিয়মিত হতে পারেননি তিনি। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করে সব সময়ই আলোচনায় ছিলেন এ ক্রিকেটার। দীর্ঘ দিন জাতীয় দলের বাইরে থাকা এনামুল হক বিজয়ে কিছুটা আক্ষেপ থাকলেও ভাবছেন, হয়তো দ্রুতই ডাক পাবেন জাতীয় দলে।

২০১৯ সালের শেষবারের মতো জাতীয় দলের জার্সিতে খেলেছিলেন বিজয়। এরপর ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করেও জাতীয় দলে ডাক পাননি। সম্প্রতি জাতীয় দলের ছায়া দল হিসেবে গঠন করা বাংলাদেশ টাইগার্সে ডাক পান তিনি। সেখানে অনুশীলনের পর ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে (ডিপিএল) যথারীতি দূর্দান্ত ছন্দে আছেন ডানহাতি এ ব্যাটার। ওয়ানডে সংস্করণে ফর্মে থাকলেও মূলত টেস্ট ক্রিকেটকেই মনোযোগ দিচ্ছেন তিনি। জানিয়েছে, টেস্ট ক্রিকেটকে প্রাধান্য দিয়েই জাতীয় দলে ফিরতে চান।

দীর্ঘ দিন পারফর্ম করেও জাতীয় দলে ডাক না পাওয়ার আক্ষেপ, নিজেকে কিভাবে গুছিয়ে নিয়েছেন আর জাতীয় দলে সুযোগ পেলে নিজের লক্ষ্য কী হবে তা নিয়েই এনামুল হক বিজয় কথা বলেছেন স্পোর্টসমেইল২৪.কমের সাথে।

বিপিএলের আগে বিসিএলের ওয়ানডে সংস্করণে ঠিক ছন্দে ছিলেন না। তাই ডিপিএলের আগে প্রস্তুতি কেমন ছিল?

এনামুল হক বিজয় : প্রথম থেকে যদি বলতে হয় এনসিএলের সময় আমি অনেক বাজে আউট হই। বিসিএলেও ভালো খেলতে পারি নাই। উইকেটের কারণে বলেন, ল্যাক অব কনসেন্ট্রেশন কারণে বলেন, আমি কিছু ইনিংস ভালো খেলতে পারি নি। সাধারণত ন্যাশন্যাল লিগ, বিসিএলগুলো আমার অনেক অসাধারণ যায়, আর বিসিএলে আগের বারও সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলাম। এনসিএলও প্রতিবার অনেক ভালো যায়। সত্যি বলতে আমি বেশ আপসেট ছিলাম।

এরপর আমি রিয়েলাইজেশন করি এবং রিলাক্স থাকার চেষ্টা করি। অন্যসময় আবেগী হয়ে খারাপ জিনিসটাই ক্যারি করে ফেলি। আমি যে রকম আশা করি, সেই রকম ভালো হয় নাই। আমি ফিফটি করছি, দলকে জেতাতে পারছি, অবদান ছিল কিন্তু আমি যে রকম প্রতিবার করি, সে রকম করতে পারি নাই। একটা রুটিন অনুসরণ করার চেষ্টা করেছি। মানসিকভাবে রুটিনমাফিক আরও প্রস্তুত হয়েই প্রিমিয়ার লিগে খেলছি। এটাই ভালো করতে সাহায্য করছে। 

বিপিএলের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

এনামুল হক বিজয় : বিপিএলে যখন কোচ উডিকে (জুলিয়ান উড) পেলাম তখন ওর সাথে টুর্নামেন্ট শুরুর আগে চার-পাঁচ দিন এবং বেশ কিছু সময় কাটাতে পারছি। আমাদের টিমে রাইলি রুশোর সাথের কথা হইতো, (লেন্ডল) সিমন্সের সাথে কথা হইতো। ওদের সাথে ক্রিকেটিং প্রচুর কথা হইতো। উডির সাথেও বেশ বিকল্প উপায়ে অনুশীলন করেছিলাম।

দেশীয় কোচেরা আপনার উন্নতিতে সারাবছর কিভাবে সাহায্য করেছে ?

এনামুল হক বিজয় : (মোহাম্মদ) সালাউদ্দিন স্যার, (মিজানুর রহমান) বাবুল স্যারের সাথে সবসময় কথা বলি, শুনি, পরামর্শ নেই। ওই সময় তার (জুলিয়ান উড) সাথে বেশ কিছুদিন কাজ করতে পারছি। আমার জিনিসগুলো ভিডিও দেখে ভালো মতো বুঝতে পারছি। কতটুকু ভালো করা যায়।

মন খুলে খেলার যে জিনিসটা, চাপ ছাড়া খেলার জিনিসটা, মনোযোগ ঠিক রেখে বল বাই বল পরিকল্পনা করা, এই জিনিসগুলো বিবেচনায় নিয়েছি। এরপরে আমার মনে হয় বিপিএলটা বেশ ভালো গেছে।

বিপিএলের পারফর্মেন্সে উন্নতির ছাপ দেখা যাচ্ছিলো… 

এনামুল হক বিজয় : বিপিএল যেহেতু খুব ফাস্ট এবং ফিউরিয়াস খেলা, খুব তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সিলেট দল আমরা ভালো ফলাফল করতে পারিনি। প্রতিদিন আমরা কিন্তু একটা জেতার অবস্থা তৈরি করেছিলাম। হাই স্কোরিং ম্যাচ হয়েছে। আমাদের বোলিংটা ভালো হয়নি বা ফিল্ডিংটা ভালো হয়নি বিধায় আমরা ম্যাচগুলো আমাদের পক্ষে নিতে পারিনি। তখন থেকেই আসলে ধারাবাহিকতা তৈরি করা।

প্রথমেই আপনি রুটিনের কথা বলেছিলেন। রুটিন অনুসরণ করছেন…

এনামুল হক বিজয় : আমি আমার অভ্যাস এবং প্রস্তুতি সবসময় একই রাখার চেষ্টা করছি। আমি খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে ব্যাগ গোছানো, নামাজ, অনুশীলনের ধরন সবকিছু সময়মতো এবং প্রতিদিনই সবকিছু গোছানোর চেষ্টা করতেছি। এগুলো ঠিক রাখার জন্য একটা রুটিন অনুসরণ করতেছি। এটা আমার জন্য জরুরি ছিল। এই রুটিনটার কারণে বিপিএলটা আমার ভালো গেছে।

প্রিমিয়ার লিগের ভালো খেলার রহস্য কি শুধুই অনুশীলন নাকি মানসিক বিষয়ও?

এনামুল হক বিজয় : বিপিএলের পর আমার রুটিনের মধ্যে ভালো কি যোগ করা যায়, ওইগুলো যোগ করে আমি চেষ্টা করেছি। যাতে প্রিমিয়ার লিগে এসে আমি ব্যবহার করি। ওই মনোযোগ, লক্ষ্য ঠিক রেখে ভালো কিছু জিনিস যোগ করার পরে এবং খারাপ জিনিসগুলো বাইরে রেখে প্রিমিয়ার লিগে আসছি। যেন ভালো করতে পারি।

প্রিমিয়ার লিগের শুরুতেই ধারাবাহিকতা যেন পরিবর্তন না করি, যে মানসিক প্রস্তুতি ছিল সেটা যেন ধরে রাখতে পারি সেটাই চেষ্টা করেছি। আমি রান পেলেও এইটা করছি, না পেলেও এইটা করছি। যদিও বেশিরভাগ সময় আমি সাফল্য পেয়েছি, এটা সত্যি। আমি আমার এই জিনিসটা থেকে বের হতে চাচ্ছি না। আমার কাছে মনে হয় এটা একটা ব্যাপার।

যেহেতু প্রিমিয়ার লিগে বেশ ছন্দে আছেন। প্রতিদিন মাঠে যাওয়ার আগে চিন্তা-ভাবনা টা কি রকম থাকছে?

এনামুল হক বিজয় : প্রতিদিন একই চিন্তা করে, একই মনোযোগ নিয়ে মাঠে যাচ্ছি। আমি শেষ ম্যাচে ৯৪ রান করে আউট হইছি। আমি আসলে সেঞ্চুরি হচ্ছে না ফিফটি হচ্ছে, এটা নিয়ে চিন্তিত না। তার চেয়ে পরের বলে আমার মনোযোগ কি রকম থাকবে বা আমি কিভাবে খেলবো, সেটা নিয়েই ভাবি। আমি সেঞ্চুরি, ১৫ বা ১৮৩ করে অখুশি না।

এখন আমি আমার প্রত্যেক ইনিংসেই খুশি। কারণ আমি আমার রুটিনটা ফলো করতে পারতেছি। আমার কাজগুলো ঠিকমতো করতেছি। এটাতে আমি রান পেলেও খুশি না পেলেও খুশি। আমি চেষ্টা করতেছি খারাপ করলেও যেন এই রুটিনটা অনুসরণ করতে পারি। এটার কারণে আমার মনে হয় মনোযোগ ধরে রেখে ধারাবাহিক হতে পারতেছি।

দীর্ঘদিন পর ওয়ানডে ফরম্যাটে খেলছেন। দারুণ পারফর্মও করছেন। জাতীয় দল নিয়ে কোনো ভাবনা?

এনামুল হক বিজয় : লাস্ট প্রিমিয়ার লিগ যেটা ওয়ানডেতে হইছে, ওইখানে কিন্তু পর পর তিনটা ম্যাচে সেঞ্চুরি করছিলাম। তারপর অনেকদিন ওয়ানডে বন্ধ ছিল। এই কারণে ওয়ানডে অনেকদিন খেলিনি। দুই বছর পর আমরা ওয়ানডে ফরম্যাট খেলতেছি। আমি প্রথম থেকেই টেস্ট লাভার। টেস্ট ক্রিকেট, ওয়ানডে ক্রিকেট, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট। আমি ওইভাবেই নিজেকে প্রস্তুত করার চেষ্টা করেছি। যাতে তিন ফরম্যাটেই আমি নিয়মিত হতে পারি।

দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলের কোন পরিকল্পনার মধ্যে ডাক পেয়েছিলেন। বাংলাদেশ টাইগার্সে অনুশীলন কেমন হয়েছিল ও কেমন কাজে লাগছে?

এনামুল হক বিজয় : যারা জাতীয় দলের বাইরে থাকে, তারা অতো ভালো অনুশীলন সুবিধা পাই না। অবশ্যই বিসিবি সবসময় দেখভাল করে। তারপরেও একটা… কিন্তু বাংলা টাইগার্স যে অনুশীলন ক্যাম্পটা হলো, এইটা আমাদের ভালো কাজে দিচ্ছে।

ছোট্ট ১০-১২ দিনের ক্যাম্পে বাবুল স্যার থেকে শুরু করে আফতাব (আহমেদ) ভাই, তালহা (জুবায়ের) ভাই, নাজমুল (হোসেন) ভাই তারা খুব পরিশ্রম করছে। অনেক ক্রিকেটার যারা টাইগার্স টিমে ছিল তারা ভালো খেলছে, যেমন- জাকির (হাসান)। পেস বোলিংয়ে বেশ ভালো কয়েকজন বোলার আসছে যারা দারুণ খেলছে।

বাংলাদেশ টাইগার্স ক্যাম্পে অনুশীলনের ধরনটা কেমন ছিল? 

এনামুল হক বিজয় : বাংলাদেশ টাইগার্স বা ছায়া দলের এই ট্রেনিং ক্যাম্পটা বেশ ভালো একটা নিয়মের মধ্যে ছিল। আমার মনে হয় এটা বেশ ভালোই সাহায্য করেছে এবং প্রস্তুতি নেওয়াটা সহজ হয়েছে। বাবুল স্যার গেম ডেতে বলে বলে অনুশীলন করাতো। তোমার এত ওভারে এত লাগবে বা পাওয়ার প্লের পরিকল্পনায় খেলবা।

প্রতিনিয়তই উনি আমাদের মধ্যে এই বিষয়গুলো মাথায় ঢুকিয়ে দিতো। এটা সবার জন্য উপকারে আসছে। এটা সবার জন্য ভালো দিক হয়েছে। যে কারণে দক্ষিণ আফ্রিকায় দল টেস্টে ভালো খেলতেছে এবং প্রস্তুতিটাও ভালো ছিল।

জাতীয় লিগ বা বিসিএলের ধারাবাহিক পারফর্মার হওয়ার পরেও টেস্ট দলের দরজা খোলেনি। এটা নিয়ে আক্ষেপ আছে কি?

এনামুল হক বিজয় : আমার টেস্ট ক্রিকেট খুব পছন্দ। টেস্ট ক্রিকেটটা অনেক বেশি পছন্দ করি, সারাদিন মাঠে থাকতে খুব ভালো লাগে। টেস্টে ডাক না পাওয়ায় একটু আক্ষেপ আছে। তবে আশা করতেছি, খুব দ্রুতই ডাক পাব।  ভালো খেললে কেন নিবে না? আশা করি, তারা (নির্বাচক প্যানেল) আমাকে বিবেচনায় রাখবে। আমি শতভাগ চেষ্টা করে যাবো। যেন জাতীয় দলে খেলার জন্য ডাক পাই।

জাতীয় দলের বাইরে থাকাকালীন নির্বাচকদের সাথে কোনো কথা-বার্তা হয়েছে কি-না? বা তারা আপনার পারফর্মেন্স নিয়ে কথা বলেছেন কি?

এনামুল হক বিজয় : না! দেখেন (আব্দুর রাজ্জাক) রাজ ভাই এতো বড় লিজেন্ড প্লেয়ার। আমি ভাগ্যবান যে তার সাথে প্রায় ৯-১০ বছর একসাথে এনসিএল আর বিসিএলে খেলতে পেরেছি। উনার চোখের সামনে আমি ২০-২৫ টা সেঞ্চুরি করেছি। রাজ ভাই তো আমাকে অনেক ভালো চিনে। (মিনহাজুল আবেদিন) নান্নু স্যার আর (হাবিবুল বাশার) সুমন স্যার তো অনেক সিনিয়র তারা হয়তো আমাকে কাছ থেকে দেখেনি। কিন্তু রাজ ভাই তো আমাকে খুব কাছ থেকে দেখছে।

এনারা তো সবাই সবাইকে চিনে, সবার খবর রাখে। ভালো খেললেই সুযোগ আসবে। ভালো না খেললে পরিশ্রম করে যেতে হবে এটাই নিয়ম। আমি মনে করি, অবশ্যই তাদের মাথায় আছে। তারা যখন মনে করবে এবং সুযোগ হবে, আমাকে জাতীয় দলে ডাকবে।

২০১৫ বিশ্বকাপে পাওয়া ইনজুরির কারণে কি অনেকটা পিছিয়ে পড়েছেন?

এনামুল হক বিজয় : আসলে ইনজুরি তো সবসময় ওইরকমই। আমি আশা করি নাই ইনজুরির পর আমি ডাক পাবো না। কারণ ওই সময় খুব ভালো যাচ্ছিলো। ভাবছিলাম, ইনজুরি থেকে ব্যাক করলেই জাতীয় দলে ডাক পাবো। এটাই চিন্তা করেছিল। এরপর ডাক পাইনি, এটা আমাকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিছে। খারাপ সময় চলছিল, ভাবছিলাম জাতীয় দলে থাকবো, সেটা থাকা হয় নাই। আমার জন্য মনে হয় ইনজুরিতে পড়লে সবার জন্যই একটু কঠিন হয়। 

ইনজুরি থেকে ফেরার পর জাতীয় দলে আসার পথটা অনেক কঠিন হয়েছে…

এনামুল হক বিজয় : তাসকিন (আহমেদ) যেভাবে ব্যাক করলো, মাশরাফি (বিন মর্তুজা) ভাই যেভাবে ব্যাক করেছে। এটা আমাদের উৎসাহ যোগায়। তারা এইভাবে ফিরতে পারলে, আমরাও পারবো। এমন কঠিন কিছু না। চিন্তা করছি, সুস্থ হয়ে পারফর্ম করতে পারলেই জাতীয় দলে আসতে পারবো।

জাতীয় দলে আবার সুযোগ পেলে ব্যক্তিগত লক্ষ্য কি হবে?

এনামুল হক বিজয় : জাতীয় দলে আসাটাই তো মুখ্য বিষয় না। জাতীয় দলে নিয়মিত করা এবং খুব ভালোভাবে নিয়মিত হওয়াটা জরুরি বিষয়। আমি যখনই জাতীয় দলে আসি, তখন আসলাম বলেই শেষ না। আমি যে জায়গাটাই ছিলাম, সেই জায়গায় আরও ভালো করে দেশের জন্য ভালো কিছু সময় ধরে খেলাটাই গুরুত্বপূর্ণ। যে রকম আমাদের বড় ভাইয়েরা পাঁচজন খেলে গেছেন বা খেলছেন, তাদের মতো করে চিন্তা করলে ঢোকাটাই মূখ্য বিষয় না। অনেক সময় ধরে খেলাটাই মুখ্য বিষয়। 

তারপরেও একটা আশা তো থাকেই…

এনামুল হক বিজয় : আমি সবসময় চাই এমন একজন সদস্য হই, যার কাছ থেকে মানুষ আশা করে। আর সেটা যেন আমি পূরণ করতে পারি। এইভাবে আমি চিন্তা করি। জাতীয় দলে এসে আমি দলকে জেতাতে চাই। যতদিন আমি ক্রিকেট খেলবো, এটাই আমার স্বপ্ন। এখন যেভাবে পারফর্ম করছি।

স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর


শেয়ার করুন :


আরও পড়ুন

প্রথম শ্রেণিতে লক্ষ্য নেই, মূল লক্ষ্য জাতীয় দল: শামীম পাটোয়ারী

প্রথম শ্রেণিতে লক্ষ্য নেই, মূল লক্ষ্য জাতীয় দল: শামীম পাটোয়ারী

কাবাডি ফেডারেশনের কর্তাদের আন্তরিকতায় মুগ্ধ খেলোয়াড়রা

কাবাডি ফেডারেশনের কর্তাদের আন্তরিকতায় মুগ্ধ খেলোয়াড়রা

আরও ১৫ বছর খেলা শেষে কোচ হতে চান রোমান সানা

আরও ১৫ বছর খেলা শেষে কোচ হতে চান রোমান সানা

মাশরাফির মতো ক্যাপ্টেন দেখিনি : হাবিবুল বাশার

মাশরাফির মতো ক্যাপ্টেন দেখিনি : হাবিবুল বাশার