বিসিবি নাটকের দ্বিতীয় পর্ব আসতে পারে আগামী বছর : ইশরাক হোসেন

স্পোর্টসমেইল২৪ স্পোর্টসমেইল২৪ প্রকাশিত: ১১:২২ পিএম, ০১ অক্টোবর ২০২৫
বিসিবি নাটকের দ্বিতীয় পর্ব আসতে পারে আগামী বছর : ইশরাক হোসেন

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পরিষদ নির্বাচনে নাটকের যেন শেষ নেই। বর্তমান সরকারের সমর্থিতদের সাথে নির্বাচনী যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত সরে দাঁড়িয়েছেন তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন বিএনপি সমর্থিত ক্লাব সংগঠকরা।

বিসিবির এ নির্বাচনে বিএনপি নেতা ও ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের কাউন্সিলর ইশরাক হোসেন মনোনয়ন ফরম কিনলেও তা জমা দেননি। তবে নির্বাচন নিয়ে এবার এক বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ঢাকা দক্ষিণের এই বিএনপি নেতা। ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে ইশরাক হোসেন বলেন, বিসিবের এই নাটকের দ্বিতীয় পর্ব আসতে পারে আগামী বছর।

বুধবার (১ অক্টোবর) বিসিবি নির্বাচন থেকে তামিম ইকবালসহ ১৬ জন তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। এ বিষয়ে সেসময় তামিম ইকবাল জানিয়েছিলেন, নির্বাচন নিয়ে বিসিবিতে কলঙ্কের দাগ লেগে গেল।

ফেসবুকে দেওয়া ইশরাক হোসেনের স্ট্যাটাস নিচে হুবুহু তুলে ধরা হলো-

গত কয়েকদিন বিসিবি নির্বাচন নিয়ে অনেক কিছু বলার থাকলেও, নির্বাচনকে আরও প্রভাবিত না করার জন্য কোনো পাবলিক প্ল্যাটফর্মে কিছু লিখিনি। গণমাধ্যম যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও আমি কৌশলী ভূমিকায় ছিলাম। আজকে অল্প কয়েকটি কথা বলবো, কারণ ভিতরের-বাইরের সব কিছু খুলে বললে অনেকের পরনের প্যান্ট খুলে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি হতে পারে।

১/ বিএনপির জ্যেষ্ঠ কয়েকজন নেতার ছেলেরা ক্রিকেট বোর্ডে আসতে চেয়েছিলেন দেশ ও জাতিকে কিছু দেওয়ার উদ্দেশ্যে। আমাদের সকলের ভালোবাসা ও গৌরবের জায়গা ক্রিকেট। কিছু লোক এমনভাবে মন্তব্য করলো, যেন রাজনীতিবিদ অথবা তাদের পরিবারের সদস্যদের ক্রীড়া সংগঠক হওয়া হারাম। এ যেন বিশাল কোনো কেলেঙ্কারি/দুর্নীতি/আইনের লঙ্ঘন।

২/ যারা নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন, প্রত্যেককে আমি খুব ভালোভাবেই চিনি ও জানি। ক্রীড়া ক্ষেত্রে তাদের যথেষ্ট অবদান রয়েছে -তা সংগঠক হিসেবে অথবা অর্থায়নের মাধ্যমে। ক্লাবগুলো ওনাদের কাউন্সিলরশিপ দিয়েছে। সেখানে তাদের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে বের করা খুবই সহজ।

৩/ বর্তমানে যাদেরকে আমরা কিংস পার্টি বলি, তাদের ইন্ধনে একজন উপদেষ্টার সরাসরি হস্তক্ষেপের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলায় তাদের দলের নির্বাচিত কাউন্সিলর নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এজন্য ডিসিদের অকথ্য ভাষায় হুমকিও প্রদান করেছেন উপদেষ্টা।

শেষ কথা বলবো যে প্রার্থীরা একেকজন অত্যন্ত যোগ্য, শিক্ষিত, ক্রিকেটপ্রেমী এবং অত্যন্ত সক্ষম (very resourceful)। তারা কেবল ক্রিকেটকে ভালোবাসেন এবং সার্বিকভাবে ক্রিকেটে অবদান রাখার সুযোগ চেয়েছিলেন—তা জাতীয় এবং জেলা পর্যায় পর্যন্ত। Anyway, nothing is permanent. বিশেষ করে একটি সম্পূর্ণ পূর্বনির্বাচনী (pre-selection) পদ্ধতি ব্যবহার করে, নিজেদের কাউন্সিলর অন্তর্ভুক্ত করে এবং অন্যদের বৈধ কাউন্সিলরশিপ বাদ দিয়ে, বোর্ডে নিজেদের আধিপত্য কায়েম করতেই এত সব আয়োজন কিংস পার্টির তরফে সেই উপদেষ্টা করেছেন।

কতটুকু সফল হবে এবং কতটুকু টিকে থাকবে (sustain করবে) -কিছু মাসের মধ্যে দেখা যাবে। এই নাটকের দ্বিতীয় পর্ব আসতে পারে আগামী বছর।

বিএনপির পরিবারের সদস্যরা ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরি অথবা অন্য যেকোনো পেশায় কেবল বৈষম্যের শিকার হয়েছেন ১৭ বছর যাবৎ। একটাই দোষ ছিল -BNP family হওয়া। এখন এই সরকারের এক বা একাধিক উপদেষ্টা ওই হাসিনার কথার হুবহু কপি করছে। তারা বলে: ‘বিএনপি লোকজন বিসিবিতে কী করে?’ বা ‘ক্রীড়াঙ্গনে বিএনপির কী কাজ?’

মহান আল্লাহ তায়ালা চাইলে বিসিবিতে ওনারা কী করেন এবং ওনাদের কাজ কি, তা নিকট ভবিষ্যতে দেখা যাবে।

“We plan and they plan, but Allah is the best of all planners.” — Surah Al-Baqarah.



শেয়ার করুন :