দুই ম‍্যাচ বাকি থাকতেই পাকিস্তানের সিরিজ জয়

স্পোর্টসমেইল২৪ স্পোর্টসমেইল২৪ প্রকাশিত: ০৮:৫১ এএম, ০৪ মে ২০২৩
দুই ম‍্যাচ বাকি থাকতেই পাকিস্তানের সিরিজ জয়

পাকিস্তানের মাটিতে যেন পাত্তাই পাচ্ছে না নিউজিল্যান্ড। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম তিন ওয়ানডেতেই হারের স্বাদ পেল সফরকারীরা। বিপরীতে টানা তিন জয়ে দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করলো বাবর আজমের দল।

সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ইমাম-উল-হক ও বাবর আজমের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৬ উইকেটে ২৮৭ রানের লড়াকু পূঁজি পায় স্বাাগতিক পাকিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪ বল বাকি থাকতেই ২৬১ রানে গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড।

ম্যাচটিতে ২৬ রানে জয় পেয়েছে বাবর আজমরা। এ ম্যাচ জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করা ছাড়াও ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে পাকিস্তান। সিরিজের বাকি দুই ম্যাচেও একই ধারা অব্যাহত রাখতে পারলে নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার লজ্জা দিতে পারবে বাবররা।

বুধবার (৩ মে) করাচিতে টস হেরে ব‍্যাট করতে নামে পাকিস্তান। ইনিংসের ৯ম ওভারে ফখর জামানকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন ম‍্যাট হেনরি। ব্যাট হাতে ৪টি চারে ১৯ রান করেন বাঁহাতি এ ওপেনার।

ইমাম-উল-হক ও বাবর আজমের দ্বিতীয় উইকেটে শতরানের জুটিতে বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় পাকিস্তান। ৬৭ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন ইমাম, ৫৮ বলে বাবর। দু’জনের ব্যাট থেকে আসে ১২১ বলে ১০৮ রান। ফিফটি করার পর ফিরে বাবর। ৬২ বল খেলে এক ছক্কা ও তিন চারে ৫৪ রান করেন তিনি।

বাবরের পর হতাশ করেন ইমাম। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও ফিরেন সাজঘরে। অ‍্যাডাম মিল্নের এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ৯০ রানে থামেন ইমাম। ১০৭ বলে তার এ ইনিংসে ৭টি চার ও একটি ছক্কার মার ছিল। শেষ দিকে ১০ বলে দুই ছক্কা ও এক চারে অপরাজিত ২১ রানে দলকে ২৮৭ রানের সংগ্রহ এনে দেন শাদাব খান।

সিরিজ রক্ষায় ২৮৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ ভালো করে নিউজিল‍্যান্ড। পাকিস্তানের বোলিং সামাল দিয়ে দলকে এগিয়ে নেন উইল ইয়াং ও টম ব্লান্ডেল। তবে রান আউটে কাটা পড়ে আলাদা হন দুই ওপেনার। ১৫.৩ ওভারে দলীয় ৮৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় সফলকারীরা।

উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ম‍্যাচ থেকে ছিটকে যায় সফরকারীরা। দুইবার জীবন পেলেও ড‍্যারিল মিচেল দলের জন্য জয় এনে দিতে পারেননি। ফিরেছেন মাত্র ২১ রানে।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৫ রান করেন ওপেনার টম ব্লান্ডেল। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় দুই রান নিতে গিয়ে রান আউটে কাটা পড়েন ব্লান্ডেল। ৭৮ বলে সাতটি চারে ৬৫ রান করেন তিনি। এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৪* রান করেন কোল ম‍্যাকনকি। তবে সঙ্গী তা থাকায় নিজে অপরাজিত থাকলেও হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে।


শেয়ার করুন :