নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতায় প্রথম চারদিনের ম্যাচে ৭০ রানে হারলো বাংলাদেশ ‘এ’ দল। নিউজিল্যান্ডের ছুঁড়ে দেওয়া ২৪৬ রানের টার্গেটে ম্যাচের চতুর্থ ও শেষ দিন ১৭৫ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তৃতীয় দিন শেষে পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ১২ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে দিন শেষে ৫ উইকেটে ২১৬ রান করেছিল নিউজিল্যান্ড। ৫ উইকেট হাতে নিয়ে ২০৪ রানে এগিয়ে ছিল সফরকারীরা।
চতুর্থ দিন বাংলাদেশের দুই স্পিনার হাসান মুরাদ ও নাইম হাসানের ঘূর্ণিতে বাকী ৫ উইকেটে ৪১ রান যোগ করে ২৫৭ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। ১১৭ রান নিয়ে দিন শুরু করে ১২২ রানে আউট হন নিউজিল্যান্ডের নিক কেলি। এছাড়া ডিন ফক্সক্রফট ২১ ও মিচেল হে ১৮ রান করেন। মুরাদ ৬১ রানে ৫টি ও নাইম ৭৩ রানে ৪ উইকেট নেন।
জয়ের জন্য ২৪৬ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে দলীয় ১৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মারমুখী মেজাজে ইনিংস শুরু করে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ৮ বলে ১৬ রানে আউট হন ওপেনার এনামুল হক।
এরপর মাহমুদুল হাসান জয় ৪ ও অমিত হাসান ৫ রানে ফিরলে ৪৬ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। চতুর্থ উইকেটে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে নিয়ে ৪৮ রানের জুটি গড়েন আরেক ওপেনার জাকির। হাফ-সেঞ্চুরি তুলে দলীয় ৯৪ রানে সাজঘরে ফিরেন জাকির। ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় ৮৯ বলে ৫০ রান করেন তিনি।
জাকিরের বিদায়ে জুটি বেঁধে বাংলাদেশের রানের চাকা ঘুড়িয়েছেন অঙ্কন ও অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। জুটিতে ৫০ রান যোগ হবার পর বিচ্ছিন্ন হন তারা। উইকেটে সেট হয়ে ৩ বাউন্ডারিতে ২৭ রানে ফিরেন নুরুল।
দলীয় ১৪৪ রানে অধিনায়ক ফেরার পর নিউজিল্যান্ডের দুই স্পিনার জেইডেন লিনক্স ও আদিত্য অশোকের সামনে অসহায় আত্মসমর্পন করে বাংলাদেশের শেষ পাঁচ ব্যাটার। ফলে ১৭৫ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। শেষ পাঁচ ব্যাটারের কেউই দুই অঙ্কে পা দিতে পারেননি।
এক প্রান্ত আগলে লড়াই করে ৫৭ রানে অপরাজিত থাকেন অঙ্কন। তার ১৬৭ বলের ইনিংসে ৬টি চার ছিল। অশোক ৫টি ও লিনক্স ৩ উইকেট নেন। ৬ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন অশোক।