রাজনীতির কারণে হত্যা মামলার আসামী হয়ে দেশের বাইরে রয়েছেন দেশসেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। তবে সুযোগ পেলে আবারও দেশের হয়ে ক্রিকেট খেলতে চান তিনি। পরিকল্পনা করতে চান, আরও কতদিন দেশের হয়ে ক্রিকেট খেলবেন। তবে তার জন্য চান নিরাপত্তার নিশ্চয়তা।
দেশের ইংরেজি দৈনিক ডেইলি সান-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন সাকিব। দেশের হয়ে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করে নিরাপত্তা নিয়ে সাকিব বলেন, “আমার নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে আমি ফিরে আসতে রাজি। আমার বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করার সময় আমি খুব দুঃখ পেয়েছিলাম এবং পরে আমি জানতে পারি যে, মামলা দায়েরকারী ব্যক্তিই জানেন না যে, আমার নাম কীভাবে এতে (আসামী হিসেবে) এসেছিল।”
তিনি বলেন, “আমি ভাবছি কিছু লোক কতদূর যেতে পারে। আমার কাছে প্রমাণ আছে যে, আমি নির্বোধ ছিলাম। পৃথিবীকে সরল এবং সরল ভেবেছিলাম, তবে আমি বুঝতে পেরেছি যে, এটি কতটা জটিল এবং সমালোচনামূলক হতে পারে।”
হত্যা মামলার আসামী হলেও দেশের মাটিতে শেষ টেস্ট খেলতে চেয়েছিলেন সাকিব। প্রাথমিকভাবে সব ঠিক থাকলেও দেশে ফেরার পথে আটকে যান তিনি। ফলে মাঝপথ থেকেই তাকে ফিরে যেতে হয়েছে। ক্রিকেট বোর্ড থেকে সাহায্য না পাওয়ার বিষয়ে সাকিব বলেন, “কারো বিরুদ্ধে আমার কোন অভিযোগ নেই, কোন ক্ষোভ নেই। প্রত্যেকেরই নিজস্ব সীমাবদ্ধতা আছে। এবং এটা নির্ভর করে আপনি কি ইতিবাচকভাবে বিষয়গুলো দেখতে চান নাকি জটিল করে তুলতে চান।”
নিজের দীর্ঘ ১৮ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ার এবং ছয় মাসের রাজনীতির ক্যারিয়ার নিয়েও কথা বলেন সাকিব। বলেন, “আপনি আমার গত ১৮ বছর (ক্রিকেট ক্যারিয়ার) বা গত ছয় মাস (রাজনীতি) ধরে আমাকে বিচার করবে কি-না তা আপনার ব্যাপার। আপনি যদি একদিক থেকে দেখেন, তাহলে হয়তো ভিন্ন মনে হতে পারে। তবে যদি আপনি এটাকে ন্যায্যভাবে দেখেন, তাহলে সবকিছুই যুক্তিসঙ্গত হবে। আমি মনে করি, আমি বাংলাদেশের হয়ে খেলার যোগ্য এবং বেশিরভাগ মানুষই চায় আমি দেশের হয়ে খেলা থেকে অবসর নিই, আরও কিছু সময় চালিয়ে (খেলা) যাই।”
দেশের হয়ে খেলা নিয়ে সাকিব আরও বলেন, “আমি বিশ্বাস করি আরও এক বা দুই বছর খেলতে পারবো। যদি কিছু ঘটে থাকে তাহলে ঠিক আছে, তবে সদিচ্ছা দিয়ে তা ঠিক করা যেতে পারে। আর সেই সদিচ্ছাটা শীর্ষ থেকে আসা দরকার।”