আমানত থেকে ২৫০ কোটি টাকা অন্যান্য ব্যাংকে স্থানান্তরের ব্যাখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। মূলত ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বিবেচনায় থাকা ব্যাংকগুলো থেকে তুলনামূলক ‘ভালো ব্যাংক’ (সবুজ ও হলুদ)গুলোতে সরিয়ে রাখা হয়েছে। একই সাথে বিসিবির দাবি, এসব ব্যাংক থেকে আগের তুলনায় বেশি সুদও আসছে।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিসিবি থেকে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জনানো হয়।
বলা হয়, ২০২৪ সালের আগস্টে বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর ফারুক আহমেদ বোর্ডের আর্থিক স্বার্থ রক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হিসেবে চিহ্নিত করেন। বিশেষ করে পূর্ববর্তী বছরগুলোতে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পরের মাসগুলোতে দেশ যে কঠিন অর্থনৈতিক সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল, সেই প্রেক্ষাপটে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এমন উদ্যোগের অংশ হিসেবে, বিসিবি তার ব্যাংকিং সম্পর্কের পুনর্মূল্যায়ন করে এবং শুধুমাত্র বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সবুজ ও হলুদ অঞ্চলের অধীনে শ্রেণিবদ্ধ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে জড়িত থাকার কৌশলগত সিদ্ধান্ত নেয়।
আরও বলা হয়, নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সাথে সংযুক্ত সর্বাধিক গুরুত্ব বিবেচনা করে বিসিবি ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচিত ব্যাংকগুলো থেকে ২৫০ কোটি টাকা তুলে নেয় এবং এর মধ্যে ২৩৮ কোটি টাকা সবুজ ও হলুদ অঞ্চলের ব্যাংকগুলোতে ‘পুনঃবিনিয়োগ’ করে। এছাড়া বিসিবির পরিচালনা ব্যয় সহজতর করার জন্য অবশিষ্ট ১২ কোটি টাকা একটি নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়।
বিসিবি টাকা ‘পুনঃবিনিয়োগের’ বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সভাপতি ফারুক আহমেদের একক কর্তৃত্বের কথা বলা হয়েছে। বিসিবি থেকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে।
বলা হয়, ব্যাংকিং অংশীদার পরিবর্তন বা ব্যাংকের সাথে আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে বিসিবি সভাপতি বিসিবি বোর্ডের অজান্তেই একতরফা সিদ্ধান্ত নেন না। ব্যাংকিং লেনদেনের অনুমোদনকারী বোর্ডের দু’জন স্বাক্ষরকারী আছেন- বিসিবি ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান ফাহিম সিনহা এবং বিসিবি টেন্ডার ও ক্রয় কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল আনাম। বোর্ড সভাপতি এ বিষয়ে স্বাক্ষরকারী নন।