স্পোর্টসমেইল২৪
করোনাভাইরাসের কারণে ক্রিকেটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এখন ঝুঁকিপূর্ণ। এ ভাইরাসে বেশি চিন্তায় পড়েছেন পেস বোলাররা। কারণ, বলের সুইং ধরে রাখতে বলের এক পাশকে লালা দিয়ে শাইন করেন তারা। করোনাভাইরাসের কারণে সেটি এখন তারা করতে পারছেন না। ফলে লালা ছাড়া কিভাবে বলের সুইং ধরে রাখা যায় সেই পথ খুঁজছে বাংলাদেশের পেসাররা।
সুইং-এর জন্য দীর্ঘক্ষণ বলের এক পাশকে চকচকে রাখার জন্য মুখের লালা ব্যবহার করেন পেসাররা। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুসারে এটি স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে। বর্তমান সময়ে এটিতে আরও বেশি ঝুঁকি রয়েছে। তবে করোনাভাইরাস শেষে ক্রিকেট শুরু হলে বিশ্ব হয়তো আবারও লালা ব্যবহার দেখতে পাবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পেসার এবাদত হোসেন বলেন, ‘লালা ছাড়া বলের শাইনিং ধরে রাখা অনেক বেশি কঠিন। বিশেষভাবে টেস্ট ক্রিকেটে। কিন্তু লালা ব্যবহার নিষিদ্ধ হলে আমরা তাতে অভ্যস্ত হয়ে যাব। সকল বোলারের ক্ষেত্রেই একই অবস্থা হবে। কিন্তু বলের সুইংএর জন্য তখন বোলাররা অন্য উপায় খুঁজে বের করবে।’
এবাদত জানান, সম্প্রতি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) লালা ছাড়া বোলিং করেছেন। এটি অভ্যাসের ব্যাপার। কখনো কখনো আমি লালা ব্যবহার করতাম কিন্তু পরে মনে পড়ে, আমাদের লালা ব্যবহার না করতে বলা হয়েছে। যেভাবেই হোক যেহেতু আমাকে বলে শাইন করতে হবে, লালার পরিবর্তে আমি বিকল্প চিন্তা করি। তবে আমরা কিভাবে বলে শাইন করতে পারি, তা নিয়ে ভবিষ্যতে অবশ্যই আলোচনা হবে এবং আশা করছি, আমরা কোন উপায় পেয়ে যাব।
লালা ব্যবহার করা না গেলে বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেট পেসারদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে। দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা এ রীতি বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হওয়ায় পেস বোলাররা অনেকটা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
বিসিবির ডিরেক্টর ও বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, যদি এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত আসে, তবে আমাদের বিকল্প উপায় খুঁজে বের করতে হবে। আমি মনে করি, বোলাররা ঘাম ব্যবহার করতে পারে।
তবে ঘরোয়া ক্লাব আবাহনী লিমিটেডের প্রধান কোচ মাহমুদ মনে করেন না যে, ঘাম খুব বেশি কার্যকর হবে। তিনি বলেন, আমি এটি বলতে পারি যে, লালা ব্যবহার না করা হলেও আমরা অন্য কোন সমাধান বের করতে পারব।
