খেলার মাঠ বৃদ্ধিতে গুরুত্ব দিচ্ছেন ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান

স্পোর্টসমেইল২৪ স্পোর্টসমেইল২৪ প্রকাশিত: ০১:৫৬ পিএম, ১৫ জানুয়ারি ২০২৪
খেলার মাঠ বৃদ্ধিতে গুরুত্ব দিচ্ছেন ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান

১৯৯০ সালের পর একজন পূর্ণমন্ত্রী পেয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। মন্ত্রী হিসেবে প্রথম কর্মদিবসেই সারাদেশে খেলার মাঠ বাড়ানোর ঘোষণা দিলেন নাজমুল হাসান পাপন। ক্রীড়া মন্ত্রী বলেন, ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, স্টেডিয়াম তো রয়েছে। কিন্তু মাঠ কোথায়? মাঠ না থাকলে মানুষ খেলবে কোথায়?

রোববার (১৪ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে প্রথমবারের মতো মন্ত্রী হিসেবে অফিস করেছেন। এরপর দুপুরের গিয়েছিলেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে। এ সময় বিভিন্ন ফেডারেশেনের কর্মকর্তাসহ সর্বস্তরের মানুষের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন নতুন ক্রীড়ামন্ত্রী।

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদেরও চেয়ারম্যান। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সাধারণত স্টেডিয়াম অবকাঠামো নির্মাণে ব্যস্ত থাকে। নতুন চেয়ারম্যান স্টেডিয়াম নির্মাণের চেয়ে মাঠকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‍“ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, স্টেডিয়াম তো রয়েছে। কিন্তু মাঠ কোথায়? মাঠ না থাকলে মানুষ খেলবে কোথায়? তাই আমার কাছে স্টেডিয়ামের চেয়ে মাঠ বেশি প্রয়োজন। ”

ঢাকায় মাঠ সঙ্কটের বিষয়টি উল্লেখ করে নাজমুল হাসান পাপন। একই সাথে ক্রিকেটের সমস্যাও সামনে আনলেন বিসিবি সভাপতি। মন্ত্রী বলেন, “মিরপুর স্টেডিয়াম ছাড়া ঢাকায় সেভাবে মাঠ নেই। ফলে মিরপুরে অনেক চাপ পড়ছে এবং এ জন্য উইকেটের মানও ভালো হচ্ছে না। স্টেডিয়াম কিন্তু আমাদের অনেক রয়েছে। অনেক স্টেডিয়াম তালাবদ্ধ খেলা হয় না, আবার অনেক স্টেডিয়াম সকলের জন্য উন্মুক্ত নয়। ”

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের বাজেট হাজার কোটি টাকার একটু বেশি। এর মধ্যে যুব খাতেই চলে যায় অনেক অর্থ। ক্রীড়াঙ্গনে যে টাকা থাকে এর আবার সিংহভাগ অবকাঠামো নির্মাণ ও প্রশাসনিক ব্যয়। ক্রীড়ার প্রশিক্ষণে তুলনামূলক বেশি বরাদ্দ থাকে না। প্রশিক্ষণের পাশাপাশি অবকাঠামো নির্মাণও প্রয়োজন বলে মনে করেন নতুন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, “প্রশিক্ষণ যেমন দরকার, তেমনি প্রয়োজন অবকাঠামো নির্মাণও। খেলোয়াড়দের জন্য ভালো এবং উন্নতমানের জায়গা দেওয়া দরকার প্রশিক্ষণ করানোর জন্য। ফুটবল ক্রিকেটসহ অন্যান্য খেলাতেও আমাদের ভালো করার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে আমাদের অগ্রাধিকার ঠিক করতে হবে। বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশনগুলো, যারা আমাদের থেকে আর্থিক সহায়তা নিয়ে থাকে তাদের একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে হবে। আগামী তিন বছর পর তারা কোথায় যেতে চাই, কী অর্জন করতে চাই সেটি তাদের জানাতে হবে। আমি অল্প সময়ের মধ্যেই ইনডিভিজুয়ালি প্রতিটি ফেডারেশনের সাথে বসবো। তাদের সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা শুনবো।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের অনেক ফেডারেশন ভালো ফলাফল করছে। আমাদের ফুটবল এগিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে নারী ফুটবলাররা ভালো করছে। ছেলেরাও উন্নতি করেছে। শুটিং, আর্চারিসহ আরও অনেকে উন্নতি করছে। ক্রিকেটের মতো অন্যান্য খেলাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সব রকমের সহযোগিতা করা হবে। দেশের যুবগোষ্ঠীর সার্বিক উন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করা হবে।”


শেয়ার করুন :