দেউলিয়া আইনে অভিযুক্ত হলেন টেনিসের সাবেক নাম্বার ওয়ান জার্মান তারকা বরিস বেকার। দেউলিয়াত্ব সম্পত্তির জন্য দেউলিয়া আইনের অধীনে চারটি অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ঋণ পরিশোধ এড়াতে তার বিরুদ্ধে মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের সম্পদ লুকানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।
২০১৭ সালের জুন মাসে স্পেনের ম্যালোর্কাতে তার এস্টেটে তিন মিলিয়ন ইউরোরও বেশি অনাদায়ী ঋণের জন্য তাকে দেউলিয়া ঘোষণা করা হয়েছিল। দেউলিয়া হওয়ার পর তার ব্যবসায়িক অ্যাকাউন্ট থেকে কয়েক লক্ষ পাউন্ড সরিয়ে ফেলা ও আট লক্ষ ইউরো ঋণ গোপন করার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
সব মিলিয়ে ৫৪ বছর বয়সী এই টেনিস তারকার বিরুদ্ধে ২০টি অভিযোগ আনা হয়েছিল। শুক্রবার (৮এপ্রিল) অভিযোগ শুনানীর পর লন্ডনের সাউথওয়ার্ক ক্রাউন কোর্টে থেকে জামিন পেয়েছেন বেকার। তবে এখনো তিনি পুরোপুরি মুক্ত নন। আবারও তাকে শুনানির মুখোমুখি হতে হবে।
২০১২ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন এই জার্মান টেনিস তারকা। তিনি যুক্তরাজ্য থেকে বিশাল পরিমানে ঋণ নিয়েছিলেন। তবে ঋন পরিশোধের সময় জার্মানির সম্পত্তি ঘোষণা করতে পারেননি।
আদালতে শুনানির সময় বেকার বলেছিলেন, তিনি তার কর্মজীবনে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি অর্জন করেছেন, বিভিন্ন সম্পত্তির জন্য নগদ অর্থ প্রদান করেছেন। কিন্তু ১৯৯৯ সালে অবসর নেওয়ার পর থেকেই তার আয় নাটকীয়ভাবে কমতে শুরু করেছে।
আপাতত জামিনে আছেন বেকার। চলতি মাসের ২৩ এপ্রিল আবারও তার সাজার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। অভিযুক্ত প্রমাণিত হলে প্রতিটি অভিযোগের জন্য সাত বছর করে জেল হতে পারে কিংবদন্তি এই টেনিস তারকার।
স্পোর্টসমেইল২৪/এএইচবি