সাকিব আল হাসানের পর এবার মাশরাফি বিন মর্তুজার বিপক্ষেও দায়ের হলো মামলা।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকালে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মিছিলে গুলি, বোমা বিস্ফোরণ ও মারধর করার অভিযোগে মাশরাফি ও তার বাবা গোলাম মর্তুজার স্বপনসহ ৯০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় মাশরাফিকে হুকুমের আসামী করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে নড়াইল সদর থানায় মামলাটি করেন শেখ মোস্তফা আল-মুজাহিদুর রহমান পলাশ। নড়াইল সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, কোটা সংস্কার আন্দোলনকালে ছাত্র-জনতাকে রুখতে আসামিরা গত ৪ আগস্ট দুপুর আড়াইটার দিকে রাম দা, ছুরি, চাইনিজ কুড়াল ও লোহার রডের মতো দেশীয় অস্ত্রের পাশাপাশি শর্টগান, বন্দুক-পিস্তল ও বোমা নিয়ে নড়াইল চৌরাস্তায় সমাবেশ করে।
সমাবেশ চৌরাস্তা থেকে চিত্র নদীর ওপর রাসেল সেতুর পূর্বপাড় পর্যন্ত বিস্ততৃ ছিল। ওই সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা ও নিরীহ শান্তিকামী জনতা স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে মিছিল নিয়ে শহর অভিমুখে আসছিল।
রাসেল সেতুর কাছাকাছি পৌঁছতেই আসামিরা আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালায়। রাম দা, ছুরি, চাইনিজ কুড়াল ও লোহার রড দিয়ে হামলার পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের ওপর শর্টগান ও পিস্তল থেকে গুলিবর্ষণ করা হয়।
বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বোমার। বৃষ্টির মতো নিক্ষেপ করা হয় ইট-পাটকেল। এতে বহু আন্দোলনকারী গুরুতর আহত হন। তাদের অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন এবং এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মামলায় ১ থেকে ৪ নং আসামীদের শর্টগান ও পিস্তল থেকে গুলিবর্ষণের নির্দেশদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়। মামলার ১ নম্বর আসামি মাশরাফি বিন মুর্তজা। মাশরাফির বাবা গোলাম মুর্তজাকে ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে। এছাড়া ৩ ও ৪ নম্বর আসামি হিসেবে রয়েছেন যথাক্রমে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবাস চন্দ্র বোস ও সাধারণ সম্পাদক নিজামুদ্দিন খান।
এর আগে সাকিব আল হাসানকে আসামী করে ঢাকার আদাবরে হত্যা মামলা করা হয়েছে। সাকিব আল হাসানের পর এবার আরেকজন ক্রিকেটার যিনি আওয়ামী সরকারের সংসদ সদস্য ছিলেন।