বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নতুন কমিটির সামনে প্রথম চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১২তম আসর আয়োজন করা। তবে বিপিএল আয়োজনকে চ্যালেঞ্জ মনে করছেন না মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন। তার মতে, সময়ের সঙ্গে সকলকে এগিয়ে যেতে হবে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) ক্রীড়া সাংবাদিকদের তিনটি সংগঠন পরিদর্শন শেষে ‘বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্টস এসোসিয়েশন -বিএসজেএ’-তে বিপিএল নিয়ে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। এ সময় ফ্র্যাঞ্চাইজিদের মুনাফা শেয়ার করা হবে বলেও জানান বিসিবির এ তরুণ পরিচালক।
আমজাদ হোসেন বলেন, “ফ্র্যাঞ্চাইজিদেরকে আগ্রহী করতে আমরা বেশ কিছু রেভেনিউ শেয়ারিং মডেল নিয়ে এসেছি। এবার প্রাইজমানি চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা এবং রানার-আপ দল পাবে ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এছাড়া তিনটা প্রধান আয়- ওয়ার্ল্ডওয়াইড মিডিয়া রাইটস, গ্রাউন্ড রাইটস এবং টিকিট বিক্রি থেকে আয় -এই তিনটার নেট প্রফিটের ৩০ শতাংশ ফ্র্যাঞ্চাইজিদের দেওয়া হবে।”
এছাড়া মাঠে গ্রাউন্ড পেরিমিটার বোর্ডে যখন যে দলের খেলা হবে তারা ৩০ মিনিট করে দলের স্পন্সরদের বিজ্ঞাপনের জন্য ব্যবহার করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে বিসিবি কোন প্রকার চার্জ নেবে না বলেও জানান তিনি।
তবে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের জন্যও রয়েছে কঠোর বার্তা। আগ্রহী ফ্র্যাঞ্চাইজিদের বিষয়ে তিনি বলেন, “আগ্রহী ফ্র্যাঞ্চাইজিদের দুই কোটি টাকার পে-অর্ডারসহ আবেদন জমা দিতে হবে। ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি প্রতি বছর ১৫ শতাংশ করে বৃদ্ধি পাবে, যেহেতু পাঁচ বছরের জন্য টিম অ্যাওয়ার্ড করা হবে। এর বাইরে ব্যাংক গ্যারান্টি ১০ কোটি টাকা মেন্ডেটরি।”
ব্যাংক গ্যারান্টির বাধ্যতামূলক হওয়ার কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, “আপনারা জানেন যে, বিভিন্ন জায়গা থেকে ফিডব্যাক এসেছে। সো, ব্যাংক গ্যারান্টি, প্লেয়ার্স পেমেন্ট স্মুথ অপারেশন নিশ্চিত করার জন্য ১০ কোটি টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে হবে। এটার টাইম ডিউরেশন হচ্ছে ছয় মাস। এর মধ্যে কাভার করতে হবে।”
