কুমিল্লাকে হারিয়ে জয়ের দেখা পেল ঢাকা

স্পোর্টসমেইল২৪ স্পোর্টসমেইল২৪ প্রকাশিত: ১০:৪৯ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯
কুমিল্লাকে হারিয়ে জয়ের দেখা পেল ঢাকা

কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সকে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু বিপিএলে জয়ের দেখা পেল টুর্নামেন্টের একমাত্র শক্তিশালী দল হিসেবে খ্যাতি পাওয়া ঢাকা প্লাটুন। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে থিসেরা পেরেরার অলরাউন্ডার নৈপূণ্যে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সকে ২০ রানে হারিয়েছে মাশরাফির দল ঢাকা।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। ফলে ব্যাট হাতে তামিম-পেরেরার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮০ রান সংগ্রহ করে ঢাকা প্লাটুন। যা চলমান বিপিএলের সর্বোচ্চ দলীয় রান।

১৮১ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেটে ১৬০ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। ফলে ২০ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাগে ঢাকা। এর আগে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) নিজেদের প্রথম ম্যাচে রাজশাহী রয়্যালসের কাছে ৯ উইকেটে হেরে গিয়েছিল ঢাকা প্লাটুন।

টস হেরে ব্যাট হাতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট হারায় ঢাকা প্লাটুন। আফগানিস্তানের মুজিব উর রহমানের বলে লেগ বিফোর ফাঁদে পড়ে খালি হাতে সাজঘরে ফেরেন ঢাকার এনামুল হক বিজয়।

এরপর উইকেটে গিয়ে বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন তিন নম্বরে নামা মেহেদি হাসানও। ১২ রানে ফেরেন তিনি। অন্যপ্রান্তে ব্যক্তিগত ৪ রানে জীবন পেয়ে সতর্ক হন ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল। তার ক্যাচ ফেলেন কুমিল্লার সৌম্য সরকার।

ইংল্যান্ডের লরি ইভান্সকে নিয়ে ধীরলয়ে এগোতে থাকেন তামিম। উইকেট সেট হয়ে যাওয়ার পর মারমুখী হন তামিম। তবে ব্যক্তিগত ৪৩ রানে আবারও জীবন পান। এবার তামিমকে জীবন দেন ইংল্যান্ডের ডেভিড মালান। পরে ৪০ বলে নিজের হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এ বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান।

বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তোলেন ইভান্স। তবে ২ বাউন্ডারিতে ২৪ বলে ব্যক্তিগত ২৩ ও দলীয় ১০১ রানে আউট হন তিনি। তার আউট কুমিল্লার জন্য দুঃস্বপ্ন বয়ে আনে। উইকেটে গিয়ে চার-ছক্কার ফুলঝুড়ি ফুটান শ্রীলঙ্কার তারকা ক্রিকেটার থিসারা পেরেরা। ১৬তম ওভারে কুমিল্লার আবু হায়দারের শেষ পাঁচ বলে ১টি ছক্কা ও চারটি চার মারেন পেরেরা।

পেরেরার মারমুখী মেজাজ দেখে প্রতিপক্ষের বোলারদের ওপর চড়াও হন তামিমও। ফলে ১৫ ওভার শেষে যেখানে রান রেট ছিল ৭-এর সামান্য বেশি সেখানে ঢাকার ইনিংস শেষে রান রেট ৯। মাত্র ১৭ বলে ৭টি চার ও ১টি ছক্কায় অপরাজিত ৪২ রান করেন পেরেরা।

তামিম ৬টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৫৩ বলে করেন ৭৪ রান। ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮০ রানের বড় সংগ্রহ পায় ঢাকা। কুমিল্লার অধিনায়ক শ্রীলঙ্কার দাসুন শানাকা ও সৌম্য সরকার ২টি করে উইকেট নেন।

জয়ের জন্য ১৮১ রানের বড় টার্গেটে খেলতে নেমে ঝড়ো গতিতে শুরু করে কুমিল্লা। শ্রীলঙ্কার বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান ভানুকা রাজাপাকসে চার-ছক্কার বন্য বইয়ে দেন । ফলে প্রথম ১৬ বলেই ৩২ রান পেয়ে যায় দল।

ইনিংসের ১৭তম বলে ২৯ রান করা রাজাপাকসেকে সনাসরি বোল্ড করেন অধিনায়ক মাশরাফি। ১২ বলের ইনিংসে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় হাকান রাজাপাকসে। পরের ওভারে আউট হন আরেক ওপেনার ৩ রান করা ইয়াসির আলি।

এরপর দলের হাল ধরে ৪১ বলে ৫০ রানের জুটি গড়েন সৌম্য সরকার ও মালান। দ্রুত রান তুলতে থাকা সৌম্যকে থামিয়ে ঢাকাকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন পাকিস্তানের পেসার ওয়াহাব রিয়াজ। ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৬ বলে ৩৫ রান করেন সৌম্য।

সৌম্যর বিদায়ের পর ১২তম ওভারে কুমিল্লার মেরুদণ্ড ভেঙে দেন পেরেরা। সাব্বির রহমানকে ৪ ও আগের ম্যাচে ব্যাট হাতে সেরা পারফরমার অধিনায়ক শানাকাকে শূন্য রানে আউট করেন পেরেরা।

১২তম ওভারের পর মালান ৪০ ও উইকেটরক্ষক মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৩৭ রান করে কুমিল্লার হার রুখতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬০ রান করে কুমিল্লা। ম্যাচসেরা নির্বাচিত হওয়া ঢাকার পেরেরা ৩০ রানে নেন ৫ উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
ঢাকা প্লাটুন : ১৮০/৭, ২০ ওভার (তামিম ৭৪, পেরেরা ৪২*, সৌম্য ২/৩৯)
কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স : ১৬০/৯, ২০ ওভার (মালান ৪০, মাহিদুল ৩৭, পেরেরা ৫/৩০)।

ফল : ঢাকা প্লাটুন ২০ রানে জয়ী।


শেয়ার করুন :


আরও পড়ুন

সিলেটকে হারিয়ে চট্টগ্রামের শুভ সূচনা

সিলেটকে হারিয়ে চট্টগ্রামের শুভ সূচনা

রংপুর রেঞ্জার্সকে বড় ব্যবধানে হারালো কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স

রংপুর রেঞ্জার্সকে বড় ব্যবধানে হারালো কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স

খুলনার কাছে ধরা খেল চট্টগ্রাম

খুলনার কাছে ধরা খেল চট্টগ্রাম

রাজশাহীর কাছে ঢাকার পর সিলেটও পাত্তা পেল না

রাজশাহীর কাছে ঢাকার পর সিলেটও পাত্তা পেল না