টেক্টরের ১৪০, বাংলাদেশকে ৩২০ রানের লক্ষ্য দিল আয়ার‌ল্যান্ড

স্পোর্টসমেইল২৪ স্পোর্টসমেইল২৪ প্রকাশিত: ০৯:৩৪ পিএম, ১২ মে ২০২৩
টেক্টরের ১৪০, বাংলাদেশকে ৩২০ রানের লক্ষ্য দিল আয়ার‌ল্যান্ড

বৃষ্টির কারণে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমেছে পাঁচ ওভার। তবে আয়ারল্যান্ড যেন পণ করেই বসেছে, যে করেই হোক বাংলাদেশকে হারাতেই হবে। সেই লক্ষ্যে অনেকটাই এগিয়ে গেল আইরিশরা। প্রথমে ব্যাট করে হ্যারি টেক্টরের সেঞ্চুরির উপর ভর করে টাইগারদের সামনে ৩২০ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে আয়ারল্যান্ড।

সিরিজের প্রথম ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছে। শুক্রবার (১২ মে) দ্বিতীয় ম্যাচটিও বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ে শুরু হতে পারেনি। সোয়া দুই ঘণ্টা পর শুরু হওয়া ম্যাচটির দৈর্ঘ্য কমিয়ে আনা হয় ৪৫ ওভারে।

প্রথম ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তামিমের সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিল তা প্রথম ওভারেই বল হাতে এসে প্রমাণ করেন হাসান মাহমুদ। ইনিংসের পঞ্চম বলেই পল স্টার্লিং-কে খালি হাতে সাজঘরে ফেরান এ টাইগার পেসার।

বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড ম্যাচ লাইভ

প্রথম আঘাতের পর দ্বিতীয় আঘাতটিও আসে হাসাম মাহমুদের কাছ থেকে। সপ্তম ওভারের প্রথম বলে দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন তিনি। ফলে দলীয় ১৬ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে বসে আয়ারল্যান্ড। তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় আইরিশরা।

 

১৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া আয়ারল্যান্ড দলের হাল ধরেন অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বলবির্নি ও হ্যারি টেক্টর। বাংলাদেশের বোলারদের দারুণভাবে সামলে দলকে চাপমুক্ত করেন তারা। ২০তম ওভারে বাংলাদেশের স্পিনার তাইজুলকে তিনটি ছক্কা মারেন হেক্টর। ৫২ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের নবম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। পরের ওভারে আয়ারল্যান্ড রান ১শ’তে পৌঁছে।

২৪তম ওভারে বাংলাদেশকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন পেসার শরিফুল ইসলাম। উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ৫টি চারে ৪২ রান করা বলবির্নি। তৃতীয় উইকেটে ১০৪ বলে ৯৮ রানের জুটি গড়েন বলবির্নি-টেক্টর।

বলবির্নির পর লরকান টাকারকে ১৬ রানে বিদায় করেন শরিফুল। ছয় নম্বরে নামা কার্টিস ক্যাম্ফারকে ৮ রানে থামান তাইজুল। ১৬৭ রানে পঞ্চম উইকেট পড়লেও আয়ারল্যান্ডের রানের চাকা ঘুড়িয়েছেন টেক্টর। ৯২ বল খেলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৩১তম ম্যাচে চতুর্থ সেঞ্চুরির দেখা পান টেক্টর।

২০২২ সালের জুলাই থেকে ৯ ইনিংসে চতুর্থ সেঞ্চুরি করলেন ২০২০ সালের অভিষেক হওয়া টেক্টর। আগের তিনটি নিউজিল্যান্ড (২টি) ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।

সেঞ্চুরি পর আরও মারমুখী হয়ে উঠেন টেক্টর। ৩৭তম ওভারে তাইজুলে বলে দু’টি ছক্কা মারেন টেক্টর। পরের ওভারে শরিফুলকে ৩টি ছক্কায় ২৪ রান তুলেন জর্জ ডকরেল।

ডকরেলের সাথে ষষ্ঠ উইকেটে ৬৮ বলে ১১৫ রান যোগ করে থামেন টেক্টর। ৪২তম ওভারে পেসার ইবাদতের বলে বোল্ড হন টেক্টর। আউট হওয়ার আগে ৭টি চার ও ১০টি ছক্কায় ১১৩ বলে ১৪০ রান করেন তিনি। এটি বাংলাদেশের বিপক্ষে আয়ারল্যান্ডের কোন ব্যাটারের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। সেই সাথে আয়ারল্যান্ডের হয়ে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ডও গড়েন টেক্টর।

এতে ভেঙে যায় ২০১৯ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১৪৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলার পথে ৮টি ছক্কা মারা বলবির্নির রেকর্ড।

দলীয় ২৮২ রানে টেক্টর ফেরার পর আয়ারল্যান্ডকে রানের চূড়ায় বসিয়েছেন ডকরেল ও মার্ক অ্যাডায়ার। ৪৫ ওভারে ৬ উইকেটে ৩১৯ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় আইরিশরা। নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে দশম ও বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ দলীয় রান পেল আয়ারল্যান্ড।

ওয়ানডেতে চতুর্থ হাফ-সেঞ্চুরির ইনিংসে ৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৪৭ বলে অপরাজিত ৭৪ রান করেন ডকরেল। ২টি ছক্কায় ৮ বলে অপরাজিত ২০ রান করেন অ্যাডায়ার।

বাংলাদেশের হাসান ৪৮ ও শরিফুল ৮৩ রানে ২টি করে উইকেট নেন। ইবাদত ৫৬ ও তাইজুল ৫৯ রানে ১টি করে শিকার করেন। সাকিব ৯ ও মিরাজ ২ ওভার বল করে ছিলেন উইকেটশূন্য।


শেয়ার করুন :