শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে শীর্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা

স্পোর্টসমেইল২৪ স্পোর্টসমেইল২৪ প্রকাশিত: ১১:১৫ পিএম, ২৭ অক্টোবর ২০২৩
শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে শীর্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা

পাকিস্তানের বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে জয় তুলে নিলো দক্ষিণ আফ্রিকা। ২৭১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে হারের শঙ্কায় পড়েও এক উইকেটে জয় তুলে নিয়ে তারা। এ জয়ে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষস্থানে উঠলো প্রোটিয়ারা। অন্যদিকে, টানা চার হারে সেমিতে খেলার আশা থেকে আরও দূরে চলে গেল পাকিস্তান।

শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) বিশ্বকাপের ২৬তম ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক বাবর আজম ও সৌদ শাকিলের জোড়া হাফ-সেঞ্চুরিতে ২৭০ রানের সংগ্রহ গড়েছিল পাকিস্তান।

দক্ষিণ আফ্রিকা বোলারদের বোলিং তোপে ৪৬.৪ ওভারে গুটিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের ব্যাটিং ইনিংস। তবে দলের পক্ষে ব্যাট হাতে অধিনায়ক বাবর ৫০ ও শাকিল ৫২ রান করেন।

২৪০ রানে সপ্তম ব্যাটার হিসেবে শাকিল আউট হওয়ার পর মোহাম্মদ নাওয়াজের দৃঢ়তায় ৪৬.৪ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করতে পারে পাকিস্তান।ম্যাচটিতে ৪৫ রানে শেষ ৫ উইকেট হারায় পাকিস্তান।

বল হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার শামসি ১০ ওভারে ৬০ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন। জানসেন ৪৩ রানে ৩টি ও কোয়েৎজি ৪২ রানে ২ উইকেট নেন।

২৭১ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানের বোলারদের উপর চড়াও হন দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনার কুইন্টন ডি কক। এতে ৩ ওভারে ৩৪ রান পেয়ে যায় প্রোটিয়ারা। চতুর্থ ওভারে ডি কককে থামান পাকিস্তানের পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। ৫টি চারে ১৪ বলে ২৪ রান করেন এবারের আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ডি কক।

দ্বিতীয় উইকেটে জুটি গড়ার চেষ্টায় বেশি দূর যেতে পারেননি আরেক ওপেনার অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা ও রাসি ভ্যান ডার ডুসেন। ৩৩ রান যোগ হবার পর বাভুমাকে শিকার করে জুটি ভাঙেন পাকিস্তানের পেসার মোহাম্মদ ওয়াসিম। আউট হওয়ার আগে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৮ রান করেন বাভুমা।

৬৭ রানে দুই ওপেনার ফেরার পর তৃতীয় উইকেটে ৫৪ বলে ৫৪ রান তুলেন ডুসেন ও মার্করাম। ডুসেনকে ২১ রানে বিদায় দিয়ে পাকিস্তানকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন পাকিস্তানের স্পিনার উসামা মীর। পাঁচ নম্বরে বিধ্বংসী ব্যাটার হেনরিচ ক্লাসেনকে ১২ রানের বেশি করতে দেননি ওয়াসিম। ১৩৬ রানে চতুর্থ উইকেট পতনে চাপে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা।

এ অবস্থায় জুটি বেঁধে পাকিস্তানের বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন মার্করাম ও ডেভিড মিলার। বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তুলে দলের স্কোর ২শ পার করেন তারা। এই জুটিতেই ৫০ বল খেলে ওয়ানডেতে দশম হাফ-সেঞ্চুরি করেন মার্করাম।

২টি করে চার-ছক্কা হাঁকানো মিলারকে ২৯ রানে বিদায় দিয়ে পাকিস্তানকে খেলায় ফেরার পথ দেখান আফ্রিদি। মার্করাম-মিলার জুটিতে ৬৯ বলে ৭০ রান যোগ করেন। মিলারের বিদায়ে উইকেটে আসেন জানসেন। ১৪ বলে ২০ রানের ইনিংস খেলে পেসার হারিস রউফের প্রথম শিকার হন জানসেন।

জানসেন ফিরলেও দক্ষিণ আফ্রিকার ভরসা হয়ে ক্রিজে ছিলেন মার্করাম। ৪১তম ওভারে সপ্তম ব্যাটার হিসেবে দলীয় ২৫০ রানে মীরের বলে বাবরকে ক্যাচ দিয়ে মার্করাম বিদায় নিলে প্রোটিয়ারা চাপে পড়ে যায়। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৯৩ বলে ৯১ রান করে আউট হন মার্করাম।

এরপর দলীয় ২৬০ রানে দক্ষিণ আফ্রিকার নবম উইকেট তুলে নিলে, পাকিস্তানের জয় সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। তবে শেষ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ১১ রান তুলে দক্ষিণ আফ্রিকার জয় নিশ্চিত করেন মহারাজ ও শামসি।

চার রান দূরে থাকতে নাওয়াজের করা ৪৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারি মারেন মহারাজ। শামসি ৪ ও মহারাজ ৭ রানে অপরাজিত থাকেন। পাকিস্তানের আফ্রিদি ৩টি, রউফ-ওয়াসিম ও মীর ২টি করে উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হন শামসি।


শেয়ার করুন :