সদ্য শেষ হওয়া বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনে সরকারি হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছেন সাবেক ফুটবলার এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক। বলেছেন, ‘ক্রীড়া উপদেষ্টা ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন কাউন্সিলরকে হুমকি দিয়েছেন।’
মঙ্গলাবর (৭ অক্টোবর) পল্টনের হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে ‘জিয়া আন্তভলিবল টুর্নামেন্ট’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের আমিনুল হক এসব কথা বলেন।
রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে সোমবার (৬ অক্টোবর) বিসিবির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ২৩ জন পরিচালক নির্বাচিত হওয়ার পর রাতে সভাপতি এবং সহ-সভাপতি নির্বাচন করা হয়।
এর আগে জেলা কাউন্সিলার পরিবর্তন করার নিয়ে আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছি। এ সব ঘঠনার পর বিএনপি পন্থী ক্রীড়া সংগঠকরা বিসিবির নির্বাচন থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেন।
আমিনুল হক বলেন, “বিসিবি নির্বাচন নিয়ে প্রধান উদ্বেগ হলো সরকারি হস্তক্ষেপ এবং ক্রীড়া উপদেষ্টার সরাসরি হস্তক্ষেপ। তার হস্তক্ষেপের প্রতিটি ঘটনার প্রমাণ রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি শুনে অবাক হয়েছি যে, ক্রীড়া উপদেষ্টা ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন কাউন্সিলরকে হুমকি দিয়েছেন! নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য তাদের উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। অনেক কাউন্সিলর আমাকে ফোন করে বলেছেন যে, তাদের ডেকে নিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে।”
বিসিবির পরিচালনা পর্ষদে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কোটা থেকে দেওয়া একজন পরিচালকের আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকায় তা বাতিল করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে আমিনুল হক বলেন, “আমার কাছে তথ্য আছে যে, আর্থিক লেনদেনও হয়েছে। এটি অত্যন্ত পীড়াদায়ক যে, বোর্ড পরিচালকেরা আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে নির্বাচিত হতে পারেন। এটি বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিশাল সন্দেহ তৈরি করে। আমি মনে করি, পুরো নির্বাচন ব্যবস্থাপনা এবং প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন দেশের ক্রিকেটপ্রেমী বা ক্রীড়া সংগঠকেরা স্বাভাবিকভাবে মেনে নেবেন না।”
বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের চিঠির প্রেক্ষিতে পরিবর্তন করা জেলা কাউন্সিলারের বিষয়টি এখনো নিস্পত্তি হয়নি। চেম্বার জজ আদালত বিষয়টি হাইকোর্টে পাঠিয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে আমিনুল হক বলেন, “বুলবুল ভাইয়ের যে চিঠিটি জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠকরা রিট করে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, তার ফলে একটি আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেলেও আদালত রায় দিয়েছেন যে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির পর একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক এবং বর্তমানে বিএনপির ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক বলেন, “-এর অর্থ হলো, যদি হাইকোর্ট চিঠিটিকে অবৈধ ঘোষণা করে, তাহলে ইতিমধ্যে নির্বাচিত সদস্যদের থাকা সত্ত্বেও পুরো নির্বাচন ব্যবস্থাও বাতিল হয়ে যেতে পারে।”
