সুযোগ নষ্টে হারলো শেরপুরের মেয়েরা, ৯ জন নিয়েও কিশোরগঞ্জের বাজিমাত

জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: ১২:০৪ পিএম, ০৫ জুন ২০২৩
সুযোগ নষ্টে হারলো শেরপুরের মেয়েরা, ৯ জন নিয়েও কিশোরগঞ্জের বাজিমাত

জেএফএ অনুর্ধ্ব-১২ জাতীয় নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপে স্বাগতিক শেরপুর জেলাকে হারিয়ে চূড়ান্ত পর্বে উন্নীত হয়েছে কিশোরগঞ্জের মেয়েরা। রোববার (৪ জুন) শেরপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্টেডিয়ামে ভেন্যুর ফাইনালে ৯ জন নিয়ে খেলেও কিশোরগঞ্জ জেলা দল ১-০ ব্যবধানে জয়লাভ করে।

দলের পক্ষে একমাত্র গোলটি করেন কিশোরগঞ্জের মিডফিল্ডার মারিয়া খাতুন। বয়সজটিলতার কারণে শেরপুরের ১১ জনের বিপক্ষে কিশোরগঞ্জ জেলা দলকে ৯ জন নিয়ে খেলতে হয়েছে।

ম্যাচের প্রথমার্ধে একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করে খেলে শেরপুরের মেয়েরা। এ সময় অন্ততঃ ৭টি সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করে স্বাগতিক মেয়েরা। বিরতির পরও শেরপুর জেলা দল প্রাধান্য বিস্তার করলেও গোল আদায় করতে পারেনি।

বিপরীতে কিশোরগঞ্জের মেয়েরা দু’টি সুযোগের একটি কাজে লাগিয়ে দ্বিতীয়ার্ধের ২৫তম মিনিটে এগিয়ে যায়। মিডফিল্ডার মারিয়ার লম্বা শটে মাটি কামড়ানো বল জালে প্রবেশ করলে ১-০ গোলে এগিয়ে যায়।

পিছিয়ে পড়ে শেরপুরের মেয়েরা আক্রমণে ঝাপিয়ে পড়লেও বার বার সুযোগ নষ্ট করায় শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের ব্যবধানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় স্বাগতিকদের। অন্যদিকে, ভেন্যু ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় রাজশাহীতে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্টেডিয়ামে চূড়ান্ত পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে কিশোরগঞ্জ জেলা দল।

খেলা শেষে পুরষ্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোকতাদিরুল আহমেদ। চ্যাম্পিয়ন দলের হাতে ট্রফি তুলে দেন। এ সময় জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা ধীরেন্দ্র চন্দ্র সরকার, ডিএফএ সাধারণ সম্পাদক হাকিম বাবুল, সহ-সাধারণ সম্পাদক এএসএম রুহুল হায়দার শামীম, বাফুফে প্রতিনিধি মানস বোস বাবুরাম, বয়সভিত্তিক কোচ আলতাফ হোসেন সহ ডিএফএ এবং ডিএসএ ও দুই দলের কোচ, কর্মকর্তা, খেলোয়াড়রা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিভা অন্বেষণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কমিটি ফর ওমেন্স ফুটবলের ব্যবস্থাপনায় শেরপুর জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের আয়োজনে গত ২ জুন থেকে শেরপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্টেডিয়াম আঞ্চলিক ভেন্যুতে ৫টি জেলা দল জেএফএ অ-১২ জাতীয় নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপের খেলায় অংশগ্রহণ করে। দলগুলো হলো- স্বাগতিক শেরপুর, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও নেত্রকোনা জেলা।

হাকিম বাবুল, শেরপুর/আরএস


শেয়ার করুন :