প্রথম ইনিংসে ৫শ রান করেও ইংল্যান্ডের কাছে সিরিজের প্রথম টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হারতে হলো স্বাগতিক পাকিস্তানকে। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টের পঞ্চম দিন ইংল্যান্ডের কাছে ইনিংস ও ৪৭ রানে হেরে গেছে পাকিস্তান। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার এশিয়ার মাঠে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জিতলো ইংলিশরা।
সর্বশেষ ২০০৪ সালে ঘরের মাঠে টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হেরেছিল পাকিস্তান। টেস্ট ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে ম্যাচের এক ইনিংসে ৫শ রান করে হেরে যাওয়ায় রেকর্ড বইয়ে নাম লেখালো পাকিস্তান।
প্রথম ইনিংসে ২৬৭ রানে পিছিয়ে থেকে চতুর্থ দিন শেষে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ১৫২ রান করেছিলো পাকিস্তান। ৪ উইকেট হাতে নিয়ে ১১৫ রানে পিছিয়ে ছিলো তারা। সালমান আগা ৪১ ও আমের জামাল ২৭ রানে অপরাজিত ছিলেন।
চতুর্থ দিন শেষে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের সুবাস পাচ্ছিলো ইংল্যান্ড। আজ, পঞ্চম দিন বাকী ৪ উইকেটে ৬৪ রানের বেশি যোগ করতে পারেনি পাকিস্তান। ২২০ রানে গুটিয়ে টানা ষষ্ঠ টেস্ট হারে তারা। এর আগেও ২০১৬-১৭ এবং ২০১৮-১৯ মৌসুমে টানা ছয়টি করে ম্যাচ হেরেছিলো পাকিস্তান।
সালমান করেন ৬৩ রান । জামাল ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া শাহিন শাহ আফ্রিদি ১০ ও নাসিম শাহ ৬ রান করেন। ইংল্যান্ডের স্পিনার জ্যাক লিচ ৩০ রানে ৪, গাস অ্যাটকিনসন ও ব্রাইডেন কার্স ২টি করে উইকেট নেন। প্রথম ইনিংসে ৩১৭ রানের সুবাদে ম্যাচ সেরা হন হ্যারি ব্রুক।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এক ইনিংসে ৫৫০ রানের বেশি করেও ম্যাচ হারা দ্বিতীয় দল পাকিস্তান। ২০২২ সালে গ্লামোরগানের কাছে হেরেছিলো প্রথম ইনিংসে ৫৮৪ রান করা লিচষ্টারশায়ার।
এই নিয়ে ঘরের মাঠে টানা ১১ টেস্টে জয়হীন পাকিস্তান। এর আগে ১৯৬৯ ও ১৯৭৫ সালেও ঘরের মাঠে টানা ১১ ম্যাচে জয়হীন ছিল পাকিস্তান।
অধিনায়ক হওয়ার পর প্রথম ৬ টেস্টেই হারলেন পাকিস্তানের শান মাসুদ। এর আগে টেস্ট ক্রিকেটে চার অধিনায়ক নিজেদের প্রথম ছয় বা তার বেশি টেস্টেই হেরেছিলেন। সেই তালিকায় আছেন বাংলাদেশের খালেদ মাসুদ (১২), খালেদ মাহমুদ (৯) ও মোহাম্মদ আশরাফুল (৮) এবং জিম্বাবুয়ের গ্রায়াম ক্রেমার (৬)।