সবচেয়ে বাজে পারফরমেন্সে বিদায় নিলো কাতার

স্পোর্টসমেইল২৪ স্পোর্টসমেইল২৪ প্রকাশিত: ০৩:১৪ পিএম, ৩০ নভেম্বর ২০২২
সবচেয়ে বাজে পারফরমেন্সে বিদায় নিলো কাতার

নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে ২-০ গোলে পরাজয়ের মধ্য দিয়ে বিশ্বকাপ শেষ করেছে স্বাগতিক কাতার। তিন ম্যাচেই পরাজিত হয়ে বিশ্বকাপের স্বাগতিক হিসেবে সবচেয়ে বাজে রেকর্ড নিয়েই ঘরে ফিরলো কাতারীরা।

বিশ্বকাপ আয়োজনে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম ধনী দেশটি ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করেছে। ২০১৯ এশিয়ান কাপ জয়ের মাধ্যমে এশিয়া মহাদেশের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হিসেবে নয়, স্বাগতিক দেশের সুবিধা নিয়েই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলেছে কাতার।

বিশ্বকাপের আগে প্রতিদ্বন্দ্বীতামূলক ম্যাচ খেলার পরিবর্তে মাসব্যপী আলাদা পরিবেশে ট্রেনিং ক্যাম্প পরিচালনার কোচ ফেলিক্স সানচেজের সিদ্ধান্তই হয়তোবা শেষ পর্যন্ত কাতারের জন্য উল্টো ফল এনে দিয়েছে।

সেনেগালের কাছে দ্বিতীয় ম্যাচে ৩-১ গোলে হারের মধ্য দিয়ে প্রথম দল হিসেবে কাতার বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে। এর আগে ইকুয়েডরের কাছে প্রথম ম্যাচে ২-০ গোলে পরাজিত হয়েছিল স্বাগতিকরা। তৃতীয় ম্যাচে পরাজয়ের মাধ্যমে জয়হীন অবস্থাতেই বিদায় নিতে হলো কাতারকে। এ তিন ম্যাচে তারা প্রতিপক্ষের জালে মাত্র একবার বল ঢুকাতে পেরেছে।

২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার পর দ্বিতীয় স্বাগতিক হিসেবে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়লো কাতার। যদিও ওই আসরে দক্ষিণ আফ্রিকা মেক্সিকোর সাথে ড্র করার পর ফ্রান্সকে পরাজিত করে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে শেষ ১৬ খেলতে পারেনি।

১৯৩০ সালের প্রথম বিশ্বকাপের থেকে বাকি ২২টি স্বাগতিক দেশই নকআউট পর্বে খেলেছে। স্বাগতিক দল এখন পর্যন্ত ছয়বার শিরোপা জিতেছে ও দুইবার রানার্স-আপ হয়েছে। অতি সম্প্রতি ১৯৯৮ সালে ফ্রান্স স্বাগতিক হিসেবে শিরোপা জয় করেছিল।

বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশগুলোর অতীত পারফরমেন্স

২০১৮ : রাশিয়া, কোয়ার্টার ফাইনাল
২০১৪ : ব্রাজিল, চতুর্থ স্থান
২০১০ : দক্ষিণ আফ্রিকা, গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়
২০০৬ : জার্মানী, তৃতীয় স্থান

২০০২ : দক্ষিণ কোরিয়া, চতুর্থ স্থান: জাপান, শেষ ১৬
১৯৯৮ : ফ্রান্স, চ্যাম্পিয়ন
১৯৯৪ : যুক্তরাষ্ট্র, শেষ ১৬
১৯৯০ : ইতালি, তৃতীয় স্থান
১৯৮৬ : মেক্সিকো, কোয়ার্টার ফাইনাল

১৯৮২ : স্পেন, দ্বিতীয় গ্রুপ পর্ব
১৯৭৮ : আর্জেন্টিনা, চ্যাম্পিয়ন
১৯৭৪ : পশ্চিম জার্মান, চ্যাম্পিয়ন
১৯৭০ : মেক্সিকো, কোয়ার্টার ফাইনাল
১৯৬৬ : ইংল্যান্ড, চ্যাম্পিয়ন

১৯৬২ : চিলি, তৃতীয় স্থান
১৯৫৮ : সুইডেন, রানার্স-আপ
১৯৫৪ : সুইজারল্যান্ড, কোয়ার্টার ফাইনাল
১৯৫০ : ব্রাজিল, রানার্স-আপ
১৯৩৮ : ফ্রান্স, কোয়ার্টার ফাইনাল
১৯৩৪ : ইতালি, চ্যাম্পিয়ন
১৯৩০: উরুগুয়ে, চ্যাম্পিয়ন।


শেয়ার করুন :