করোনা আতঙ্কের মাঝেই মাঠে গড়িয়েছে ফুটবল। বুন্দেসলিগার পথে হাঁটছে বাকি দেশের ক্লাব ফুটবলের হর্তাকর্তারা। সেই সূত্রে, আগামী ১৭ জুন প্রাণ পাচ্ছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ। এই বিষয়ে সাবেক ক্লাব চিকিৎসক ডাঃ রল্ফ রজার্সের মত, অর্থ এবং স্বাস্থ্য মুখোমুখি লড়াইয়ে নামতে যাচ্ছে।
দুনিয়া জোড়া ফুটবলমোদীদের কথা মাথায় রেখে ফুটবলার, সরকার এবং ক্লাবগুলোর সাথে টানা কয় সপ্তাহের আলোচনা অন্তে স্থগিত হওয়া ২০১৯-২০ মৌসুম পুনরায় চালুর সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে ইপিএল কমিটি। আগের সপ্তাহে দলগুলোকে অনুশীলনে ফেরার অনুমতি দেয়াওর ঘন্টা খানেকের মধ্যে মৃতের সংখ্যা ৪১২ তে ঠেকেছে। সরকারি হিসাব মতে, ইংল্যান্ডে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪০ হাজার ছুঁইছুঁই।
সচিবালয়ের কর্মরত প্যাট্রিক ভ্যালেন্স বলেন, ‘ইপিএল আরম্ভের কথা হবার পরে দৈনিক নতুন ৮,০০০ মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে, এটা মোটেও ছোট সংখ্যা না। বিপদ চরম সীমার দিকে ধাবমান।’
এদিকে সার্জিও অ্যাগুয়েরো, ট্রয় ডেন্নেদের মতো তারকাদেরও করোনা ভয় চেপে ধরেছে, অজ্ঞাত এই ভাইরাসকে নিয়ে চিন্তিত সবাই।
সাবেক ক্লাব চিকিৎসক সিএনএনকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ফুটবলারদের ভীতির পেছনে যথেষ্ট কারণ রয়েছে। আমি যদি নিজে খেলোয়াড় হতাম তাহলে মাঠে ফেরা নিয়ে আমিও শঙ্কায় পড়ে যেতাম, যেখানে প্রত্যহ এতো মানুষ এই মারনব্যাধিতে নিজেদের প্রাণ হারাচ্ছে সেখানে দুঃচিন্তা হওয়াটা অবশ্যম্ভাবী।
যেহেতু এখনও কোনপ্রকার প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়নি, সেহেতু সাবধানতা স্বরূপ আমাদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। ফুটবলে হেড, ট্যাকল প্রভৃতি কায়দায় গা ঘেঁষাঘেঁষি হবেই। আপনি যদি নিয়মে বদল না আনতে পারেন সেক্ষেত্রে সেটা আরও ভয়াবহ হবে, আর বদল হলে ফুটবলের আসল মজাটা বিফলে যাবে।’
লকডাউনে এদেশের অর্থনীতি নুইয়ে পড়েছে, চলতি মাসের মাঝামাঝি সকল দোকানপাট খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এই ভাইরাস যেকোন সময় যেকারো শরীরে প্রবেশে সক্ষম।
[sportsmail24.com এর ওয়েবসাইট এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও ব্রাউজ করে পড়তে পারবেন। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস থেকেও খেলাধুলার সকল নিউজ পড়তে পারবেন। ইনস্ট্রল করুন স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস ]