টিভিতে প্রচারিত সংবাদটি মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত : ক্রীড়া মন্ত্রণালয়

দেশের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত ‘করোনাকালেও থেমে নেই উন্নয়ন প্রকল্পের কেনাকাটা’ শীর্ষক একটি সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। বুধবার (১৭ জুন) রাতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা কাজী আরিফ বিল্লাহ’র স্বাক্ষরিত এক জরুরি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ (বুধবার) দেশের অন্যতম বেসরকারি চ্যানেল আরটিভির দুপুরের সংবাদে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে জড়িয়ে ‘করোনাকালেও থেমে নেই উন্নয়ন প্রকল্পের কেনাকাটা’ শীর্ষক সংবাদ প্রচারিত হয়েছে, যা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।

উক্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় মনে করে, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট মনগড়া ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এ মিথ্যা প্রতিবেদনের মাধ্যমে সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কে দেশের সাধারণ জনগণকে ভুল বার্তা দেওয়া হয়েছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এ মিথ্যা প্রতিবেদনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিবেদনে বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বক্তব্যও দেওয়া হয়।

মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য হুবুহু তুলে ধরা হলো-

অভিযোগ-১: ডিপিপিতে প্রতিটি লিফটের দাম ২.০০ কোটি টাকা ধরা হয়েছে।
প্রকৃত তথ্য হচ্ছে, উক্ত প্রকল্পের আওতায় ৭টি কেন্দ্রের জন্য মোট ২১টি লিফট কেনার প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য ৩টি লিফট কেনার প্রস্তাব করা হয়েছে। ডিপিপিএর প্রাক্কলন ইউনিট রেট অনুযায়ী ইউরোপীয়ান এ ক্যাটাগরির ৩টি লিফটের মূল্য ১৯৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। অর্থাৎ, একটি লিফটের মূল্য ১৯৫/৩=৬৫ লাখ টাকা (ভ্যাট ট্যাক্সসহ), যা গণপূর্ত রেট শিডিউল ২০১৮ অনুসারে সঠিক।

অভিযোগ-২: প্রতিবেদনে বলা হয়েছে প্রতি টন এসির দাম ৫২ লাখ টাকা ধরা হয়েছে।

এ তথ্য সঠিক নয়। প্রকৃত তথ্য হচ্ছে, প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য ৫০ টন এসি কেনার প্রস্তাব করা হয়েছে। ৫০ টন এসির জন্য ধরা হয়েছে ৫২ লাখ টাকা। অর্থাৎ, প্রতি টন এসিতে খরচ পড়বে ১.০৪ লাখ টাকা (ভ্যাট ট্যাক্সসহ), যা গণপূর্ত রেট শিডিউল ২০১৮ অনুসারে ইউরোপীয়ান স্প্লিট টাইপ এসি ও এর সাথে প্রয়োজনীয় অন্যান্য যন্ত্রাংশ এর চার্জসহ সঠিক।

অভিযোগ-৩ : ডিপিপিতে সভাকক্ষের টেবিল ১২ লাখ টাকা ধরা হয়েছে।
প্রকৃত তথ্য হচ্ছে, ডিপিপিতে প্রতিটি টেবিলের মূল্য ধরা হয়েছে ১.২ লাখ টাকা।

অভিযোগ-৪: ডিপিপিতে সিকিউরিটি ও গেট লাইটের জন্য ১২ লাখ টাকা ধরা হয়েছে।
আলোচ্য অভিযোগের ব্যাখা সংযুক্ত বিবরণীর মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে। এই অঙ্গে গার্ডেন লাইট, গেইট লাইট, সিকিউরিটি লাইট, কম্পাউন্ড লাইট, স্ট্রিট লাইট, পোল, আন্ডার গ্রাউন্ড ক্যাবলসহ দর ধরা হয়েছে।

এছাড়াও প্রতিবেদনে আনীত প্রতিটি অভিযোগের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ব্যাখা সংযুক্ত বিবরণীতে দেওয়া আছে। উক্ত প্রতিবেদন প্রচারের পূর্বে প্রতিবেদক যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কারো বক্তব্য গ্রহণ করা হয়নি। যা সাংবাদিকতার প্রথাগত নিয়মের ব্যতিক্রম।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনাকালে উন্নয়ন প্রকল্পের কেনাকাটা; এটি সঠিক নয়। এ প্রকল্পটি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে (বিগত সরকারের মেয়াদে) তৈরি করে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে।

এমতাবস্থায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় মনে করে, এ অসত্য প্রতিবেদনের মাধ্যমে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। বিধায়, উক্ত বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন প্রত্যাহার পূর্বক এ প্রতিবাদ আপনার চ্যানেলে বার বার প্রচারের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আদিষ্ট হয়ে অনুরোধ করা হলো।

[sportsmail24.com এর ওয়েবসাইট এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও ব্রাউজ করে পড়তে পারবেন। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস থেকেও খেলাধুলার সকল নিউজ পড়তে পারবেন। ইনস্ট্রল করুন স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস ]