ঢাকা তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগের ম্যাচে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ৮ ক্রিকেটার এবং দলের একজন কর্মকর্তাকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সাথে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন ক্রিকেট কমিটি (সিসিডিএম)।
তরুণ এসব ক্রিকেটারের বিপক্ষে আচরণ ভঙের বিষয়টি কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদ। তার মতে, এই নিষেধাজ্ঞা এবং জরিমানা ঘরোয়া প্রতিযোগিতার কোন পর্যায়েই শৃঙ্খলাভঙের বিষয়ে বিসিবি যে নমনীয় হবে না তার প্রমাণ।
১৮ নভেম্বর (সোমবার) বিকেএসপি গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত তেজগাঁও ক্রিকেট একাডেমি এবং সাফায়ার স্পোর্টিং ক্লাবের মধ্যে সুপার লিগের ম্যাচ শেষে মাঠের মধ্যেই বিবাদে জড়িয়ে গড়েন দু’দলের খেলোয়াড়রা। ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত ও প্রত্যক্ষ প্রমাণ সাপেক্ষে এ শাস্তির ঘোষণা দিয়েছে সিসিডিএম-এর টেকনিক্যাল কমিটি।
সাজা পাওয়া ক্রিকেটাররা হলেন- তেজগাঁও একাডেমির ইয়াসিন আরাফাত, রিফাত আল ইমন (অনিক), তাসিন আহমেদ রনবি, রাব্বি হাসান, পারভেজ আহমেদ জয়, সাফায়ার স্পোর্টিংয়ের রানা খান, সাইফুল ইসলাম শাওন ও মোহাম্মদ হৃদয় এবং তেজগাঁওয়ের কর্মকর্তা রবিন।
বিসিবির আচরণবিধির ২.১৯ ধারা অনুযায়ী লেভেল-৪ অনুযায়ী যা ম্যাচ চলাকালীন খেলার মাঠে সহিংসতার আচরণ হিসেবে বিবেচিত।
লেভেল-৪ ভঙ্গের সর্বোচ্চ শাস্তি আজীবন নিষেধাজ্ঞা। সতর্কতার সাথে বিবেচনা করার পর, বিসিবির ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় নয়জনকে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। পাশাপাশি প্রত্যেকে কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আচরণবিধি ভঙের বিষয়ে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেছেন, “ঘরোয়া প্রতিযোগিতার কোন পর্যায়েই শৃঙ্খলাভঙ্গের কোন ধরনের ঘটনায় নমনীয় হবে না বিসিবি। এটি সকল খেলোয়াড় এবং কর্মকর্তাদের কাছে বার্তা যে, আচরণবিধি ভঙ্গের ঘটনায় বোর্ড কঠোর পদক্ষেপ নেবে।”