মাশরাফির আগুন ঝড়ানো বোলিংয়ে বিফল ইমরুলের শতক

স্পোর্টসমেইল২৪ স্পোর্টসমেইল২৪ প্রকাশিত: ০৬:৫৮ পিএম, ২৯ মার্চ ২০১৯
মাশরাফির আগুন ঝড়ানো বোলিংয়ে বিফল ইমরুলের শতক

ব্যাট হাতে জহিরুল ইসলামের সেঞ্চুরির পর বল হাতে মাশরাফি বিন মর্তুজার আগুন ঝড়ানো বোলিংয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে জয় পেল আবাহনী লিমিটেড। প্রথমে ব্যাট করে জহিরুলের ১৩০ রানের সুবাদে ৬ উইকেটে ২৮৬ রানের সংগ্রহ পায় আবাহনী ।

জয়ের জন্য ২৮৭ রানের জবাব সেঞ্চুরি দিয়ে দিচ্ছিলেন গাজীর ইমরুল কায়েস। কিন্তু তার লড়াইয়ের বাধাঁ হয়ে দাঁড়ান বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। ১০ ওভারে ৪৬ রানে ৬ উইকেট শিকার করেন ম্যাশ। জহিরুল-মাশরাফির নৈপুন্যে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে ষষ্ঠ জয় তুলে নেয় আবাহনী।

সপ্তম রাউন্ডের ম্যাচে তারা গাজীকে ২৯ রানে হারায় তারা। টানা দ্বিতীয় জয়ে ৭ খেলায় ৬ জয় ও ১ হারে ১২ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে এগিয়ে থেকে টেবিলের শীর্ষে থাকলো আবাহনী। সমানসংখ্যক ম্যাচে ২ জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের নবম স্থানে গাজী গ্রুপ।

সাভারের বিকেএসপিতে চার নম্বর মামে টস জিতে ফিল্ডিং নেয় গাজী গ্রুপ। সৌম্য সরকারকে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ৬৬ রান যোগ করেন উইকেটরক্ষক জহিরুল। ৩৬ বলে ২৯ রান করে আউট হন সৌম্য। এরপর মিডল-অর্ডারের দুই ব্যাটসম্যান ভারতের ওয়াসিম জাফর ও নাজমুল হোসেন শান্ত বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৪টি চারে জাফর ১৯ ও শান্ত ১১ রান করে আউট হন।

দলীয় ১২৮ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারানোর পরও স্কোর গড়ার স্বপ্ন দেখে আবাহনী। কারন উইকেটে পাকাপোক্তভাবে সেট হয়ে গিয়েছিলেন জহিরুল। এ অবস্থায় তার সাথে তাল মেলান অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন। মোসাদ্দেক-জহিরুল চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১৪৫ রান করেন। এরমধ্যে সেঞ্চুরি তুলে নেন জহিরুল। হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন মোসাদ্দেক। তবে ২৭৩ থেকে ২৮০ রানের ব্যবধানে বিদায় নেন তারা। ১৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ১৩৮ বলে ১৩০ রান করেন জহিরুল। লিগের প্রথম ম্যাচেও সেঞ্চুরি করেছিলেন জহিরুল। ৮টি চারে ৭৬ বলে ৭১ রান করেন মোসাদ্দেক। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ২৮৬ রানের সংগ্রহ পায় আবাহনী। ২টি করে উইকেট নেন গাজী গ্রুপের কামরুল ইসলাম রাব্বি ও নাসুম আহমেদ।

২৮৭ রানের টার্গেটে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই উইকেট হারায় গাজী গ্রুপ। এতে প্রথম ওভারেই উইকেটে যাবার সুযোগ পান ইমরুল। শুরু থেকেই দ্রুততার সাথে রান তুলতে থাকেন ইমরুল। আবাহনীর বোলারদের পাল্টা আক্রমন করেন তিনি। তাই শুরুতে উইকেট হারিয়েও ইমরুলের ব্যাটিং-এ ১০ ওভারেই ৫২ রান পেয়ে যায় গাজী গ্রুপ। এরমধ্যে ১৫ রান অবদান রেখে ১১তম ওভারে ফিরেন আরেক ওপেনার মাইশুকুর রহমান। ১৫ রান করেন তিনি। ওপেনার রনি তালুকদারকে শিকারের পর মাইশুকুরকেও আউট করেন মাশরাফি।

এরপর তৃতীয় উইকেটে শামসুর রহমানকে নিয়ে দলের রানের চাকা সচল রাখেন ইমরুল। বেশ ভালোভাবেই লড়াইয়ে থাকে গাজী গ্রুপ। তবে নিজেদের ভুলে বিচ্ছিন্ন হন তারা। রান আউটের ফাঁদে ৩০ এ কাটা পড়েন শামসুর। পরের ওভারে আবারো উইকেট হারানোর ধাক্কা খায় গাজী গ্রুপ। ভারতের পারভেজ রসুল ১ রান করেন।

শামসুর-রসুলের বিদায়ের সময় ৯৯ রানে দাঁড়িয়ে ছিলেন ইমরুল। তাই তিন অংকে পা দিতে সময়ক্ষেপন করেন ইমরুল। অবশেষে নিজের ১শতম বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন ইমরুল। তিন অংকে পা দিয়ে নিজের ও দলের রান বাড়িয়েছেন ইমরুল। সঙ্গী ছিলেন তৌহিদ তারেক। ধীরে ধীরে জমে উঠছিলো এই জুটি। তাতে শক্তভাবেই লড়াইয়ে টিকে ছিলো গাজী গ্রুপ।

কিন্তু ৩৭ ও ৩৯তম ওভারে দু’টি উইকেট তুলে নিয়ে গাজীকে লড়াই থেকে ছিটকে ফেলেন মাশরাফি। নিজের সপ্তম ওভারে ইমরুলকে ও অষ্টম ওভারে মেহেদি হাসানকে শিকার করেন মাশরাফি। ১৫টি চার ও ৫টি ছক্কায় ১১৮ বলে ১২৬ রান করেন ইমরুল। ১০ রান করে ফিরেন মেহেদি।

ইমরুলের সাথে ৪৩ রানের জুটি গড়া তৌহিদ তারেকও শিকার হন মাশরাফির। এখানেই ম্যাচ হার নিশ্চিত হয়ে যায় গাজীর। পরবর্তীতে নিজের ষষ্ঠ উইকেট নিয়ে গাজীকে ২৫৭ রানেই গুটিয়ে দেন ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হওয়া মাশরাফি।


শেয়ার করুন :


আরও পড়ুন

ইমরুল কায়েসের দশম সেঞ্চুরি

ইমরুল কায়েসের দশম সেঞ্চুরি

রাজ্জাকের বোলিং নৈপুণ্যে প্রাইম ব্যাংকের জয়

রাজ্জাকের বোলিং নৈপুণ্যে প্রাইম ব্যাংকের জয়

উন্মুখ চাঁদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শাইনপুকুরের জয়

উন্মুখ চাঁদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শাইনপুকুরের জয়

প্রাইম দোলেশ্বরের হ্যাটট্রিক জয়

প্রাইম দোলেশ্বরের হ্যাটট্রিক জয়