ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ১৭০ রানেই বেধে ফেললো সাকিব-মাশরাফি-রুবেলরা। ৪৯ ওভার ব্যাট করে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ১৭০ রান সংগ্রহ করে সফররত জিম্বাবুয়ে। ফলে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ১৭১ রান।
ম্যাচের শুরু থেকেই বাংলাদেশ বোলারদের সামনে দাঁড়াতে পারছিল না জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা। প্রথম ওভারেই সাকিবের জোড়া আঘাতে থমকে যায় জিম্বাবুয়ে। এরপর মোস্তাফিজ-রুবেলদের বোলের সামনে একে একে উইকেট বিলিয়ে দেয় ত্রিদেশী সিরিজের সফরকারী এ দল। সর্বশেষ রুবেলের েএক ওভারেই জোড়া আঘাতে বলে দেয় জিম্বাবুয়ের দৌড় আর বেশি দূর েনেই। বাকি কাজটুকু সারেন কাটার মাস্টার মোস্তাফিজ।
এর আগে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। িএদিকে ২০১৫ বিশ্বকাপের পর আবারও বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে খেলার সুযোগ পেয়েছেন এনামুল হক বিজয়। ওপেনার হিসেবেই খেলবেন তিনি। অপরদিকে, জিম্বাবুয়ের হয়ে ওয়ানডে অভিষেক ঘটেছে অলরাউন্ডার ব্রেন্ডন মাভুতার।
ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত ৬৭ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। এরমধ্যে ৩৯টি জিতেছে টাইগাররা। জিম্বাবুয়ের জয় ২৮টি ম্যাচে। সর্বশেষ ২০১৫ সালে তিন ম্যাচের সিরিজে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। ঐ সিরিজটি ৩-০ ব্যবধানে জিতেছিলো বাংলাদেশ।
ওয়ানডেতে সর্বশেষ ২০১৩ সালে বাংলাদেশকে হারিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। এরপর টানা আট ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ একাদশ :
মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, এনামুল হক বিজয়, সাকিব আল হাসান, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), নাসির হোসেন, সাব্বির রহমান, রুবেল হোসেন, সানজামুল ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান।
জিম্বাবুয়ে একাদশ :
গ্রায়েম ক্রেমার (অধিনায়ক), হ্যামিলটন মাসাকাদজা, সলোমন মির, পিটার মুর (উইকেটরক্ষক), ক্রেইগ আরভিন, সিকান্দার রাজা, টেন্ডাই চিসোরো, টেন্ডাই চাতারা, কাইল জার্ভিস, ক্রিস্টোফার মোফু ও ব্রেন্ডন মাভুতা।