দায়িত্ব পেলে অধিনায়কত্বে প্রস্তুত মাহমুদউল্লাহ

বাংলাদেশ টি-২০ ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্ব করার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন দলের মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বৃষ্টির কারণে মঙ্গলবার পরিত্যক্ত হওয়া ত্রিদেশীয় টি-২০ সিরিজের ফাইনাল শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমে সাকিব আল হাসান জানিয়েছিলেন অধিনায়কত্ব করার ইচ্ছা তার নেই। এতে তার পারফরম্যান্সের ওপর প্রভাব পড়ে।

২০১৭ সালে টি-২০ ফরম্যাটের অধিনায়কের পদ থেকে মুশফিকুর রহিমকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে সম্প্রতি মুশফিকও কথা বলেছেন। অধিনায়কত্ব করার তারও ইচ্ছা নেই। তাহলে সিনিয়রদের মধ্যে অধিনায়কত্ব পালন করার দৌঁড়ে আছেন তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ। তামিম এ বিষয়ে কিছু না বললেও মাহমুদউল্লাহ মুখ খুললেন।

মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘আসলে, অধিনায়কত্ব একটা বড় দায়িত্ব এবং সম্মানের। কারও মন্তব্য নিয়ে কিছু বলার নেই। তবে ভবিষ্যতে যদি এ ধরনের দায়িত্ব বা চ্যালেঞ্জ আসে আমার সামনে, তবে কেন নয়?’

সাকিবের আঙুলের ইনজুরির কারণে গত বছর জানুয়ারিতে দেশের মাটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-২০ সিরিজ, কলম্বোয় নিদাহাস ট্রফির প্রথম তিন ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। এছাড়া গত নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজেও দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।

টি-২০ সিরিজের ফাইনালে উঠলেও বাংলাদেশের পারফরমেন্স আহামরি কিছুই ছিল না। মাহমুদউল্লাহ মনে করেন, বাংলাদেশের আরও ভালো পারফর্ম করা সামর্থ্য রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, আমাদের দল এর চেয়ে আরও বেশি কিছু দেওয়ার সামর্থ্য রাখে। টেস্টে হারার পর আমাদের মধ্যে কথা হয়েছে, যেভাবেই হোক ঘুড়ে দাঁড়াতে হবে। টি-২০তে আফগানিস্তানের কাছে প্রথম ম্যাচ হারের পর আমরা আত্মবিশ্বাস হারাই। তারপরও সবার ভেতরে আগ্রহ ছিল, ভালো পারফরমেন্স করার।’

সিরিজের একমাত্র টেস্টে আফগানিস্তানের কাছে হারলেও তাদের কাছ থেকে কিছুই শেখার নেই বলে জানান মাহমুদউল্লাহ। আফগানরা ভালো খেলেছে বলেই টেস্ট জিতেছে বলে ভাষ্য মাহমুদউল্লাহর।

তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় না আফগানিস্তানের কাছ থেকে আমাদের আহামরি কিছু শেখার আছে। আমাদের ভুলের পরিমাণটা বেশি ছিল, তাই ভালো ফলাফল করতে পারিনি। তারা ভালো ক্রিকেট খেলেছে, তাই তাদের ক্রেডিট দিতেই হবে।’

ত্রিদেশীয় সিরিজে করা ভুগুলো দ্রুতই শুধরে নেওয়ার কথাও জানালেন মাহমুদউল্লাহ। ভারত সফরের আগে নিজেদের পারফরমেন্সেও আরও উন্নতি চান তিনি। বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নতির অনেক জায়গা রয়েছে, সেগুলো নিয়ে বাড়তি অনুশীলন করতে হবে আমাদের। উন্নতি না হলে আসন্ন ভারত সফরে ভালো পারফর্ম করা কঠিন হয়ে যাবে।’