সকলের ভালোবাসার মাঝেও আকবর স্যারকে মিস করছেন সাবিনা

এস এম হাবিবুল হাসান এস এম হাবিবুল হাসান প্রকাশিত: ১১:০৯ এএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
সকলের ভালোবাসার মাঝেও আকবর স্যারকে মিস করছেন সাবিনা

এক যুগ ধরে ফুটবলের পিছনে সময় দিয়েছেন, যার সাফল্যও ধরা দিয়েছে হাতে। তবে যে আকবর স্যারের কারণে দেশব্যাপী আজ সাবিনা খাতুনের নাম ছড়িয়ে পড়েছে সেই স্যারকে মিস করছেন বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের নেতা। তিনি বলেন, “তিনি বেঁচে থাকলে আমাদের এ বিজয়ে সবচেয়ে খুশি হতেন। আমার বাবাও খুব খুশি হতেন।”

সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপ শিরোপা জয়ের পর নিজে জেলা সাতক্ষীরায় ফিরলে অধিনায়ক সাবিনা খাতুনকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। নিজ জেলা সাতক্ষীরাবাসীর কাছ থেখে ভালোবাসা পেয়ে সবার কাছে ‍কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি।

সাবিনা খাতুন বলেন, “নিজ জেলার মানুষ আমাকে এভাবে বরণ করে নেবে তা কখন স্বপ্নেও ভাবিনি। আজকে জেলাবাসী আমাকে যে অভিবাদন জানিয়েছেন এবং সম্মাননা দেখিয়েছেন সে জন্য সবার কাছে আমি অনেক অনেক কৃতজ্ঞ। সব সময় চেষ্টা করবো মানুষের এই হাসি মুখটা দেখবার জন্য। আগামীতে নিজের সেরাটা দিয়ে খেলার চেষ্টা করবো। আমার ক্যারিয়ার এগিয়ে নিতে সকলের দোয় চাই।”

মফস্বলের কোচ আকবর আলীর হাত ধরে জাতীয় নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুনসহ অনেক ফুটবলার তৈরি হয়েছে। ফুটবলে এমন অবদানের জন্য ২০২১ সালের তৃণমূলের সেরা কোচ হিসেবে বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসপি) পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন আকবর আলী। তবে সেটি আর তার হাতে নেওয়া হয়নি। পুরস্কার গ্রহণে ঢাকা রওনা হওয়ার সময়ই মৃত্যু কোলে ঢলে পড়েছিলেন তিনি। তবে প্রিয় স্যারকে ভুলতে পারেননি সাবিনা খাতুন।

এদিকে, সাফ শিরোপা জয় করে নিজ জেলায় ফেরার পর সাতক্ষীরা সার্কিট হাউজ মোড়ে গোল্ডেন গার্লস নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুনকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। নিজ হাতে প্রতিষ্ঠিত ওরিয়র স্পোর্টস একাডেমিসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

সাবিনা খাতুন জানান, সমাজে একজন মেয়েকে খেলোয়াড়ী জীবনে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য প্রচুর সংগ্রাম করতে হয়। আমাকেও তাই করতে হয়েছে। মেয়েরা ফুটবল খেলবে, এমনটা নিজের পরিবারেরও কেউ মেনে নেন না। তবুও অদম্য মনোবল ও স্থানীয় কোচ প্রয়াত আকবার আলীর উৎসাহে তিনি আজ এ পর্যায়ে এসেছেন।

তিনি বলেন, “আমার বাবা এবং আমার পরিবার আমাকে খুবই সাপোর্ট করেছে। কখনও প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়নি। জেলায় প্র্যাকটিসের জন্য পর্যাপ্ত মাঠ নেই। সে জন্য প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ভালো কোন খেলোয়ার উঠে আসে না। জেলা স্টেডিয়ামেও সারাবছর বিভিন্ন খেলা লেগে থাকে। ফুটবল খেলাকে এখন মেয়েরা পেশা হিসেবে নিচ্ছে। মেয়ের এগিয়ে আসলে ফুটবল খেলা আরও এগিয়ে যাবে।”

এস এম হাবিবুল হাসান/আরএস


শেয়ার করুন :


আরও পড়ুন

মাসুরার বাড়িতে জেলা প্রশাসক, মুছে গেল উচ্ছেদ চিহ্ন

মাসুরার বাড়িতে জেলা প্রশাসক, মুছে গেল উচ্ছেদ চিহ্ন

বীরের বেশে সাতক্ষীরায় ফিরলেন ক্যাপ্টেন সাবিনা

বীরের বেশে সাতক্ষীরায় ফিরলেন ক্যাপ্টেন সাবিনা

সাফ জয়ী নারী ফুটবল দলকে কোটি টাকা পুরস্কার দেবে সেনাবাহিনী

সাফ জয়ী নারী ফুটবল দলকে কোটি টাকা পুরস্কার দেবে সেনাবাহিনী

অবহেলায় বেড়ে ওঠা মেয়েদের কাপ জয়েও অবহেলা পিছু ছাড়েনি

অবহেলায় বেড়ে ওঠা মেয়েদের কাপ জয়েও অবহেলা পিছু ছাড়েনি