গার্দিওলার কারণেই সিটি ছেড়েছেন জেসুস

স্পোর্টসমেইল২৪ স্পোর্টসমেইল২৪ প্রকাশিত: ০৫:৫৪ পিএম, ০১ অক্টোবর ২০২২
গার্দিওলার কারণেই সিটি ছেড়েছেন জেসুস

পেপ গার্দিওলার অধীনে আর খেলতে চাননি ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার গাব্রিয়েল জেসুস। সে কারণেই গ্রীষ্মকালীন দলবদলে ম্যানচেস্টার সিটি ছেড়ে আর্সেনালে পাড়ি জমিয়েছেন। শুক্রবার ইএসপিএন ব্রাজিল প্রকাশিত এক সাক্ষাতকারে এমন দাবি জানিয়েছেন জেসুস।

২৫ বছর বয়সী এ তারকা ফরোয়ার্ড ৪৫ মিলিয়ন পাউন্ডে সিটি ছেড়ে এমিরেটসে এসেছেন। মৌসুমের শুরু থেকেই গানারদের জার্সি গায়ে নিজেকে প্রমাণ করে চলেছেন। এখানে তিনি কোচ মিকেল আর্তেতার সান্নিধ্য পেয়েছেন। আর্তেতা এক সময় গার্দিওলার সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন। আর্সেনালের হয়ে এ পর্যন্ত সাতটি প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে জেসুস চার গোল করা ছাড়াও তিনটি অ্যাসিস্ট করেছেন।

জেসুস বলেছেন, “আমি ম্যানচেস্টার সিটিতে বেশ আনন্দেই ছিলাম। এমন নয় যে আমি সেখানে ভালো ছিলাম না। কিন্তু দল আমার কাছ থেকে যে ধরনের খেলা আশা করছিল সেটাও আমাকে গ্রহণ করে নিতে হতো। বিষয়টি হচ্ছে গার্দিওলা যেভাবে ফুটবলকে বোঝে সেটাই সে আমাদের কাছ থেকে আদায় করার চেষ্টা করেছিল।”

তিনি আরও বলেন, “এ ক্ষেত্রে বিষয়টি এমন যে তোমাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তুমি এটা গ্রহণ করবে কি-না। তুমি যদি গ্রহণ করতে না চাও তবে নতুন চ্যালেঞ্জের সন্ধানে চলে যেতে হবে। আমি শুরুতে সবই মেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু একটা পর্যায়ে এসে আমার কাছে মনে হয়েছে আমি ভিন্ন কিছু চাই। আমি তাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, আমার মধ্যে এই অনুভূতিটা এনে দেওয়ার জন্য।”

গার্দিওলার অধীনে যে পরিমাণ খেলার সময় সাবেক পালমেইরাসের এ ফরোয়ার্ড পেয়েছিলেন তা নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না। জেসুস সিটি ছাড়ার পরপরই নরওয়েজিয়ান তরুণ আর্লিং হালান্ড ও আরেক তরুণ আর্জেন্টাইন জুলিয়ান আলভারেজ ইতিহাদে যোগ দেন।

এখন পর্যন্ত সাতটি লিগ ম্যাচে হালান্ড ১১ গোল করেছেন। ম্যানচেস্টারে পাঁচ বছর কাটানো জেসুস চারটি প্রিমিয়ার লিগ, একটি এফএ কাপ, তিনটি লিগ কাপের শিরোপা জেতা ছাড়াও ২০২১ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে খেলেছেন। কিন্তু সেন্টার ফরোয়ার্ড পজিশনের বাইরে বেশিরভাগ সময়ই তাকে গার্দিওলার পছন্দের জায়গায় খেলতে হয়েছে।

জেসুস বলেন, “আর্সেনালে বিষয়গুলো ভিন্ন। এখানে ফুটবল ভিন্ন, খেলোয়াড়রা ভিন্ন, খেলার স্টাইলও ভিন্ন। সিটিতে ফরোয়ার্ডরা খুব বেশি বল ধরতে পারে না। তোমার কাছে বল আসার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হয়। আমি আর্তেতার সাথে খেলার স্টাইল নিয়ে অনেক কথা বলেছি। সে আমাকে বোঝে, আমিও তাকে বুঝি। আমি জানি সে আমার কাছে কী চায়। এখানে আমি মুক্তভাবে খেলতে পারি। আমার মুখে সবসময় হাসি থাকে, প্রতিটি মুহূর্ত আমি উপভোগ করি। এ কারণেই নিজের সেরাটা দিতে চেষ্টা করি।”

২০১৭ সালে জেসুস যখন সিটিতে যোগ দিয়েছিলেন তখন আর্তেতাতে সেখানে সহকারী হিসেবে ছিলেন। এর দুই বছর পর উত্তর লন্ডনে পাড়ি জমান আর্তেতা। সাত ম্যাচে ছয় জয় নিয়ে আর্সেনাল প্রিমিয়ার লিগ টেবিলের শীর্ষে রয়েছে। ক্লাব পর্যায়ে সর্বোচ্চ ফর্মে থাকলেও গত মাসে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে ব্রাজিলের কোচ তিতে জেসুসকে দলে ডাকেননি।

প্রীতি ম্যাচ দুটিতে ঘানাকে ৩-০ ও তিউনিশিয়াকে ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত করে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ভালোই সেঁড়ে নিয়েছে ব্রাজিল।



শেয়ার করুন :