সঞ্জিত-শামসুরের নৈপুণ্যে গাজীর জয়

স্পোর্টসমেইল২৪ স্পোর্টসমেইল২৪ প্রকাশিত: ০৮:৩৯ পিএম, ০৮ এপ্রিল ২০১৯
সঞ্জিত-শামসুরের নৈপুণ্যে গাজীর জয়

প্রথমে অফ-স্পিনার সঞ্জিত সাহার বোলিং ও পরে ব্যাটসম্যান শামসুর রহমানের অনবদ্য হাফ-সেঞ্চুরিতে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে দশম রাউন্ডে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে আজ বৃষ্টি আইনে ২১ রানে জয় তুলে নিয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। এই জয়ে সুপার সিক্সের দৌঁড়ে ভালোভাবেই টিকে রইল গাজী।

কারণ, ১০ খেলায় ৫ জয় ও ৫ হারে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে আছে গাজী। সমান ১০ পয়েন্ট রয়েছে মোহামেডান ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবেরও।

সুপার সিক্সে খেলতে হলে আগামী ১১ এপ্রিলে লিগ পর্বের শেষ রাউন্ডে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে তো হারাতেই হবে, সাথে মোহামেডান-শেখ জামালের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে গাজীর।

গাজীর কাছে হারলেও সুপার সিক্সের পথ খোলা রয়েছে শাইনপুকুরের। গাজীর মত একই সমীকরন তাদের সামনেও। সুপার সিক্সে খেলতে হলে আগামী ১১ এপ্রিলে লিগ পর্বের শেষ রাউন্ডে ম্যাচ তো জিততেই হবে, সাথে মোহামেডান-গাজী-শেখ জামালের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে শাইনপুকুরকে। শেষ রাউন্ডে শাইনপুকুরের প্রতিপক্ষ খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি। কারন ১০ খেলায় ৪ জয়, ৫ হার ও ১ টাই’এ ৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের অষ্টম স্থানে আছে শাইনপুকুর।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং বেছে নেয় গাজী। ব্যাট হাতে নেমে শাইনপুকুরের দুই ওপেনার দলীয় ৫৮ রানের মধ্যে ফিরে যান। ভারতীয় উন্মুখ চাঁদ ১৩ ও সাব্বির হোসেন ২৪ রান করে আউট হন।

তবে তিন নম্বরে নামা সাদমান ইসলাম বড় ইনিংস খেলার চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনিও ব্যর্থ হন। ৬৯ বলে ৪০ রান করে থামেন তিনি। এরপর মিডল-অর্ডারের চার ব্যাটসম্যান তৌহিদ হৃদয় ৮, অমিত হাসান ৭, আফিফ হোসেন শুন্য ও শুভাগত হোম ২ রান করে দ্রুতই ফিরে যান। এরমধ্যে প্রথম তিন জনকেই শিকার করেন সঞ্জিত। সাদমানকেও আউট করেছেন তিনি।

দলীয় ১০২ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর মহাবিপদে পড়ে শাইনপুকুর। এতে দ্রুতই গুটিয়ে যাবার শংকায় পড়ে শাইনপুকুর। কিন্তু আট নম্বর ব্যাটসম্যান-অধিনায়ক সোহরাওয়ার্দি শুভ ও নয় নম্বর ব্যাটসম্যান দেলোয়ার হোসেনের ব্যাটিং দৃঢ়তায় নির্ধারিত ৪৮ ওভারে ৯ উইকেটে ১৭৭ রানের সম্মানজনক সংগ্রহ পায় শাইনপুকুর। শুভ ৩০ ও দেলোয়ার অপরাজিত ৪০ রান করেন। গাজীর সঞ্জিত ২৫ রানে ৪ উইকেট নেন।

জবাবে খেলতে নেমে জয়ের জন্য বৃষ্টির কারনে ৪৭ ওভারে ১৭৯ রানের নতুন টার্গেট পায় গাজী। কিন্তু নিজেদের ইনিংসের প্রথম ওভারেই বড় ধরনের ধাক্কা খায় গাজী। বাঁ-হাতি কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমানের ডাবল শিকারে প্রথম ওভারেই ২ উইকেট হারায় গাজী। উইকেটরক্ষক ওয়ালিউল করিম শুন্য ও তিন নম্বরে নামা অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ৫ রান করে ফিজের শিকার হন।

এরপর শুরুর ধাক্কা সামলে উঠেন আরেক ওপেনার মেহেদি হাসান ও শামসুর রহমান। ৪৬ রানের জুটি গড়েন তারা। বেশি দূর যেতে পারেননি মেহেদি। ১৩ রান করে ফিরেন তিনি। তবে দলকে সামনের দিকে টানছিলেন শামসুর। তাকে কিছুক্ষণ সঙ্গ দিয়ে থেমে যান পাঁচ নম্বরে নেমে ১৬ রান করা রনি তালুকদার।

এরপর পাকিস্তানের কামরান গুলামকে নিয়ে দলকে সামনের দিকে টেনে নিতে থাকেন শামসুর। এতে ২১ দশমিক ৫ ওভারে ৪ উইকেটে ১০৬ রান করে ফেলে গাজী। এরপর বৃষ্টির কারনে আর মাঠে গড়ায়নি খেলা। ফলে বৃষ্টি আইনে জয় তুলে সুপার সিক্সের আশা গাজী। খেলার বন্ধ হবার সময় অন্তত ৮৬ রান করলেই হতো গাজীর। সেখানে ২১ দশমিক ৫ ওভারে ৪ উইকেটে ১০৬ রান করে ফেলে গাজী। শামসুর ৯টি চারে ৬৫ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেন। ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন কামরান। ম্যাচ সেরা হয়েছেন গাজীর সঞ্জিত।

শাইনপুকুরের মুস্তাফিজ ২৩ রানে ৩ উইকেট নেন। প্রায় পাঁচ বছর পর লিষ্ট ‘এ’ ক্রিকেটে খেলতে নেমেছিলেন ফিজ। সর্বশেষ ২০১৪ সালে ঘরোয়া আসরে খেলেন তিনি। আর পরের বছরেই জাতীয় দলের হয়ে তিন ফরম্যাটেই অভিষেক হয় মুস্তাফিজের।


শেয়ার করুন :


আরও পড়ুন

সড়ক দুর্ঘটনায় নারী ক্রিকেটার নিহত

সড়ক দুর্ঘটনায় নারী ক্রিকেটার নিহত

বিশ্বকাপের জন্য নিজেকে উজাড় করে দিতে প্রস্তুত তাসকিন

বিশ্বকাপের জন্য নিজেকে উজাড় করে দিতে প্রস্তুত তাসকিন

বিশ্বকাপে ভারতকে হারাতে চান সরফরাজ

বিশ্বকাপে ভারতকে হারাতে চান সরফরাজ

ভারতের বিশ্বকাপ দল ঘোষণা ১৫ এপ্রিল

ভারতের বিশ্বকাপ দল ঘোষণা ১৫ এপ্রিল