সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ঘটে গেল নাটকীয় ঘটনা। নির্ধারিত সময় শেষে সমতায় থাকায় খেলা গড়িয়েছিল টাইব্রেকারে। সেখানে দু’পক্ষের ২২ শটে সমান ১১টা করে গোল। এরপর ঘটে যায় মহানাটকীয় ঘটনা। নিয়ম না থাকলেও টস করে ভারত জয়ী হলেও মানেনি বাংলাদেশ। ম্যাচ কমিশনারের ভুলে মহাগ্যাঞ্জামের পর দুই দলকেই চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) নারী অনূর্ধ্ব–১৯ সাফের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ৯০ মিনিটের খেলা ১-১ সমতায় শেষ করে বাংলাদেশের মেয়েরা। নির্ধারিত সময়ে কোন দল জয়ী না হওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানেও কেউ কাউকে ছাড় দেয়নি।
একে একে ২২ শটের টাইব্রেকার দুই দলই সমান ১১-১১টি গোল করে। ফলে এখানে কোন দল জয়ী না হওয়ায় টসের মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন দল নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেন রেফারি। এমনকি টস করে ভারতীয় মেয়েদের জয়ীও ঘোষণা করা হয়। তবে টসের পর প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশের মেয়েরা।
বাংলাদেশের প্রতিবাদে বাইলজ ঘেঁটে রেফারিরা দেখতে পান সাফে টসের এমন নিয়ম নেই। পরে বাধ্য হয়ে টসের ফলাফল বাতিন ঘোষণা করা হয়। ম্যাচ কমিশনারের এমন ভুলে মহাগ্যাঞ্জাম বেধে যায়। ভারতীয় নারী ফুটবলাররা মাঠ ছেড়ে চলে যান।
ভারতীয় নারী দলের মাঠ ছেড়ে উঠে যাওয়ার মাঠে ফিরতে তাদের ৩০ মিনিটের সময় বেঁধে দেওয়া হয়। না হলে বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণার তথ্য জানানো হয়। তবে ৩০ মিনিট পার হয়ে গেলেও ভারতীয় মেয়েরা আর মাঠে প্রবেশ করেননি। এর মাঝে বাংলাদেশ ও ভারতীয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কথা বলে দুই দলকেই চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা সিদ্ধান্ত নেন।
এর মধ্য দিয়ে ৫ ঘণ্টার নাটক আর বিতর্কের অবসান ঘটে। পরে বাংলাদেশের ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপনের উপস্থিতিতে দুই দলের অধিনায়কের হাতে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফি তুলে দেওয়া হয়।