টানা তৃতীয়বারের মতো ওয়ালটনের ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর’ হলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। আগামী দুই বছরের জন্য তরুণ এ ক্রিকেটারের সঙ্গে চুক্তি করেছে দেশের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স খাতের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান ‘ওয়ালটন’।
এর আগে ২০১৫ সালে মিরাজ বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক থাকার সময় দুই বছরের জন্য ওয়ালটনের ‘ইয়ুথ অ্যাম্বাসেডর’ হয়েছিলেন।
সম্প্রতি রাজধানীর বসুন্ধরায় ওয়ালটন করপোরেট অফিসে মিরাজ ও ওয়ালটনের মধ্যকার এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) নজরুল ইসলাম সরকার।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এস এম জাহিদ হাসান, মো. শাহজালাল হোসেন লিমন, মো. মাহমুদুল ইসলাম ও দিদারুল আলম খান (চিফ মার্কেটিং অফিসার), সিনিয়র ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রবিউল ইসলাম মিলটন এবং পাওয়ার প্লে কমিউনিকেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়ামুর রহমান পলাশ।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ওয়ালটনের ডিএমডি নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, “ক্রিকেটসহ দেশের অন্যান্য খেলাধূলায় সর্বদা পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে ওয়ালটন। জাতীয় ক্রিকেট দল যেমন বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং করছে, তেমনি ওয়ালটনও বিশ্ব প্রযুক্তি পণ্য খাতে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করছে। মিরাজ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অত্যন্ত প্রতিভাবান ও অন্যতম অলরাউন্ডার। তার মতো মেধাবী অলরাউন্ডার ক্রিকেটারকে ৩য় বারের মতো ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।”
অনুষ্ঠানে মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, “ক্রিকেটের পৃষ্ঠপোষকতায় ওয়ালটন বরাবরই এগিয়ে। দেশের সর্বস্তরের খেলাধূলা এবং খেলোয়াড়দেরও পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে ওয়ালটন। অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলার সময় যখন আমার তেমন পরিচিতি ছিল না, তখন ওয়ালটন আমাকে ইয়ুথ অ্যাম্বাসেডর করেছে। এরপর টানা তিনবার আমাকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর-এর মর্যাদা দিল ওয়ালটন।”
মিরাজ আরও বলেন, “এটা আমার জন্য অনেক বড় সম্মানের। দেশের শীর্ষ গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি গর্বিত। দেশ-বিদেশে ওয়ালটনকে প্রতিনিধিত্ব করার পাশাপাশি ওয়ালটনের ব্র্র্যান্ড ইমেজকে আরও বৃদ্ধি করতে আমি সর্বদা সচেষ্ট থাকবো।”