গেইল-রাসেলের ম্যাচে ইমরুলের দাপট, চট্টগ্রামের বড় জয়

স্পোর্টসমেইল২৪ স্পোর্টসমেইল২৪ প্রকাশিত: ১০:২৪ পিএম, ০৭ জানুয়ারি ২০২০
গেইল-রাসেলের ম্যাচে ইমরুলের দাপট, চট্টগ্রামের বড় জয়

ছবি : বিসিবি

বঙ্গবন্ধু বিপিএলের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা দুই দল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও রাজশাহী রয়্যালসে মুখোমুখি হয়েছিলেন বিদেশি দুই তারকা আন্দ্রে রাসেল ও ক্রিস গেইল। তবে সবাইকে ছাপিয়ে দুর্দান্ত খেলেছেন ইমরুল কায়েস। তার ব্যাটিং দাপটে রাজশাহীর বিপক্ষে ৭ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে চট্টগ্রাম।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দিনের দ্বিতীয় ও টুর্নামেন্টের ৩৬তম ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৬৬ রান করে রাজশাহী রয়্যালস। ওপেনার লিটন দাস ৫৬ ও ফরহাদ রেজা ৮ বলে ২১ রান করেন। জবাবে ইমরুলের অপরাজিত ৬৭ ও সিমন্সের ৫১ রানের সুবাদে ৯ বল বাকি রেখেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে চট্টগ্রাম।

এ জয়ে ১১ খেলায় ৮ জয় ও ৩ হারে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠলো চট্টগ্রাম। অন্যদিকে সমানসংখ্যক ম্যাচে ৭ জয় ও ৪ হারে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয়স্থানে নেমে গেল রাজশাহী।

রাজশাহীকে প্রথমে ব্যাট করার সুযোগটা ভালোভাবে কাজে লাগাতে দেননি পেসার রুবেল হোসেন। ইনফর্ম আফিফ হোসেনকে দ্বিতীয় ওভারেই বিদায় দেন তিনি। বোল্ড হওয়ার আগে ৯ রান করেন আফিফ। এরপর ইরফান শুক্কুরের সাথে ৩৭ ও পাকিস্তানের শোয়েব মালিকের সাথে ৪১ রানের দু’টি জুটি গড়ে রাজশাহীর রানের চাকা সচল রাখেন লিটন।

তবে আসরের দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরি তুলে থামেন লিটন। ৪৫ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫৬ রান করে রাজশাহীর জিয়াউর রহমানের বলে আউট হন লিটন। লিটনের পর ছোট-ছোট ইনিংস খেলেন মালিক ও অধিনায়ক ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে রাসেল। মালিক ২৪ বলে ২৮ ও রাসেল ১০ বলে ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ২০ রান করেন। তবে ইনিংসের ১০ বল বাকি থাকতে প্যাভিলিয়নে ফিরেন মালিক-রাসেল-কাপালি ও বোপারা। তখন দলের স্কোর ১৪৪ রান।

এ অবস্থায় শেষ দিকে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেন ফরহাদ। মাত্র ৮ বলে ২১ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন ফরহাদ। তার ইনিংসে ১টি চার ও ২টি ছক্কা ছিল। ফলে ৮ উইকেটে ১৬৬ রানের লড়াকু পুঁজি পায় রাজশাহী। চট্টগ্রামের রুবেল-জিয়াউর ৩টি করে উইকেট নেন।

জয়ের জন্য ১৬৭ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই ১২ রান পায় চট্টগ্রাম। রাজশাহীর অধিনায়ক রাসেলের করা ওই ওভারে ১টি করে চার-ছক্কা মারেন ওপেনার লেন্ডন সিমন্স। তৃতীয় ওভারে রাজশাহীর স্পিনার আফিফের ওপর চড়াও হন ক্রিস গেইল। প্রথম, তৃতীয় ও ষষ্ঠ ডেলিভারিতে ছক্কা হাঁকান তিনি। পঞ্চম বলে চারও মারেন গেইল। ফলে ওই ওভার থেকে ২২ রান নেন গেইল। কিন্তু পঞ্চম ওভারের প্রথম বলেই আউট হন গেইল।

রাজশাহীর পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বির ডেলিভারিটি ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে লিটন দাসকে ক্যাচ দিয়ে আউট হন গেইল। ফলে এবারের বিপিএলে প্রথম খেলতে নেমে ১০ বলে ২৩ রান করেন তিনি। তার ইনিংসে ১টি চার ও ৩টি ছক্কা ছিল।

দলীয় ৩৫ রানে ‘ইউনিভার্স বস’ ফিরে যাওয়ার পর চট্টগ্রামের জয়ের ভিত গড়ে দেন সিমন্স ও ইনফর্ম ইমরুল কায়েস। ৪৯ বলে ৭৭ রানের জুটি গড়েন তারা। চলমান আসরে তৃতীয়বারের মত হাফ-সেঞ্চুরি তুলে ৫১ রানে রান আউট হন সিমন্স। এরপর ক্রিজে গিয়ে বাউন্ডারি দিয়ে রানের খাতা খুলেন মাহমুদউল্লাহ। পরের ওভারে আত্মবিশ্বাসের সাথে আরও একটি বাউন্ডারি আদায় করেন তিনি। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি।

৬ বলে ১০ রান করে ফরহাদ রেজার শিকার হয়ে অধিনায়ক বিদায় নিলেও জয় পেতে কোন সমস্যা হয়নি চট্টগ্রামের। ১৪ ওভার শেষে ম্যাচ হাতে মুঠোয় চলে আসে তাদের। কারণ শেষ ৩৬ বলে ৩৭ রান দরকার পড়ে চট্টগ্রামের। দলের বাকি প্রয়োজনটুকু মিটিয়েছেন ইনফর্ম ইমরুল ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের চাঁদউইক ওয়ালটন। চতুর্থ উইকেটে ২৬ বলে ৪০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন তারা।

৪১ বলে ৩টি চার ও ৫টি ছক্কায় অপরাজিত ৬৭ রান করেন ইমরুল। চলমান আসরে চারটি হাফ-সেঞ্চুরিতে তার রান এখন ৩৮৬। রান সংগ্রাহকের তালিকায় দ্বিতীয়স্থানে উঠে এসেছেন ইমরুল। ১১ বলে ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন ওয়ালটন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
রাজশাহী রয়্যালস : ১৬৬/৮, ২০ ওভার (লিটন ৫৬, মালিক ২৮, জিয়াউর ৩/১৮)
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স : ১৭০/৩, ১৮.৩ ওভার (ইমরুল ৬৭*, সিমন্স ৫১, ফরহাদ ১/১৭)।

ফল : চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যাচ সেরা : ইমরুল কায়েস (চট্টগ্রাম)।


শেয়ার করুন :


আরও পড়ুন

যখনই সুযোগ আসবে সর্বাত্মক চেষ্টা করবো : ইমরুল কায়েস

যখনই সুযোগ আসবে সর্বাত্মক চেষ্টা করবো : ইমরুল কায়েস

বিএসপিএ বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদের তালিকায় সাকিব-রোমান-জামাল

বিএসপিএ বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদের তালিকায় সাকিব-রোমান-জামাল

সৌম্যর ঝড়ো ব্যাটিং, আশা বাঁচিয়ে রাখলো কুমিল্লা

সৌম্যর ঝড়ো ব্যাটিং, আশা বাঁচিয়ে রাখলো কুমিল্লা

যুব বিশ্বকাপে সাতটি ম্যাচের দায়িত্বে মুকুল-সৈকত

যুব বিশ্বকাপে সাতটি ম্যাচের দায়িত্বে মুকুল-সৈকত