বাবর-ইফতিখারের সেঞ্চুরি, রেকর্ড জয়ে পাকিস্তানের এশিয়া কাপ শুরু

স্পোর্টসমেইল২৪ স্পোর্টসমেইল২৪ প্রকাশিত: ১২:৫৪ এএম, ৩১ আগস্ট ২০২৩
বাবর-ইফতিখারের সেঞ্চুরি, রেকর্ড জয়ে পাকিস্তানের এশিয়া কাপ শুরু

অধিনায়ক বাবর আজম ও ইফতিখার আহমেদের জোড়া সেঞ্চুরিতে রেকর্ড জয়ে এশিয়া কাপের ১৬তম আসর শুরু করলো পাকিস্তান।বুধবার (৩০ আগস্ট) টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে প্রথমবার এশিয়া কাপ খেলতে নামা নেপালকে ২৩৮ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান।

রান বিবেচনায় এশিয়া কাপের ইতিহাসে এটি পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় জয়। এর আগে ২০০০ সালে ঢাকায় বাংলাদেশের বিপক্ষে ২৩৩ রানে জয় পেয়েছিল পাকিস্তান। এছাড়া রান বিবেচনায় সব মিলিয়ে এশিয়া কাপ ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয় ভারতের। ২০০৮ সালে করাচিতে হংকংকে ২৫৬ রানের ব্যবধানে হারিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া।

নেপালের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৪২ রানের পাহাড় গড়ে পাকিস্তান। বাবর ১৫১ ও ইফতিখার অপরাজিত ১০৯ রান করেন। জবাবে ১০৪ রানে গুটিয়ে যায় নেপাল।

মুলতানে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর। প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি পাকিস্তানের দুই ওপেনার ফখর জামান ও ইমাম উল হক। সপ্তম ওভারে ২৫ দলীয় রানের মধ্যে বিদায় নেন তারা। ফখর ১৪ ও ইমাম ৫ রান করেন।

শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে জুটি বাঁধেন বাবর ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। নেপালের বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে ২২তম ওভারে দলের রান ১শতে নেন বাবর-রিজওয়ান। ২৪তম ওভারে দলীয় ১১১ রানে রিজওয়ান রান আউট হলে ব্রেক-থ্রু পায় নেপাল। ৫০ বলে ৪৪ রান করেন রিজওয়ান। বাবরের সাথে তৃতীয় উইকেটে ১০৬ বলে ৮৬ রান যোগ করেন তিনি।

ক্রিজে এসে ৫ রানের বেশি করতে পারেননি আগা সালমান। দলীয় ১২৪ রানে সালমান ফেরার পর ক্রিজে বাবরের সঙ্গী হন ইফতিখার। দলের স্কোর শক্ত করার পাশাপাশি ইনিংস বড় করেন দু’জনেই। ৪২তম ওভারে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৯তম সেঞ্চুরি তুলতে ১০৯ বল খেলেন বাবর। ইনিংস (১০২) হিসেবে দ্রুত ১৯তম সেঞ্চুরির মালিক হলেন বাবর।

শ্রীলঙ্কার মাহেলা জয়াবর্ধনে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্রায়ান লারা ও অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নারের সমান ১৯তম সেঞ্চুরির মালিক হলেন বাবর।
সেঞ্চুরির পর নেপালের বোলারদের উপর চড়াও হন বাবর-ইফতিখার দু’জনেই। ৪৭তম ওভারে দলের রান ৩শতে নেন তারা।

৪৯তম ওভারের পঞ্চম বলে ১৫তম ওয়ানডেতে প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ নেন ইফতিখার। ৬৭ বল মোকাবেলায় শতক হাকিয়ে এশিয়া কাপে দ্রুততম সেঞ্চুরিতে চতুর্থস্থানে জায়গা করে নেন ইফতিখার।

শেষ ওভারের চতুর্থ বলে বাবরকে বিদায় দেন পেসার সমপাল কামি। ১৪টি চার ও ৪টি ছক্কায় ১৩১ বলে ১৫১ রান করেন বাবর। পঞ্চম উইকেটে ইফতিখারের সাথে ১৩১ বলে ২১৪ রানের জুটি গড়েন বাবর। ওয়ানডেতে পাকিস্তানের হয়ে পঞ্চম উইকেটে এটিই সর্বোচ্চ রানের জুটি। পঞ্চম উইকেটে আগেরটি ২০০৯ সালে কলম্বোতে শ্রীলংকার বিপক্ষে ১৭৬ রান করেছিলেন ইউনুস খান ও উমর আকমল।

শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৪২ রানের পাহাড় গড়ে পাকিস্তান। যা এশিয়া কাপে দলটির তৃতীয় সর্বোচ্চ রান । ঝড়ো গতিতে ব্যাট চালিয়ে ইনিংসের শেষ ১০ ওভারে ১২৯ রান তোলেন বাবর-ইফতিখার। ১১টি চার ও ৪টি ছক্কায় ১০৯ রানে অপরাজিত থাকেন ইফতিখার। নেপালের কামি ৮৫ রানে ২ উইকেট নেন।

জবাবে ইনিংসের শুরু থেকেই চাপে পড়ে নেপাল। পাকিস্তানি বোলারদের তোপে দ্বিতীয় ওভাওে দলীয় ১৪ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় তারা। এর মধ্যে শাহিন শাহ আফ্রিদি ২টি ও নাসিম শাহ ১টি উইকেট নেন।

চতুর্থ উইকেটে ৫৯ রানের জুটি গড়ে শুরুর চাপ সামাল দেন কামি ও আরিফ শেখ। ২৬ রানে আরিফকে শিকার করে জুটি ভাঙ্গেন পেসার হারিস রউফ। দলীয় ৭৩ রানে চতুর্থ উইকেট পতনের পর নেপাল ইনিংসে ধস নামে।

শেষ পর্যন্ত ২৩.৪ ওভারে ১০৪ রানে গুটিয়ে যায় নেপাল। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন কামি। পাকিস্তানের শাদাব ৪টি, আফ্রিদি-রউফ ২টি করে উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হন বাবর।



শেয়ার করুন :