মুশফিকের আউট নিয়ে যে ব্যাখ্যা দিলো আইসিসি

স্পোর্টসমেইল২৪ স্পোর্টসমেইল২৪ প্রকাশিত: ১২:৫৮ পিএম, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩
মুশফিকের আউট নিয়ে যে ব্যাখ্যা দিলো আইসিসি

মিরপুরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বের দ্বিতীয় ও বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড’ আউট হয়েছেন অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। ক্রিকেটের নিয়মে বিষয়টি সঠিক হলেও বাংলাদেশের ক্রিকেটে এটি পরিচিত নয়। ফলে বিষয়টি নিয়ে আইসিসি থেকে একটি ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।

মুশফিকের এই অদ্ভুদ আউটের ঘটনাটি ঘটে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম দিনের (বুধবার) ৪১তম ওভারে। পেসার কাইল জেমিসনের বলে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলে হাত দিয়ে বল সরিয়ে দেন মুশফিক। সাথে সাথে আউটের আবেদন করে নিউজিল্যান্ড দল। পরে টিভি রিপ্লেতে মুশফিককে আউটের সিদ্ধান্ত দেন থার্ড আম্পায়ার।

ক্রিকেট আইন অনুসারে, বল খেলার মধ্যে থাকতে ব্যাটসম্যান যদি যে হাতে ব্যাট ধরা নেই, সেই হাত দিয়ে বল ধরেন, তবে এই আউট হবেন। তবে যদি চোটের হাত থেকে বাঁচতে বল ধরেন তবে তিনি আউট হবেন না।

১৯৫১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের লেন হাটন টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম এমন আউট হন। ঐ আউটটিকে বলা হত ‘হ্যান্ডলিং বল’। কিন্তু ২০১৭ সাল থেকে এটিকে বলা হচ্ছে- ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড’।

রেকর্ড অনুসারে ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে এখন পর্যন্ত মোট ১২ জন ক্রিকেটার এমন আউট হয়েছেন। আইসিসির ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে মুশফিকের আউটের বিস্তারিত কারণ জানানো হয়।

৩৭.১১
ব্যাটার যদি বল খেলার মধ্যে থাকাকালে ইচ্ছাকৃতভাবে কথা বা কাজের মাধ্যমে ফিল্ডিং দলকে বাধা দেন কিংবা মনোযোগ নষ্ট করেন, তবে আউট হবেন। তবে ৩৭.২ ধারা মতে, চোট থেকে বাঁচতে এমন কিছু করলে ব্যাটার আউট হবেন না।

৩৭.১২
বোলার বল করার পর ব্যাটার যদি যে হাতে ব্যাট ধরা নেই সেই হাত দিয়ে বলে আঘাত করেন বা ছুঁয়ে সরিয়ে দেন তবে আউট ঘোষিত হবেন (ব্যতিক্রম ৩৭.২ ধারা)। সেটি প্রথম, দ্বিতীয় কিংবা আরও পরে ছোঁয়ার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। বল খেলার সময় যেমন তেমনি এরপর ব্যাটসম্যান কিংবা নন স্ট্রাইকার ব্যাটসম্যান উইকেট বাঁচানোর চেষ্টা করার সময়েও এই আইন প্রযোজ্য।


শেয়ার করুন :