বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের জন্য আরও একটি ব্যর্থ বিশ্বকাপ। ছয় ম্যাচের ৫টিতেই হার। জয়ের দ্বারপ্রান্তে গিয়ে ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও সর্বশেষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারের স্বাদ। শেষ প্রতিপক্ষ ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে দলকে উজ্জীবিত করতে হাজির হয়েছেন বিসিবির নারী বিভাগের প্রধান আব্দুর রাজ্জাক।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় দলের অনুশীলন দেখেছেন সাবেক এ ক্রিকেটার। পরে ওয়ানডে নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপের সংবাদ সংগ্রহে থাকা দেশের দু’জন গণমাধ্যম প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলেন আব্দুর রাজ্জাক।
বিশ্বকাপে তিন ম্যাচ খুব কাছে গিয়েও হেরে গেছে বাংলাদেশ, এমন হারে কষ্ট পেয়েছেন কি-না? এমন প্রশ্নে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “কষ্ট তো পাওয়ারই কথা, যেভাবে কাছে গিয়ে আমরা কয়েকটা ম্যাচ হেরে গেছি। অন্তত ৩টা ম্যাচ -কষ্ট তো লেগেছেই। তার থেকেও আমি খুশি যে, ওরা ম্যাচ এই পর্যন্ত নিয়ে গেছে, মানে ওরা উন্নতি করছে, খুব ভালোভাবে।”
তিনি বলেন, “বিশেষ করে ইংল্যান্ডের সঙ্গে ও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে যে ধরনের ম্যাচ খেলেছে, এর আগে কিন্তু কিছুটা একপেশে ম্যাচ হতো। সেটাকে ওরা খুব কাছে নিয়ে গেছে। আমি মনে করি, তাদের উন্নতি হচ্ছে। আমার জন্য এটা খুব ভালো খবর -এসেই দেখছি ওরা ভালো ক্রিকেট খেলা শুরু করেছে। এখন ওদের যেসব সুযোগ-সুবিধা দিলে ভালো হবে -সেটাই দেওয়ার চেষ্টা করবো।”
বিশ্বকাপে হয়তো অনেক ভুল-ত্রুটি আছে, আপনার চোখেও হয়তো ধরা পড়ছে। অনেক সমস্যার কথাও জানছেন। নারী ক্রিকেট দলের কাঠামোগত পরিবর্তন দ্রুতই আসবে কি-না? এমন প্রশ্নে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “আমার দ্বারা যা যা সম্ভব, সবকিছু করার চেষ্টা করবো।”
তিনি আরও বলেন, “দল কিন্তু পরিবর্তন হয়েছে। হয়তো দুর্ভাগ্যবশত ফলাফলটা আমাদের হয়নি। সব মিলে ক্রিকেটের কিন্তু বেশ একটা উন্নতি পরিলক্ষিত হয়েছে -আমার কাছে মনে হয়েছে পুরো টুর্নামেন্টেই। এখন সবচেয়ে মূল কাজ হলো এসব ফলাফল নিজেদের দিকে আনা। সেটার জন্য টেকনিক্যাল জায়গায় যারা আছেন, তাদের সবার সঙ্গে কথা বলবো, যাতে যত দ্রুত সম্ভব -এগুলো রিকভার করা যায়। এর জন্য যা সহযোগিতা লাগবে, আমি চেষ্টা করবো, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেওয়ার।”
বিশ্বকাপের আগে দল থেকে কিছু সিনিয়র ক্রিকেটারকে বাদ দেওয়া হয়েছে, যেসব তরুণ ক্রিকেটারকে নেওয়া হয়েছে, তারাও প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স দিতে পারেনি। অভিজ্ঞরা থাকলেই কি দলের জন্য ভালো হতো?
রাজ্জাক বলেন, “এটা একটা প্রক্রিয়া, নিশ্চয়ই এটা পরিকল্পনা ছাড়া হয়নি। যারা কাজ করেছেন, নিশ্চয় কোনো না কোনো পরিকল্পনা ছিল। আগে আমি জানবো পরিকল্পনা কী ছিল। নিশ্চয় সেটি জানার বিষয় আছে। আপনারা যেহেতু প্রশ্ন করেছেন, তার মানে এ রকম একটা ব্যাপার হলেও হতে পারে। তো আমি এখনো জানিনি।”
তিনি আরও বলেন, “বিশ্বকাপ শেষ না হলে তো এসব নিয়ে কথা বলা যায় না। নিশ্চয় আমি জানতে চাইব, পরিকল্পনা কী ছিল। এ রকম কিছু হলে (সিনিয়ররা দলে থাকলে) আরও ভালো হতো কি-না।”

মোশারফ হোসাইন