আয়ে ভাটা, পুষিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনা দেখছে বিসিবি

স্পোর্টসমেইল২৪ স্পোর্টসমেইল২৪ প্রকাশিত: ০১:০০ পিএম, ০৭ এপ্রিল ২০২০
আয়ে ভাটা, পুষিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনা দেখছে বিসিবি

প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে সারাবিশ্বের জনজীবন স্থবির। বন্ধ রয়েছে সকল প্রকার ক্রীড়া ইভেন্ট। বাংলাদেশেও বন্ধ রয়েছে ক্রিকেট-ফুটবলসহ সকল প্রকার খেলাধুলা। খেলা বন্ধ থাকায় বিসিবির চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটারসহ বাকিদের পড়তে হয়েছে অর্থিক সঙ্কটে। তবে বিসিবি বলছে, খেলা বন্ধ হওয়া বোর্ডে আয়ে ভাটা পড়লেও তেমন ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। এছাড়া আয়ের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়াও সম্ভব।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক ও ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান ইসমাইল হায়দার মল্লিক এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন। সংবাদ মাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, করোনার কারণে একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়বেই। তবে বিসিবির বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা কম।

মল্লিক বলেন, খেলা বন্ধ থাকায় জার্সি স্পন্সর, গ্রাউন্ডস রাইটস, টিভি রাইট- এগুলোর মূল্য কমবে। সেটা ২০-২৫ শতাংশ হতে পারে। টাকার অংকে হয়তো ৩০-৪০ কোটি। ফলে বিসিবির ফান্ডে অতিরিক্ত টাকা জমা হবে না। তবে বোর্ডের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনায় আশা করি, সমস্যা হবে না। বোর্ডের সব কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলবে। বোর্ডের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আমরা বৈঠক করেছি।

আর্থিক ক্ষতি সম্ভাবনা কমের বিষয়ে ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, বোর্ডের আয়ের মূল উৎস মূলত দু’টি। একটি, বিভিন্ন স্পন্সর, রাইটস বিক্রি, ঘরোয়া সিরিজ আয়োজন। আর বাকি ৫০ ভাগের উৎস হলো- আইসিসি ও এসিসি। এ দুটি উৎস থেকে বিভিন্ন অনুদান মিলে। এর বাইরে মহাদেশীয় ও বিশ্ব আসরে অংশ নেওয়া এবং আনুষঙ্গিক সাহায্য ও সহযোগিতা, এসব থেকেও একটা বড় অংকের অর্থ আসে।

তিনি বলেন, আইসিসি আর এসিসির কোন ইভেন্ট বাতিল হয়নি, দুটোই আছে। এশিয়া কাপ ও বিশ্ব টি-টোয়েন্টি আসরে অংশগ্রহণের একটা আয় রয়েছে। এর বাইরেও আনুষঙ্গিক অর্থনৈতিক সুযোগ সুবিধা রয়েছে। এ দুটি ইভেন্ট হলে আয় কমলেও ভয়ের কিছু নেই।

তিনি আরও বলেন, বিসিবি একটি উদ্ধৃত তহবিল আছে। সভাপতি (নাজমুল হাসান পাপন) বোর্ডের দায়িত্ব নেওয়ার পর বোর্ডের অন্যরকম একটা অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা এসেছে। আশা করি, ওটা দিয়ে আমরা ৪-৫ বছরের সমস্যা সমাধান করতে পারব, ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারব। আর এক-দেড় বছরের মধ্যে পরিস্থিতি ঘুরে দাঁড়ালে আমাদের বিশেষ সমস্যা হবে না। তবে প্রাথমিক ধাক্কায় ২০-২৫ শতাংশ আয় কমে যাবে।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ এবং অক্টোবর-নভেম্বরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার সূচি রয়েছে। তবে প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের কারণে দুটি ক্রীড়া ইভেন্টই শঙ্কার মুখে। পরিস্থিতি ভালো হয়ে আসর দুটি মাঠে গড়ালে বিসিবির মোট আয়ের একটি ভালো অংশ চলে আসবে। বিপরীতে আসর দুটি না হলে বিসিবির আয়ের দুটি বড় ক্ষেত্রই বন্ধ হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে বিসিবির সম্ভাব্য আয় কমবে ৫০ শতাংশ।

এদিকে খেলা বন্ধ থাকায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) চুক্তির বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের এককালীন ৩০ হাজার এবং বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটারদের এককালীন ২০ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছে। এছাড়া সঙ্কটের মধ্যেও চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের কোন প্রকার বেতন কর্তন করা হবে না বলে জানিয়েছে বোর্ড।


শেয়ার করুন :


আরও পড়ুন

বিপিএলের দিকে তাকিয়ে বিসিবি

বিপিএলের দিকে তাকিয়ে বিসিবি

তামিম-মুশফিকদের বেতন কাটছে না বিসিবি

তামিম-মুশফিকদের বেতন কাটছে না বিসিবি

চুক্তিতে না থাকা ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়ালো বিসিবি

চুক্তিতে না থাকা ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়ালো বিসিবি

নারী ক্রিকেটারদেরও এককালীন টাকা দিচ্ছে বিসিবি

নারী ক্রিকেটারদেরও এককালীন টাকা দিচ্ছে বিসিবি