সিরিজ জিতেই শ্রীলঙ্কা সফর শেষ করলো বাংলাদেশ

স্পোর্টসমেইল২৪ স্পোর্টসমেইল২৪ প্রকাশিত: ১০:৪৩ পিএম, ১৬ জুলাই ২০২৫
সিরিজ জিতেই শ্রীলঙ্কা সফর শেষ করলো বাংলাদেশ

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে হারলেও টানা দুই ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় করলো টাইগাররা। লঙ্কানদের ঘরের মাঠে এ সিরিজ জয়ের মধ্য দিয়ে সফরও শেষ করলো বাংলাদেশ।

এ সিরিজের আগে লঙ্কানদের বিপক্ষে কখনও টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। এর আগে পাঁচটি দ্বিপাক্ষীক সিরিজ খেলেছে দু’দল। ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কায় দুই ম্যাচের সিরিজ ড্র, এ সিরিজের আগে সেটাই ছিল টাইগারদের সেরা ফলাফল। সব মিলিয়ে ১৯ ম্যাচের মধ্যে টাইগারদের জয় ছিল ৭টিতে এবং হার ছিল ১২ ম্যাচে। তবে এবার সিরিজ জিতে নতুন ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ।

সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কাকে ৮ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। ফলে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতল টাইগাররা। সিরিজের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কা ৭ উইকেটে এবং দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ ৮৩ রানে জিতেছিল।

গলে সিরিজের প্রথম টেস্ট দিয়ে শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার মধ্যকার মাঠের লড়াই। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-০ ব্যবধানে এবং তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে এবারের লঙ্কান সফর শেষ করলো লিটন দাসের দল।

বুধবার (১৬ জুলাই) কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে বল করতে নেমে দারুণ শুরু করে বাংলাদেশ। দলীয় ৬৬ রানে পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে নিশাঙ্কা ফেরার পর শ্রীলঙ্কাকে সম্মানজনক সংগ্রহ এনে দেন কামিন্দু মেন্ডিস ও দাসুন শানাকা।

শেষ ওভারে শানাকার কল্যাণে সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছে শ্রীলঙ্কা। শরিফুলের করা শেষ ওভারে ২টি করে চার-ছক্কায় ২২ রান তুলেন শানাকা। এতে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩২ রান করে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের পক্ষে ৪ ওভারে ১১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেন মাহেদি হাসান।

১৩৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। পেসার নুয়ান থুশারার বলে লেগ বিফোর আউট হন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। শুরুর ধাক্কা শক্ত হাতে সামাল দেন আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান ও অধিনায়ক লিটন দাস। পাওয়ার প্লেতে ৪৭ রান তুলেন তারা।

নবম ওভারে লিটনকে হারায় বাংলাদেশ। কামিন্দুকে শিকার হবার আগে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৬ বলে ৩২ রান করেন লিটন। দ্বিতীয় উইকেটে তানজিদের সাথে ৫০ বলে ৭৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন টাইগার দলনেতা। দশম ওভারে চার মেরে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের পঞ্চম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তানজিদ। ২৭ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করতে ৫টি ছক্কার সাথে ১টি চার মারেন তিনি।

হাফ-সেঞ্চুরির পর ব্যক্তিগত ৬০ রানে কামিন্দুর বলে থিকশানার হাতে ক্যাচ দিয়ে বাঁচেন তানজিদ। লিটন ফেরার তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে ৪৮ বলে ৫৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ২ উইকেটে ১৩৩ রান তুলে ২১ বল বাকি থাকতে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন তানজিদ।

১টি চার ও ৬টি ছক্কায় ৪৭ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার সেরা ৭৩ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তানজিদ। ১টি করে চার-ছক্কায় ২৫ বলে অনবদ্য ২৭ রান করেন হৃদয়।



শেয়ার করুন :