টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে ৯ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে টাইগাররা। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জয় নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ। উইকেট বিবেচনায় ডাচদের বিপক্ষে বাংলাদেশের এটি সবচেয়ে বড় জয়।
সিরিজের প্রথম ম্যাচ ৮ উইকেটে জিতেছিল টাইগাররা। ফলে এক ম্যাচ বাকি রেখেই নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় নিশ্চিত করে লিটন দাসের দল।
২০১০ সালে ওয়ানডে ফরম্যাটে নেদারল্যান্ডসের কাছে এক ম্যাচের সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশ। এরপর ২০১২ সালে ডাচদের সাথে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ১-১ সমতায় শেষ করেছিল টাইগাররা।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে নেদারল্যান্ডসকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় বাংলাদেশ। তবে টাইগার বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারছিল না ডাচ ব্যাটাররা।
দলীয় ৬৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে দ্রুত গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে নেদারল্যান্ডস। সেই শঙ্কা আরও বেড়ে যায় ৮১ রানে নবম উইকেটের পতন হলে।
এ অবস্থায় শেষ উইকেট জুটিতে ১৮ বলে ২২ রান যোগ করে নেদারল্যান্ডসকে লজ্জার হাত থেকে রক্ষা করেন আরিয়ান দত্ত ও ড্যানিয়েল ডোরাম। ১৮তম ওভারের প্রথম বলে দলের রান ১শতে নেন তারা।
একই ওভারের তৃতীয় বলে স্পিনার মাহেদি হাসানের বলে বোল্ড হন আরিয়ান। এতে ১০৩ রানে গুটিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে এটিই সর্বনিম্ন রান ডাচদের।
৩ চার ও ১ ছক্কায় ২৪ বলে ৩০ রান করেন আরিয়ান। ২ রানে অপরাজিত থাকেন ডোরাম।
বল হাতে বাংলাদেশের নাসুম ২১ রানে ৩টি, তাসকিন ও মুস্তাফিজ ২টি করে এবং মাহেদি ও তানজিম ১টি করে উইকেট নেন।
১০৪ রান তাড়া করতে নেমে ৩৩ বলে ৪০ রানের সূচনা পায় বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে ২১ বলে ২৩ রান অবদান রেখে আউট হন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন।
এরপর দ্বিতীয় উইকেটে বাংলাদেশের জয়ের পথ সহজ করেন আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও অধিনায়ক লিটন দাস। অষ্টম ওভারে দলের রান ৫০-এ নেন তারা।
দশম ওভারে ক্যাচ দিয়ে জীবন পান ২৮ রানে থাকা তানজিদ। জীবন পেয়ে ৩৯ বলে টি-টোয়েন্টিতে ষষ্ঠ হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। ১৪তম ওভারের প্রথম বলে চার মেরে বাংলাদেশের জয়ও নিশ্চিত করেন তানজিদ।
৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪০ বলে অপরাজিত ৫৪ রান করেন তানজিদ। ২ বাউন্ডারিতে ১৮ বলে ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন লিটন। দ্বিতীয় উইকেটে ৪৬ বলে ৬৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন তানজিদ ও লিটন। ২১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন নাসুম।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এই নিয়ে টানা তৃতীয় সিরিজ জয় বাংলাদেশের। নিজেদের সর্বশেষ দুই সিরিজে শ্রীলংকা ও পাকিস্তানকে হারিয়েছিল টাইগাররা।