আবারও সুপার ওভার, আবারও নিউজিল্যান্ডকে হারালো ইংল্যান্ড

স্পোর্টসমেইল২৪ স্পোর্টসমেইল২৪ প্রকাশিত: ১২:৩৩ পিএম, ১০ নভেম্বর ২০১৯
আবারও সুপার ওভার, আবারও নিউজিল্যান্ডকে হারালো ইংল্যান্ড

বিশ্বকাপ ফাইনালে সুপার ওভারে টাই হওয়ার পরও বাউন্ডারি নিয়মে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় স্বাগতিক ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপের মাত্র কয়েক মাস পর ক্রিকেট বিশ্ব দেখলো আবারও এক সুপার ওভারের খেলা। এবারও সেই দুই দল, ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড।

ইতিহাসের প্রথম পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজের সমাপ্তি হয়েছে দুর্দান্তভাবে। প্রতিদ্বন্দ্বি ছিল ওয়ানডে বিশ্বকাপের দুই ফাইনালিস্ট দল, ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। শেয়ানে শেয়ানে চলে দুই দলের লড়াই। ম্যাচ টাই হওয়া গড়ায় সুপার ওভারে। বিশ্বকাপের পর এবারও সুপার ওভারে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে সিরিজ জয় করলো ইংল্যান্ড। সুপার ওভারে ৯ রানে জয় পেয়ে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে সফরকারী ইংল্যান্ড।

আগের ৪ ম্যাচে ২-২ জয়ে সমতায় থেকে রোববার অনির্ধারিত ফাইনালে খেলতে নামে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। তবে শুরু বৃষ্টি বাধা হয়ে দাঁড়ায়, ফলে ম্যাচের দৈর্ঘ্য নেমে ১১ ওভারে।

অকল্যান্ডের মাঠের অতীত ইতিহাস ধরে রেখে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলে দুই দলই। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১১ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডও ১৪৬ রান করে। ফলে গড়ায় ম্যাচ সুপার ওভারে। যেখানে ইংল্যান্ড আগে ব্যাট করে ১৬ রান তোলে। তবে নিউজিল্যান্ড থেমে যায় মাত্র ৮ রানে।

সুপার ওভারে ইংল্যান্ডের পক্ষে ব্যাট হাতে মাঠে নামেন অধিনায়ক ইয়ান মরগান ও জনি বেয়ারস্টো। অন্যদিকে মূল ম্যাচের শেষ ওভারের মতো সুপার ওভারেও বল হাতে তুলে নেন জিমি নিশাম। তবে তার ওভারে ১টি করে ছক্কা হাঁকান মরগান ও বেয়ারস্টো। ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৭ রান।

মূল ম্যাচের শেষ ওভারের শেষ ৩ বলে ১২ রান নিয়ে ম্যাচটি সুপার ওভারে নেওয়া ক্রিস জর্ডানই বল হাতে নেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ইংলিশদের ম্যাচ জেতাতে, জিতালেনও। পুরো ওভারে মাত্র ১টি চার মার খেয়েছেন তিনি। এছাড়া সেইফার্টকে আউট করেন মাত্র ৮ রান দিয়েছেন। যার ফলে ৯ রানের জয় তুলে নিয়ে সিরিজও নিজেদের করে নেয় ইংল্যান্ড।

এরে আগে মূল ম্যাচে (১১ ওভার করে) টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে নিউজিল্যান্ড। ব্যাট করতে নেমে প্রথম ৬ ওভারেই ৮৮ রান তুলে দেন দুই ওপেনার মার্টিল গাপটিল ও কলিন মুনরো। ২০ বলে ৩ চার ও ৫ ছয়ে ৫০ রান করেন গাপটিল। তবে অল্পের জন্য ফিফটি মিস করেন মুনরো।

মুনরোর ব্যাট থেকে আসে ২ চার ও ৪ ছয়ের মারে ২১ বলে ৪৬ রান। তবে এ ইনিংসের মাধ্যমে ইতিহাসের চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে ১০০ ছক্কার মারার মাইলফলক স্পর্শ করেন মুনরো।

দুই ওপেনারের তান্ডবের পর নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ১৪৬ পর্যন্ত যাওয়ার কৃতিত্ব উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান টিম সেইফার্টের। মাত্র ১৬ বলের ইনিংসে ১টি চারের সঙ্গে ৫টি ছক্কা হাঁকান এ ডানহাতি তরুণ, করেন ৩৯ রান।

১১ ওভারে ১৪৭ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় নিউজিল্যান্ড। বিশাল এ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই টম ব্যান্টনের উইকেট হারায় ইংলিশরা। পরের ওভারেই ফিরে যান জেমস ভিনসও। তবে উইকেটরক্ষক ও ব্যাটসম্যান জনি বেয়ারস্টো ২ চার ও ৫ ছয়ের মারে ১৮ বলে ৪৭ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন।

বেয়ারস্টোকে সঙ্গ দেন অধিনায়ক ইয়ান মরগান (৭ বলে ১৭), স্যাম কুরান (১১ বলে ২৪) ও ক্রিস জর্ডানরা (৩ বলে ১২)। শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন হয় ১৬ রান। যার শেষ ৩ বলে পরিণত হয় ১৩ রানে। তখনই একটি করে চার-ছয় মেরে ১২ রান তোলেন জর্ডান। ‍নির্ধারিত ১১ ওভার শেষে ইংল্যান্ডে সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৪৬ রানে, ফলে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে।


শেয়ার করুন :


আরও পড়ুন

ডেনলির ব্যাক-আপ হিসেবে ডাক পেলেন বেয়ারস্টো

ডেনলির ব্যাক-আপ হিসেবে ডাক পেলেন বেয়ারস্টো

বিশ্বরেকর্ড গড়া ম্যাচে সিরিজে সমতা আনলো ইংল্যান্ড

বিশ্বরেকর্ড গড়া ম্যাচে সিরিজে সমতা আনলো ইংল্যান্ড

বিশ্বরেকর্ড গড়লেন মরগান-মালান

বিশ্বরেকর্ড গড়লেন মরগান-মালান

সিরিজে সমতায় ফিরলো নিউজিল্যান্ড

সিরিজে সমতায় ফিরলো নিউজিল্যান্ড