বাংলাদেশকে হ্যাটট্রিক হারের স্বাদ দিলো ভারত

স্পোর্টসমেইল২৪ স্পোর্টসমেইল২৪ প্রকাশিত: ০৯:৫৫ পিএম, ১৯ অক্টোবর ২০২৩
বাংলাদেশকে হ্যাটট্রিক হারের স্বাদ দিলো ভারত

আবারও ব্যাটিং ব্যর্থতা, আবারও হার। চলমান বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পেলে বাংলাদেশ। বিরাট কোহলির সেঞ্চুরিতে টাইগারদের সহজে হারিয়ে টানা চতুর্থ জয় তুলে নিলো ভারত।

চলমান বিশ্বকাপের ১৭তম ম্যাচে বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বাংলাদেশকে ৭ উইকেটি হারিয়ে দিয়েছে ভারত। প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৫৬ রানের সংগ্রহ গড়েছিল বাংলাদেশ। জবাবে বল ৫১ বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা।

ব্যাট হাতে ৯৭ বলে ১০৩ রানের অপরাজিত ছিলেন বিরাট কোহলি। এছাড়া ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন শুভমান গিল। বাংলাদেশের দেওয়া ২৫৭ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে কোহলি, গিল ছাড়া অধিনায়ক রোহিত শর্মা ৪৮, শ্রেয়াস আইয়ার ১৯ এবং কে এল রাহুল ৩৪ রানে অপরাজিত ছিলেন।

এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ দলের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দলে দুটি পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ।

ইনজুরির কারণে নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের পরিবর্তে নাসুম আহমেদ এবং তাসকিন আহমেদের পরিবর্তে হাসান মাহমুদকে একাদশে নেওয়া হয়েছিল।

ভারতের বিপক্ষে ওপেনিং জুটিতে ভালো খেললেও পরের দিকে ব্যাটাররা বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ইনিংসের ১৪তম ওভারে নবম ওয়ানডেতে হাফ-সেঞ্চুরি করে ৪১ বল খেলা তানজিদ। তবে পরের ওভারেই ৫১ রানের ফিরেন তিনি। উদ্বোধনী জুটিতে সর্বোচ্চ ৯৩ রানের জুটি গড়েন তানজিদ ও লিটন।

তানজিদের বিদায়ে উইকেটে আসেন শান্ত। তিন নম্বরে সুবিধা করতে পারেননি এ ম্যাচের অধিনায়ক শান্ত। স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজার বলে লেগ বিফোর আউট হবার আগে ১৭ বলে মাত্র ৮ রান করেন তিনি।

২১তম ওভারে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১২তম ও এবারের বিশ্বকাপে দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৬২ বল খেলা লিটন। এর আগে ধর্মশালায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭৬ রান করেছিলেন তিনি। লিটনের হাফ-সেঞ্চুরির পর প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন চার নম্বরে নামা মেহেদি হাসান মিরাজও।

৯৩ রানের সূচনার পর চাপে পড়ে ১২৯ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১৩.৪ ওভার থেকে ২৩.৩ ওভার পর্যন্ত কোন চার-ছক্কা ছিল না টাইগারদের ইনিংসে। হাফ-সেঞ্চুরির পর ইনিংস বড় করছিলেন লিটন। তবে ২৮তম ওভারে জাদেজার বলে অহেতুক ছক্কা মারতে গিয়ে লং অফে শুভমান গিলকে ক্যাচ দিলে লিটনের ৭টি চারে ৮২ বলে ৬৬ রানের দায়িত্বশীল ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে।

তানজিদ-লিটনের পর বাংলাদেশের পরের তিন জুটি ছিল যথাক্রমে ১৭, ১৯ ও ৮ রানের। সঙ্গত কারণেই দলীয় ১৩৭ রানে চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে লিটন ফেরার পর বড় জুটির খুব প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের। পঞ্চম উইকেটে বড় জুটির ইঙ্গিত দিয়ে ৫৮ বলে ৪২ রান তুলে বিচ্ছিন্ন হন তাওহিদ হৃদয় ও মুশফিকুর রহিম। ৩৮তম ওভারে শারদুলের শর্ট বলে ভুল টাইমিংয়ে গিলকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন ৩৫ বলে ১৬ রান করা হৃদয়।

দলের রান ২শ পার করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন মুশফিক। ৪৩তম ওভারে বুমরাহর শর্ট লেংথের বলে কাট করেন মুশফিক। ডান দিকে লাফিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে দারুন ক্যাচ নেন জাদেজা। ১টি করে চার-ছক্কায় ৪৬ বলে ৩৮ রান করেন অভিজ্ঞ মুশফিক। এ ইনিংস খেলার পথে সাকিবের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে বিশ^কাপে ১হাজার রান পূর্ণ করেন মুশফিক।

মুশফিক ফেরার পর সপ্তম উইকেটে নাসুমকে নিয়ে ২৬ বলে ৩২ রান যোগ করে দলকে আড়াইশর ঘরে নেয়ার সম্ভাবনা জাগান মাহমুদউল্লাহ কিন্তু শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে দলীয় ২৪৮ রানে বুমরাহর ইর্য়কারে বোল্ড হন তিনি। হাফ-সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে গিয়ে ৩৬ বলে ৩টি বাউন্ডারি ও এক ওভার বাউন্ডারিতে ৪৬ রান করে আউট হন মাহমুদউল্লাহ।

ইনিংসের শেষ চার বলে ৮ রান তুলে বাংলাদেশের রান আড়াইশ পার করেন দুই বোলার মোস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম। ওভারের শেষ বলে এক্সটা কভারের উপর দিয়ে ছক্কা মারেন শরিফুল। এতে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৫৬ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।

মোস্তাফিজ ১ ও শরিফুল ৭ রানে অপরাজিত ছিলেন।। নাসুম করেন ১৮ বলে ১৪ রান।



শেয়ার করুন :