ফুটবল মাঠে প্রতিপক্ষ দলের কোচিং স্টাফকে থুথু নিক্ষেপ করায় ইন্টার মায়ামির স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজকে ছয় ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ২০২৫ লিগস কাপ ফাইনালে হেরে যাওয়ার পর প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়কে আক্রমণের পাশাপাশি সাউন্ডার্স কোচিং স্টাফের এক সদস্যের গায়ে থুতু নিক্ষেপ করেন তিনি।
মেক্সিকো সিটিতে অনুষ্ঠিত ওই ফাইনালে সিয়াটল সাউন্ডারস মায়ামিকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার পর মাঠে গোলযোগ সৃষ্টি হয়। ঘটনাটি নিয়ে পরে অবশ্য ক্ষমা চেয়েছেন সুয়ারেজ।
শৃঙ্খলা কমিটি বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার পর জানিয়েছে, সুয়ারেজ প্রতিযোগিতার নিয়মের ৪.২.সি অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করেছেন। পরে তাকে ছয় ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
সুয়ারেজের এই শাস্তি শুধুমাত্র ভবিষ্যতের লিগস কাপ টুর্নামেন্টেই কার্যকর হবে। অর্থাৎ, মৌসুম শেষে মায়ামির সঙ্গে তার চুক্তি শেষ হলে তিনি এমএলএস ছেড়ে দিলে কিংবা অবসর নিলে পুরো নিষেধাজ্ঞা ভোগ নাও করতে হতে পারে।
নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার আগেই অবশ্য ভুল স্বীকাার করে সুয়ারেজ ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি বলেন, “আমি ভুল করেছি এবং এর জন্য গভীরভাবে অনুতপ্ত। এটি এমন একটি আচরণ নয়, যা আমি আমার পরিবার, ভক্ত কিংবা ক্লাবের সামনে তুলে ধরতে চাই। আমি সত্যিই দুঃখিত।”
সুয়ারেজ ছাড়াও এ ঘটনায় আরও কয়েকজন খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। মায়ামির অধিনায়ক সার্জিও বুসকেটসকে দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তিনি অবশ্য ভার্গাসকে আঘাত করেছিলেন। এছাড়া আরেক সতীর্থ তোমাস আভিলেস পেয়েছেন তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা।
অন্যদিকে, সিয়াটল সাউন্ডারসের সহকারী কোচ স্টিভেন লেনহার্টকে দেওয়া হয়েছে পাঁচ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা। যদিও এসব নিষেধাজ্ঞা চলমান এমএলএস মৌসুমে কার্যকর হবে না, তবুও লিগ কর্তৃপক্ষ বাড়তি শাস্তির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়নি।
সুয়ারেজের অবশ্য এটাই প্রথম কোন ঘটনা কিংবা শাস্তি নয়। সুয়ারেজের দীর্ঘ শৃঙ্খলাজনিত সমস্যার তালিকা দীর্ঘ। এর আগে তিনবার কামড় দেওয়ার ঘটনা, ২০১০ বিশ্বকাপে কুখ্যাত হ্যান্ডবল এবং ২০১১ সালে বর্ণবাদী আচরণের জন্য তিনি শাস্তি পেয়েছিলেন।
এদিকে, শাস্তি পেলেও সুয়ারেজের পাশে থাকার কথা জানিয়েছে ক্লাব মিয়ামি। বিবৃতিতে ইন্টার মায়ামি বলেছে, “আমরা শৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্তকে সম্মান করি এবং সম্পূর্ণভাবে তা মান্য করবো। লুইস দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং নিজের কাজের দায়িত্ব নিয়েছে। মাঠের ভেতরে ও বাইরে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর।”
তবে সুয়ারেজের এ ঘটনায় বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন ঘটনায় মায়ামির বৈশ্বিক ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।