ভিলিয়ার্সে শতকে ‌‌‌‌‌‌‌‌‘অসহায়’ ঢাকার হার

দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্স ও ইংল্যান্ডের এ্যালেক্স হেলস ঝড়ে দুর্দান্ত এক জয় পেয়েছে রংপুর। ভিলিয়ার্সের অনবদ্য সেঞ্চুরি ও হেলসের অনবদ্য হাফ-সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ষষ্ঠ আসরের ৩৪তম ম্যাচে ঢাকা ডায়নামাইটসকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্স।

এই জয়ে ১০ খেলায় ৬ জয় ও ৪ হারে ১২ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে এগিয়ে থেকে টেবিলের শীর্ষে উঠলো রংপুর রাইডার্স। ৯ খেলায় ৫ জয় ও ৪ হারে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থস্থানে নেমে গেল ঢাকা ডায়নামাইটস।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামের ম্যাচে ব্যাট হাতে সর্তকতার সাথে শুরু করে ঢাকার দুই ওপেনার হয়রতউল্লাহ জাজাই ও সুনীল নারাইন। রংপুরের বোলারদের নিযন্ত্রিত বোলিং-এ ৩১ বল মোকাবেলা করে ৩৫ রান যোগ করেন জাজাই ও নারাইন। তবে দলীয় ৫১ রানের মধ্যে জাজাই ১৭ ও নারাইন ২৮ রান করে ফিরেন।

এরপর ৫৪ রানের জুটি গড়েন রনি তালুকদার ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। রনি ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩২ বলে ৫২ রান করে করেন। ১২ বলে ৪টি চারে ২৫ রান তুলে আউট হন সাকিব।

ব্যাট হাতে এ ম্যাচে জ্বলে উঠতে পারেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে রাসেল। ৮ বলে ১৪ রান করে ফিরেন তিনি। ১৪তম ওভারের মধ্যে রাসেলের বিদায়ের পরও আরেক ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাইরন পোলার্ড শেষ দিকে ঝড়ো ইনিংস খেলেন। ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৩ বলে অপরাজিত ৩৭ রান করেন। ফলে ৬ উইকেটে ১৮৬ রানের সংগ্রহ পায় ঢাকা। রংপুরের ফরহাদ রেজা ২ উইকেট নেন।

১৮৭ রানের টার্গেটে শুরুতে মহা বিপদে পড়ে রংপুর রাইডার্স। দ্বিতীয় ওভারেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল ও দক্ষিণ আফ্রিকার রিলি রুশোকে হারায় রংপুর। গেইল ১ ও রুশো শুন্য রানে আউট হন। দু’টি উইকেটই নিয়েছেন ঢাকার ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলোয়াড় রাসেল।

৫ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় রংপুর। এখান থেকে দলকে টেনে তোলার কাজ করেন আরেক ওপেনার হেলস ও চার নম্বরে নামা মারকুটে খেলোয়াড় ডি ভিলিয়ার্স। শুরুর ধাক্কাটা ভুলে গিয়ে ঢাকার বোলারাদের উপর পাল্টা আক্রমন চালান ডি ভিলিয়ার্স। তার ঝড়ো ব্যাটিং-এ লাইন-লেন্থহীন হয়ে পড়েন ঢাকার বোলাররা। নিজের ২৪তম বলেই হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন ডি ভিলিয়ার্স। সতীর্থের এমন বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের মাঝে নিজের কারিশমা দেখিয়েছেন হেলসও। ৩২তম বলে হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন তিনি।

হাফ-সেঞ্চুরি তুলেই তেমে থাকেনি এ জুটি। নিজেরাই দায়িত্ব নিয়ে ম্যাচ শেষ করার পণ করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাই-ই হয়েছে। ম্যাচ শেষ হবার অন্তিত মূর্হুতে সেঞ্চুরির স্বাদ নেন ডি ভিলিয়ার্স। ৫০তম বলে তিন অংকে পা দেন তিনি। ডি ভিলিয়ার্সের সেঞ্চুরির সাথে হেলসের অপরাজিত ৮৫ রানে ১০ বল বাকী রেখেই দুর্দান্ত এক জয়ের স্বাদ নেয় রংপুর। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৯৯ বল মোকাবেলা করে ১৮৫ রান যোগ করেন ডি ভিলিয়ার্স ও হেলস।

৮টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫৩ বলে নিজের ইনিংসটি সাজান হেলস। ৮টি চার ও ৬টি ছক্কায় ৫০ বলে ১০০ রানে অপরাজিত থাকেন ডি ভিলিয়ার্স। ঢাকার রাসেল ৩০ রানে ২ উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন রংপুরের ডি ভিলিয়ার্স।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ঢাকা ডায়নামাইটস : ১৮৬/৬, ২০ ওভার (রনি ৫২, পোলার্ড ৩৭*, ফরহাদ ২/৩২)।
রংপুর রাইডার্স : ১৮৯/২, ১৮.২ ওভার (ডি ভিলিয়ার্স ১০০*, হেলস ৮৫*, রাসেল ২/৩০)।
ফল : রংপুর রাইডার্স ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : এবি ডি ভিলিয়ার্স (রংপুর রাইডার্স)।