যে পারফরম্যান্স আমরা করেছি, যদি এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারি, তাহলে পরবর্তী ম্যাচে ভালো করার একটা উপায় থাকবে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ানোর দীপ্ত কণ্ঠ শোনা কথাগুলো বলেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।
আইসিসি ওয়ানডে নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে কান্নায় ভেঙে পড়েন বাংলাদেশের মেয়েরা। শেষ ওভার পর্যন্ত গড়ানো এই ম্যাচে হারের আক্ষেপ ছিল দর্শকদেরও। তবে শুধু দর্শকরাই নয়, হারের বেদনায় নীল হয়েছেন স্বর্ণা, মারুফা, রাবেয়া, নাহিদারা।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে না খেলেও সুমাইয়ার চোখের জল ছুঁয়ে গেছে কোটি ক্রিকেটভক্তের হৃদয়। যে দৃশ্য ভাসছে নেট দুনিয়ায়।
শেষ ওভারে ৩ উইকেটে হারের পর মন খারাপ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়েছিলেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। হারের জন্য কাউকে দায়ী নয় বরং ক্রিকেটারদের চেষ্টাকেই এগিয়ে রাখেন তিনি।
চলমান বিশ্বকাপ এখন পর্যন্ত জ্যোতির নামের পাশে ব্যর্থতায় ভরা। প্রথম ম্যাচে করেছিলেন ২৩ রান, পরেরটিতে শূন্য, তৃতীয় ম্যাচে করেন ৪ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেন ৩২ রান।
আমরা যে ধরনের ব্যাটিং দেখি, সে ধরনের ব্যাটিং আপনার হচ্ছে না। আপনি কি কোনো মনস্তাত্ত্বিক জটিলতায় ভুগছেন... সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্নে জ্যোতি বলেন, "না, এই রকম কোনো বিষয় না।”
তিনি বলেন, “আমি টপ অর্ডারে ব্যাটিং করি রান করার জন্য। প্রথম ম্যাচের পর দুই ম্যাচে আমার ছন্দটা পাচ্ছিলাম না। এতে টিম মিস আউট হচ্ছিল। আজকে চেষ্টা করেছি দলকে সাপোর্ট করতে, কিছু দেওয়ার। আরও চার-পাঁচ ওভার খেললে চিত্রটা ভিন্ন হতে পারত।”
অভিজ্ঞ ও তারুণ্যের মিশেলে গড়া এই দলের ফল এখন পর্যন্ত হতাশাজনক। চার ম্যাচে এক জয়। জ্যোতি অবশ্য আশাবাদী—পরবর্তী ম্যাচে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে, তারা ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন। তবে কাদের নিয়ে ঘুরে দাঁড়াবেন? তরুণদের, না অভিজ্ঞদের?
তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়মিত ম্যাচ খেলানো হচ্ছে না। একদিন পাচ্ছে সুযোগ, অন্যদিন পাচ্ছে না। তাহলে কী তাদের নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করা হচ্ছে? সংবাদ সম্মেলনে এমন আরেক প্রশ্নের জবাবে অধিনায়ক বলেন-
"দেখেন, বিশ্বকাপে সবাই জিততে আসে, এখানে এক্সপেরিমেন্ট করতে আসে না। প্রতিটা ম্যাচে আমরা দল নির্বাচন করি প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের বিবেচনায়। আমার কাছে মনে হয়, আলাদা কোনো ব্যাটার খেলালে ভালো হয়, তখন আলাদা ব্যাটার যুক্ত করি।”
তিনি বলেন, “যদি মনে হয় লেফট-আর্ম যুক্ত করলে ভালো হবে, আর প্রতিপক্ষ রাইটি হয়, তাহলে সেটাও করি। এখানে এক্সপেরিমেন্টের কোনো জায়গা নেই। দলের জন্য যে যোগ্য হবে, রাইট ডেতে রাইট চয়েস হবে, তাকেই আমরা নির্বাচন করি।"
বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত চার ম্যাচ খেলে এক জয়ে ২ পয়েন্ট নিয়ে ৬ নম্বরে রয়েছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল।

মোশারফ হোসাইন