সাফ জয়ী অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দলকে সংবর্ধনা দিলো ওয়ালটন

স্পোর্টসমেইল২৪ স্পোর্টসমেইল২৪ প্রকাশিত: ০৫:৪৫ পিএম, ১২ মার্চ ২০২৪
সাফ জয়ী অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দলকে সংবর্ধনা দিলো ওয়ালটন

ঢাকার কমলাপুরে ভারতের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে যৌথভাবে ‘সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৪’ এর শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। সাফ জয়ী সেই নারী ফুটবল দলকে বিশেষ সংবর্ধনা দিল ক্রীড়াবান্ধব প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। খেলোয়াড়, কোচ ও কর্মকর্তাসহ মোট ৩৩ সদস্যের দলের প্রত্যেককে একটি করে ওয়ালটনের ৩২ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি উপহার দিয়েছেন দেশীয় এ প্রতিষ্ঠানটি।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে খেলোয়াড়, কোচ ও কর্মকর্তাদের হাতে ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এফ.এম. ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন), সিনিয়র ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রবিউল ইসলাম মিলটন ও বাফুফের মহিলা উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ এ পুরস্কার তুলে দেন। এ সময় বাফুফের অন্যান্য কর্মকর্তাগণও উপস্থিত ছিলেন।

ঈদের আগে ওয়ালটনের কাছ থেকে ৩২ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি উপহার পেয়ে সাফ জয়ী বাংলাদেশ ফুটবল দলের সবাই বেশ খুশি হন। বিশেষ করে কিশোরী ফুটবলারদের চোখে-মুখে ছিল খুশির ঝিলিক। পুরস্কার পেয়ে আফিদা খন্দকার প্রান্তি ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, পুরস্কার সব সময় ভালো লাগে। এ রকম পুরস্কার পেলে আমাদের খেলার প্রতি আরও উৎসাহ বৃদ্ধি পাবে।

বাফুফে’র কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও মহিলা উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, ওয়ালটন আমাদের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে রয়েছে। এমন একটি আয়োজনের জন্য ওয়ালটনকে ধন্যবাদ। একই সাথে দেশের অন্যান্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানকেও নারী ফুটবলের প্রতি এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এফ.এম. ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন) বলেন, ওয়ালটন নারী ফুটবলের সাথে সব সময় আছে এবং থাকবে। আমরা যখন নারী ফুটবলের সাথে যুক্ত হয়েছিলাম তখন এতো শিরোপা ছিল না। সেই সব দিনের নার্সারীর ফল আমরা এখন পাচ্ছি।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঘরের মাঠে ভারতের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে যৌথ চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচের শুরুতেই গোল হজম করে পিছিয়ে পড়েছিল সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যরা। এরপর যোগ করা সময়ে (৯০+৩) মোসাম্মত সাগরিকা আক্তারের গোলে সমতা ফেরায় বাংলাদেশ। তাতে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।

সেখানেও চলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। প্রথম পাঁচ শটে দুই দলই বল জালে জড়ায়। এরপর সাডেন ডেথেও চলে সমানে সমান। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের ১১ জন খেলোয়াড়ই গোল করেন। অন্যদিকে, ভারতেরও ১১ জন টাইব্রেকার ও সাডেন ডেথে গোল করেন। এরপর টস ভাগ্যে ভারতকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়। পরে সেটা বাতিল করে বাইলজ অনুযায়ী ভারত-বাংলাদেশকে যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়।

অবশ্য ফাইনালের আগেই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা ও সেরা খেলোয়াড় সাগরিকার বাবা-মাকে টেলিভিশন উপহার দিয়েছে ওয়ালটন। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে ওয়ালটনের কর্মকর্তাগণ জানতে পারেন- সাগরিকার বাবা চায়ের দোকানদার মোহাম্মদ লিটন আলীর ঘরে মেয়ের খেলা দেখার মতো টেলিভিশন নেই। প্রতিবেশীর কাছ থেকে টেলিভিশন ধার করে এনে দেখেন মেয়ের খেলা। যে ম্যাচে সাগরিকা জোড়া গোল করে গর্বিত করেন তার বাবা-মাকে।

এরপর সাগরিকার বাবা-মাকে ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল থেকে মিরপুরের মাজার রোডস্থ ওয়ালটন কমপ্লেক্সে এনে টেলিভিশন তুলে দেয় ওয়ালটন। আজ একই ধরনের আরও একটি স্মার্ট টিভি উপহার পেলেন সাগরিকা।


শেয়ার করুন :